আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
السلام عليكم ورحمة الله

আমার দুইটি প্রশ্ন ছিল।

(১) আমার স্বামী একমাত্র ছেলে। আমাদের বিয়ে হয়েছে এক বছর হয়েছে। প্রথম থেকেই আমার শ্বাশুড়ির সাথে বাহ্যিক দিক থেকে সম্পর্ক ভালো হলেও , তিনি নানান কিছু নিয়ে কথা শোনায়,খোটা দেয় । এছাড়া তার অনেক আচরণে আমার কষ্ট লাগে। আমার শ্বাশুড়ির কথা অনুযায়ী তাদের পরিবার চলে।তার কথা মতন ই আমাকে চলতে হয়। বলতে গেলে আমি প্রায় পরাধীন। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত তার ইচ্ছা মতন চলতে হয়, কিন্তু আমি এভাবে চলতে পারছি না। দম বন্ধ হয়ে আসে আমার। আগেই উল্লেখ করেছি আমার স্বামী একমাত্র ছেলে। এক্ষেত্রে কি আমি আমার স্বামীকে জোর দিয়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে বলতে পারব? ইসলাম কি বলে আমার এই পরিস্থিতিতে?
(২) আমার শ্বাশুড়ি এবং ননদ, আমার ও আমার স্বামীর ব্যক্তিগত গোপনীয় সম্পর্ক (যেমন: শারীরিক সম্পর্ক) এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে।আমরা শারীরিক সম্পর্ক করছি কি করছি না এগুলো নিয়ে তাদের খুব মাথাব্যথা, আমি আমার স্বামীর সামনে কিভাবে সেজে যাব এগুলো নিয়ে ও ঘাঁটাঘাঁটি করে। এক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে? এটা কি শালীনতার আওতায় পড়ে? শ্বাশুড়ি ও ননদের সাথে কতটুকু ব্যক্তিগত ব্যাপারে দূরত্ব বজায় রাখা যায়? তাদের এইসকল কাজ কি ইসলাম সমর্থন করে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .
 
সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)
 
 ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
تجب السكني لها عليه في بيت خال
মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৬০৪)

ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।


★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি আপনার স্বামীর যদি আলাদা বাসা নিয়ে থাকার সামর্থ্য থাকে,সেক্ষেত্রে স্বামীকে জোর দিয়ে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে বলতে পারবেন।

(০২)
তাদের এইসকল কাজ ইসলাম সমর্থন করেনা।

স্বামী স্ত্রীর এসব বিষয় নিয়ে শাশুড়ী ননদ সহ কাহারোই ঘাঁটাঘাঁটি জায়েজ নেই।
এতে শালীনতা বজায় থাকেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...