আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (31 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর একটা প্রশ্নের উত্তর পেলেই আরেকটা বিষয় নিয়ে সন্দেহ হয় যার কারনে পেরেশানির মধ্যে থাকি।

১/একদিন রাস্তা দিয়ে জাওয়ার সময় একটা কালো মেয়ে আমার চোখের সামনে পরে।ঠিক তখনই অর্থাৎ কালো মেয়েটাকে দেখার সাথে সাথে কে যেন আমার মনে মনে আমাকে forced করতেছে যে তুই কালো মেয়েকে বিয়া করবি আর যদি বিয়া না করি তাহলে আমার বউ তালাক হয়ে যাবে এই বেপারে শপথ নে,আমি তখনই মুখ দিয়ে কালো মেয়েকে বিয়া না করার শপথ নেই যে আমি কালো মেয়েকে বিয়া করবনা আর যদি বিয়া করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হবে।

আমি মুলত মনে মনে আশা কথাটা প্রতিহত করার জন্য এই ধরনের শপথ করেছি কিন্ত আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কোনো নিয়ত বা উদ্দেশ্য ছিলো না।আর আমি এটাও নিশ্চিত হতে পারতেছিনা যে আমি কি তালাক দেওয়ার নিয়ত করেই এই শপথটা করেছি নাকি নিয়ত ছাড়া শপথ করেছি।এটাও নিশ্চিত না যে আমি কি ওয়াসওয়াসার কারনে এই শপথ নিয়েছি নাকি নিজের ইচ্ছাতে নিয়েছি। এর ফলে কি আমার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে বা এটা কি শপথ হিসেবে গন্য হবে,বা শপথ ভংগের কাফফারা দিতে হবে নাকি?যদি শপথ ভংগের কাফফারা দিতেও হয় কিন্তু আমি যে কালো মেয়েকে বিয়া করলে বউ তালাক হবে এই কথাটা বলার কারনে কি যদি কালো মেয়েকে বিয়া করি তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে?

এখানে দুইটা বিষয়, একটা হলো শপথ ভংগ আরেকটা হলো কালো মেয়েকে বিয়া করলে বউ তালাক হওয়া,যদি কাফফারা দিতে হয় সেটা তো শপথ ভংগের জন্য দিতে হবে,কিন্তু কালো মেয়েকে বিয়া করলে বউ তালাক হবে বলেছি এখন যদি বিয়া করি তাহলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?

আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কোোনো নিয়ত ছিলো না।

২/আমি আগে শপথ করেছিলাম কিন্তু কোন বিষয়কে নিয়ে শপথ করেছি সেটা আমার মনে নাই, এর ফলে কি কাফফারা দিতে হবে?

৩/আমি মুখে উচ্চারণ করে শপথ করেছি নাকি মনে মনে শপথ করেছি সেটাও নিশ্চিত হতে পারতেছিনা।
৪/আমি যদি শপথ করেও থাকি কিন্তু এখন আমার সামান্য পরিমানল সন্দেহ হচ্ছে যে আমি ওই শপথ করার সময় যেটা বলেছিলাম সেটা আমার মনে নাই এর ফলে কি কাফফারা দিতে হবে?

৫/ওয়াসওয়াসার কারনে মুখ ফুটে শপথ করলে বা স্ত্রীকে তালাক হওয়ার জন্য শর্ত দিলে ওই শর্ত পাওয়া গেলে কি স্ত্রী তালাক হবে আর শপথ হবে নাকি?ওয়াসওয়াসার কারনে শপথ আর তালাক গন্য হয় নাকি?

৬/আমার এরকম মনে হচ্ছে যে আমি নিশ্চিতভাবে শপথ নিয়েছিলাম কিন্তু শপথের সাথে স্ত্রী তালাক হওয়ার শর্ত দিছিলাম নাকি দেই নাই, এটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে, এর ফলে কি স্ত্রী তালাক হবে?যেহেতু আমি নিশ্চিত না।

৭/যদি এমন হয় আমি স্ত্রীকে তালাক হওয়ার কথা তালাক দেওয়ার নিয়ত করে বলেছি কিন্তু এখন আমার আর মনে নাই বা ভুলে গেছি যে আমি কি আসলেই এই ধরনের কথা বলেছি নাকি বলি নাই,এর ফলে কি তালাক হবে?
৮/কোন বিষয়ে শপথ নিয়েছি,শপথ কি মনে মনে করেছি নাকি মুখে উচ্চারণ করে করেছি এটা নিশ্চিত না হতে পারলে কি শপথ ভংগের কাফফারা দিতে হবে?

৯/কেউ যদি ওয়াসওয়াসার কারনে মুখে উচ্চারণ করেই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয় এবং শপথ নিয়ে ফেলে যে এটা করলে স্ত্রী তালাক। এর পর এই কাজটা করলে কি স্ত্রী তালাক হবে?

স্ত্রী যেন তালাক হয় এরকম কোোনো নিয়ত স্বামীর ছিলোনা।কিন্তু ওয়াসওয়াসার কারনে মুখ ফুটে বলে দিয়েছে।

১০/যদি আমার মনকে শয়তান জবরদস্তিভাবে এই কথাটা বলাতে চায় যে তুই এই কাজটা করার জন্য শপথ নে যদি এই কাজটা করিস তাহলে তোর স্ত্রী তালাক হবে,

এখন আমি যদি এইটার বিপরিত কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করি যে আমি এই কাজটা করবনা যদি করি তাহলে আমার বউ তালাক হবে যাবে।শয়তানের জবরদস্তির ফলে এই  কথাটা বলেছি।কিন্তু আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিলো না,এখন আমি যদি ওই কাজটা করে ফেলি এর ফলে কি তালাক হবে?

১১/১০ নং ঘটনাটা আমার সাথে ঘটেছে কিন্তু এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে তালাক হওয়ার কথা বলেছি নাকি শুধু শপথ নিয়েছি যে এ কাজটা করবনা।এখন যদি এই কাজটা করি তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে?

১২/আমার মনকে কে যেন জবরদস্তি করতেছে যে এই কাজটা না করার জন্য শপথ নে, এখন আমি যদি ওই মুহুর্তেই এই কাজটা করার জন্য শপথ নিয়ে ফেলি পরে যদি কাজটা না করি এর ফলে কি গুনাহ হবে?আমার তখন কাজটা করা বা না করার কোোনো নিয়তই ছিলো না।

১৩/আমার একবার মনে হচ্ছে যে শপথ নিয়েছি আবার মনে হচ্ছে যে শপথের সাথে তালাক হওয়ার কোোনো কথা বলেছি নাকি বলি নাই,একবার মনে হচ্ছে বলেছি আবার মনে হচ্ছে বলি নাই,

আবার এমন মনে হচ্ছে যে বলেছি কিন্তু মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলেছি নাকি মনে মনে বলেছি।

এখন কি তালাক হবে?

১৪/ধরেই নিলাম আল্লাহর আইনে তালাক হয়ে যাবে কিন্তু আপনি বললেন যে তালাক হবেনা,এখন আমি যদি আপনার কথা মেনে নিয়ে সংসার করতে থাকি এর ফলে কি আমাকে শাস্তি দেওয়া হবে?

১৫/জদি এমন হয় যে আমি আগে ইচ্ছাকৃত ভাবেই মুখ দিয়ে স্ত্রীকে তালাক হওয়ার জন্য এমন কথা বলেছি যে আমি যদি বিয়া করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হবে।

কিন্তু বিয়ার আগেই আমি যদি তওবা করে আল্লাহর উপর ভরসা করে বিয়া করি এর কারনে কি তালাক পতিত হবে?

১৬/যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত ছাড়াই কেউ ১৫ নং প্রশ্নের মতো শর্ত দিয়ে দেয় তাহলেও কি তালাক হবে?

১৭/স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তে কেউ যদি তালাক দিলাম উচ্চারণ করে এর ফলে কি তালাক হবে?

১৮/তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই কিন্তু স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলাম বলার কারনে কি তালাক হবে?

১৯/মনে মনে একটা কাজ না করার ইচ্ছা করলাম এবং ওই ইচ্ছা অনুযায়ীই যদি মুখে শপথ নিলাম উচ্চারণ করি এর ফলে কি এটা শপথ হবে?

অর্থাৎ আমি এই কাজটা করবনা এতোটুকু মনে মনে বলেছি আর শপথ নিলাম মুখে উচ্চারণ করেছি এর ফলে কি এটা শপথ হিসেবে গন্য হবে?

হুজুর এগুলো ভাবতে ভাবতে খুব পেরেশানির মধ আছি, উত্তর তাড়াতাড়ি পেলে খুব ভালো হবে।

২০/যদি সামান্য পরিমানও সন্দেহ থাকে যে আমি শপথ মুখে উচ্চারণ কিরেছি নাকি মনে মনে করেছি এর ফলে কি কাফফারা দিতে হবে?

২১/পুর্বে তালাক হওয়ার কথা বলেছি কিন্তু এখন আমার মনে নেই বা মুখে উচ্চারণ করেছি নাকি মনে মনে বলেছি এটা নিশ্চিত না এর ফলে কি তালাক হবে?

২২/বিয়ার আগে যদি এমন কথা কেউ বলে যে আমি এইটা করলে বিয়ার পর বউ তালাক হবে,এটা বলার পরে উক্ত ব্যক্তির সন্দেহ হচ্ছে যে এটা বলেছে নাকি বলে নাই,এর ফলে যদি তালাক না হয় কিন্তু বিয়া পরেই স্বামী নিশ্চিত হয়েছে যে বিয়ার আগে আমি এই কথা বলছিলাম এখন বিয়ার পরে কি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে? যেহেতু বিয়ার আগে নিশ্চিত ছিলোনা তাই বিয়া কিরেছে।

২৩/আমি কি ওয়াসওয়াসার রোগি?

২৪/আমি যদি পুর্বের সব ঘটনার জন্য তওবা করে আল্লাহর উপরে ভরসা করে বিয়া করে সংসার করি এর ফলে কি পাপ হবে?আমি কখনো তালাক দেওয়ার নিয়তে অঅর্থাৎ আমার  স্ত্রী জেন তালাক হয় এইরকম নিয়ত আমার ছিলোনা।কিন্তু না চাইলেও নিয়ত হয়ে যায়।

২৫/ওয়াসওয়াসার কারনে যদি মুখ দিয়ে স্পষ্ট তালাক দেওয়ার অর্থাৎ বুঝা জায় এমন কথা বলে ফেলি তাহলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/28210/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিবাহ পূর্ব শর্তাধীন তালাক পতিত হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন । 
,
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি আল্লাহর নাম বা আল্লাহর ছিফাত বা কুরআনের নামে কসম করেননি,তাই এটি কসম বলে গণ্য হবেনা,বিধান কালো মেয়েকে বিবাহ করলে কাফফারা দিতে হবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

আপনি বলেছেনঃ-
কালো মেয়েকে বিয়া করলে বউ তালাক হবে এই কথাটা বলার কারনে যদি আপনি কালো মেয়েকে বিবাহ করেন, তাহলে আপনার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।

(২.৩.৪)
এটি শপথ বলে গন্য হবেনা,তাই ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবেনা।

(০৫)
ওয়াসওয়াসার কারনে মুখ ফুটে মহান আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করলে বা স্ত্রীকে তালাক হওয়ার জন্য শর্ত দিলে ওই শর্ত পাওয়া গেলে স্ত্রী তালাক হবে আর শপথ হবে। 

তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে বা মুফতী সাহেবের মতে আপনি যদি ওয়াসওয়াসার রুগী হোন,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে এমতাবস্থায় মহান আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করলে সেটি শপথ বলে গন্য হবে।
তাই কসম ভেঙ্গে গেলে কাফফারা দিতে হবে। 

(৬.৭)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা।

(০৮)
এক্ষেত্রে শপথ ভংগের কাফফারা দিতে হবেনা।

(৯.১০)
এক্ষেত্রে ৫ নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(১১)
সন্দেহ থাকায় তালাক হবেনা।

(১২)
কাজটা না করলে কাফফারা দিতে হবে। 

(১৩)
তালাক হবেনা।

(১৪)
শাস্তি দেয়া হবেনা।

(১৫)
এক্ষেত্রে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে। 

(১৬)
যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত ছাড়াই কেউ ১৫ নং প্রশ্নের মতো শর্ত দিয়ে দেয় তাহলেও তালাক হবে।

(১৭)
স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তে কেউ যদি তালাক দিলাম উচ্চারণ করে এর ফলে তালাক হবে।

(১৮)
তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই কিন্তু স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলাম বলার কারনে তালাক হবে।

(১৯)
মনে মনে একটা কাজ না করার ইচ্ছা করলাম এবং ওই ইচ্ছা অনুযায়ীই যদি মুখে শপথ নিলাম উচ্চারণ করি এর ফলে এটা শপথ হবেনা।

(২০)
প্রবল ধারনার উপর আমল করবে।

(২১)
এর ফলে তালাক হবেনা।

(২২)
এক্ষেত্রে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবেনা।
অটোমেটিকলি স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়েছে।

(২৩)
এক্ষেত্রে ডাক্তার গন আপনার ব্যাপারে কি বলেন,সেটি জানাবেন।

(২৪)
বিবাহের পূর্বে তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হলে বিবাহ হওয়ার পর পরই তালাক হবে।

নতুবা উপরোক্ত ছুরতে তালাক হবেনা।

(২৫)
কোন বাক্য বলেছে,সেটি জানাবেন।

(এক্ষেত্রে ওয়াসওয়াসার রুগী হলে তালাক পতিত হবেনা।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...