জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহ পূর্ব প্রেম বা ভালোবাসা হারাম।
এটি অনেক ক্ষেত্রে জিনা ব্যভিচারের প্রবেশপথ হয়।
ব্যভিচারের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,
ولا تقربوا الزني إنه كان فاحشة وساء سبيلا
‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সূরা: বনী ইসরাইল, আয়াত: ৩২)
.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চোখের ব্যভিচার হলো (বেগানা নারীকে) দেখা, জিবের ব্যভিচার হলো (তার সঙ্গে) কথা বলা (যৌন উদ্দীপ্ত কথা বলা)। (বুখারি, হাদিস : ৬২৪৩)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, দুই চোখের ব্যভিচার হলো, (বেগানা নারীর দিকে) তাকানো, কানের ব্যভিচার যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের ব্যভিচার আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের ব্যভিচার (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে) স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া এবং মনের ব্যভিচার হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। (মেশকাত, হাদিস : ৮৬)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য করনীয় থাকবে এখনই সেই ছেলের সাথে পুরোপুরি কথা বন্ধ করে দেয়া।
অনলাইন সাইট গুলো হতে ব্লক করে দেয়া,মোবাইল থেকেও ব্লক করে দেয়া।
কোনোভাবেই যেনো আর যোগাযোগ না হয়।
এরপর চাইলে মায়ের সাথে সেই ছেলের প্রস্তাবের বিষয় অবহিত করা।
তাতে তার মা সাড়া দিলে নিজে নয় বরং পারিবারিকভাবে পুরুষদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ছেলের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে বিবাহের বিষয় নিয়ে সমে এগোনো।
আর যদি তার মা বিষয় শুনে গুরুত্ব না দেয়,বা নিজ পরিবার বা ছেলের পরিবার রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে বিষয়টি মাথা থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলা।