আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
819 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
শায়েখ আমি একজন বিষন্নতার মানসিক রোগী।একসময় আত্মহত্যা প্রবণতাও ছিল এখন চিকিৎসা নিচ্ছি।

যেদিন থেকে মুয়াল্লাক তালাকের মাসআলা শুনেছি এই রোগ আরো বেড়ে গেছে।মনের ভেতর খালি উচ্চারণ হচ্ছে আমি মূয়াল্লাক তালাক দিয়েছি দিবো এই কথা।

নানা কাজের সাথে মনের মধ্যে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে যেমন," যে মেয়েকে আমি বিয়ে করতে চাই তাকে মেসেজ দিলে তালাক/মুয়াল্লা তালাক" আবার মনের মধ্যে বলে উঠতেছি," যেই মেয়েকে বিয়ে করতে চাই তাকে I love you মেসেজ না দিলে তালাক/মূয়াললা তালাক" যেইগুলো আমি করতে পারবো না।

এর পর আবার আমি নিজেই একলা একলা হালকা আওয়াজ করে শুধু আই লাভ ইউ উচ্চারণ করি।

এতে কি তালাক হয়ে গিয়েছে?

এই সমস্যার কথা আমি যে মেয়েকে বিয়ে করতে চাই তাকে বললাম এতে কি তালাক হবে?

এই ঘটনার পর.. আবার ওয়াসওয়াসা আসলো

একবার নিজেকে বলছিলাম আমার তো নিয়ত নাই সেইটা আল্লাহ জানে কিন্তু আবার মনের ভেতর উচ্চারণ হইছে" নিয়ত আছে" এই কথা।

আবার মুখে খাবার না নিয়েই চপর চপড় আওয়াজ করছিলাম তখনও মনে হলো বলছি, " যে আমি মুয়াললাক তালাক দিয়েছি এমন কথা"

আবার পরে এর পরে আবার এমন আওয়াজ করলাম ইচ্ছাকৃত ভাবে আবার মনে মনে ওই ধরনের কথা উচ্চারিত হলো ।

আমি যে মেয়েকে বিয়ে করতে চাই তার নাম ' ক '।একটা ইমেইল আসার কথা ছিল মনে মনে খেয়াল আসে ইমেইল না আসলে ' ক' কে বিয়ে করলে সে তালাক এমন কথা।কিন্তু এখানে তালাক শব্দটা বলার সময় আমার জিহ্বা উপর তালুর সাথে ঘষা লাগে এবং হালকা উচ্চারিত হয় মনে হয়।পুরো ঘটনাটা আমি মনেও করতে পারছিনা।এতে কি তালাক হবে?

এবং ওই মেয়ের সাথে কি আমার বিয়ে জায়েজ হবে?

শায়েখ আমার কোনো ধরনের তালাক দেওয়ার ইচ্ছা নাই।আমি আর পারছিনা।এই চিন্তাগুলো আমাকে গ্রাস করে ফেলছে।আমি ধীরে ধীরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছি ।নিজের উপর বোঝা মনে হচ্ছে সবকিছু।

আমার দ্বারা কি তালাক সংঘটিত হয়েছে?

আমি আর পারছিনা আমাকে কোন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো মনে মনে তালাক দিলে পতিত হয়না।

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا لَمْ تَتَكَلَّمْ بِهِ، أَوْ تَعْمَلْ بِهِ، وَبِمَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا 

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।
(আবু দাউদ ২২০৯)

আরো জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সকল ছুরতেই মুয়াল্লাক তালাক হয়নি।
আপনি নিশ্চিন্তে যেকোনো মহিলাকে বিবাহ করতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।
,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কী চিন্তা আসল, কী চিন্তা গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

ওয়াসওয়াসার নেপথ্যে থাকে শয়তান। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে– ঈমানদারদেরকে কষ্ট দেয়া
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহ্ যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে কি কি আমল করতে হবে,বিস্তারিত জানুনঃ
.
আশা করি আমল গুলো করবেন,আর তালাকের বিষয়  একেবারে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন,এসব বিষয়  নিয়ে এক সেকেন্ডের জন্যেও আর ভাববেননা।
ইনশাআল্লাহ সমস্যা আর হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...