আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,

হানাফী মাজহাব মতে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হয়ে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় জানি। আমার স্বামী আমাকে প্রচন্ড রাগবশত তিন তালাক দেয়। এরপর আমি আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু পরবর্তীতে আমার স্বামী এটাকে তিন তালাক বলে অসম্মতি জানায়। ওর মত অনুযায়ী এক তালাক হয়েছে। কিন্তু আমি এর প্রতিবাদ করে আমার ছোটো দুই বাচ্চাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাই । আমার বাবা নেই। আমার দায়িত্ব নেয়ার মতো কোনো মাহরাম আত্মীয় নেই। যারা আছেন সবাই তখন আমার দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং প্রায় সম্পর্কই ছিন্ন করে।তাদের মতে এইভাবে তালাক হয় না। আমার স্বামী বলে সংসার না করলে বাচ্চাদের কোনো খরচ দিবে না। এমতাবস্থায় দুইটা বাচ্চা নিয়ে পর্দা রক্ষা করে ভাড়া বাসায় থেকে আমার একা চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমার লেখাপড়াও শেষ হয়নি। তাই চাকরি করাও সম্ভব না। একটা টিউশনি দিয়ে কোনোমতে চলছিলাম। কিছুদিন পর আমার কিছু আত্মীয়রা মিলে একটা পারিবারিক বৈঠক বসায়, যেখানে আমার দাবী ছিলো যে আমার তো তালাক হয়েই গেছে শুধু বাচ্চাদের যেন ভরনপোষণের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তারা সবাই আমাকে চাপ প্রদান করে সংসার করার জন্য। এবং আমার স্বামী জানায় বাচ্চাদের নিয়ে যাবে নতুবা সংসার করতে হবে। আমি অসম্মতি জানালে সবাই আমার চরিত্র নিয়ে কথা উঠায় বলে আমি যেহেতু বাচ্চাদের পরোয়াও করছি না সেহেতু আমি হয়তো ভুলপথে চলে গেছি। এবং এক পর্যায়ে সবাই জোড় জবরদোস্তি করে আমাকে স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে বাধ্য করে। আমি কয়েক মাস প্রতিবাদ করেও হেরে গেছি। আমার ভয় যে, কেও আমার দায়িত্ব না নিলে এতো অল্প বয়সে আমি একা মেয়েমানুষ কিভাবে চলবো? তাই বাধ্য হয়ে আমার সংসার করতে হচ্ছে।

হুজুর, এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমি কি এই কারণে গুনাহগার হয়ে গেছি? আর আমার করণীয়ই বা কি যেখানে আমার কোনো মাহরাম দায়িত্বশীল অভিভাবক নেই?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


এক্ষেত্রে আপনাদের ঘর সংসার স্পষ্ট যেনা হচ্ছে।
যাহা ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, ও কঠিন শাস্তির কারন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 

 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ
وَعَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ إِلاَّ النُّهْبَةَ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যভিচারী মু’মিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না এবং কোন মদ্যপায়ী মু’মিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোন চোর মু’মিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন লুটতরাজকারী মু’মিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে, যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে।সা‘ঈদ ও আবূ সালামাহ (রাঃ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত, তবে তাতে লুটতরাজের উল্লেখ নেই। ফিরাবরী (রহ.) বলেন, আমি আবূ জা‘ফর (রহ.)-এর লেখা পান্ডুলিপিতে পেয়েছি যে, আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, এর অর্থ হল, তার হতে ঈমানের নূর ছিনিয়ে নেয়া হয়।সহীহ বোখারী- শামেলা-২৪৭৫ (৫৫৭৮, ৬৭৭২, ৬৮১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩১৩) 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজের দ্বীন ও ঈমান বাঁচাতে আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে, স্বামী মানতে না চাইলে আপনি বাচ্চাদেরকে স্বামীর কাছে রেখে নিজের বাবা বা অন্য কোনো আত্মীয়ের বাসায় বা ভাড়া বাসায় থাকুন,এক্ষেত্রে আপনি টিউশনি ইত্যাদি করে বৈধ পন্থায় ইনকাম করুন।

পরবর্তীতে অন্যত্রে বিবাহের চেষ্টা করুন।
আল্লাহর কাছ সব ক্ষেত্রে দোয়া অব্যাহত রাখুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...