আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
Assalamualaikum Wa rohmatullohi wa barokatuh
১.আজকে ফজরের ফরজ  সালাত  সূরা ফাতিহা পড়তে যেয়ে, (আর রহমানির রহিম)  এই লাইনে আমার মনে হয়েছে র এর উচ্চারণ হয়নি তাই আবার পড়েছিলাম আমার কি সাহুসিজদা দিতে হবে?

২.আবার সুন্নাত সালাতে সূরা ফাতিহার আগে তাউজ পড়তে যেয়ে (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনিররজিম)  আলিফ এ টান হয়েছে মনে হচ্ছিল তাই আউ দ্বিতীয় বার পড়েছি(পুরো টা দুইবার পড়িনি শুধু আউ দুইবার পড়েছি)আমার কি নামায হবে নাকি  সাহু সিজদা আসবে?

৩.অনেক সময় স্বদ,সীন,এর উচ্চারন করতে গেলে একটু আওয়াজ হয় যেহেতু শব্দ গুলোতে বাতাস বের হয় তাই। মানে একটু (স)টাইপ আওয়াজ হয় মানে একটু জোরে হয়ে যায় অনিচ্ছায় তখন কি নামায হবে? যদি সালাতে উচ্চ শব্দে পড়ে ফেলি তাহলে কি সাহু সিজদা আসবে?

সালাতে কোনো শব্দ বা হরফ জোরে পড়লে সাহু সিজদা আসবে? বা আস্তে পড়লে  এমন আস্তে যে নিজের কান শোনেনি তাহলে কি আসবে)?

৪.যদি আমার পাশে কেউ থাকে এবং আমি সালাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো শব্দ বা হরফ বা কোনো আয়াত জোরে পড়ি তাহলে কি নামায ভেঙ্গে যাবে? নাকি সাহু সিজদা দিলেই হবে?

আফওয়ান উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (711,800 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সালাতে সূরা ফাতিহা পড়তে যেয়ে, (আর রহমানির রহিম)  এই লাইনে র এর উচ্চারণ হয়নি ভেবে যদি আবার পড়া হয়, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে।

(২)সুন্নাত সালাতে সূরা ফাতিহার আগে তাউজ পড়তে যেয়ে (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনিররজিম)  আলিফ এ টান হয়েছে ভেবে দ্বিতীয় বার যদি পড়া হয়,তাহলে সাহু সিজদা আসবে না।

(৩)অনেক সময় স্বাদ,সীন,এর উচ্চারন করতে গেলে একটু আওয়াজ হয় যেহেতু শব্দ গুলোতে বাতাস বের হয় তাই একটু (স)টাইপ আওয়াজ হয়,একটু জোরে হয়ে যায় অনিচ্ছায়, তখন এদ্বারা নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2570

নিম্নস্বরের সালাতে কোনো শব্দ বা হরফ এই পরিমাণ উচ্ছসরে যদি পড়া হয় যে, দূরের লোকজনও শুনতে পারে, তাহলে সাহু সিজদা আসবে। আর নিজের কানে বা নিজের অতি নিকটের কেউ শুনতে পারলে সাহু সিজদা আসবে না।

(৪)যদি আপনার পাশে কেউ থাকে এবং আপনি সালাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো শব্দ বা হরফ বা কোনো আয়াত জোরে পড়েন,এবং নামাযটি নিম্নস্বরের নামায হয়, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না এবং সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। তবে দূরের কেউ শুনে নিলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 89 views
0 votes
1 answer 53 views
...