আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
333 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (31 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
হুজুরের কাছে আর কয়েকটা প্রশ্ন।
উত্তর পাওয়ার পরেও কেন জানি পেরেশানির মধ্যে থাকি।
প্রশ্ন গুলো হচ্ছে,,

ক)তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিলোনা অর্থাৎ তালাক দিলানা বা তালাক পড়বেনা বলার নিয়ত ছিলো আর ওই নিয়ত অনুযায়ীই তালাক দিলাম/পড়বে পর্জন্ত বলেছে আর না শব্দটুকু বলে নাই এর ফলে কি তালাক হবে?

ক)স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কেউ যদি তালাক উচ্চারণ করে তাহলে কি তালাক হবে।
খ)তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিলোনা কিন্তু তালাক দিলাম বা তালাক পড়বে বললে কি তালাক হবে?যদি তালাক পরে তাহলে এটা কি কোরআন হাদিস থেকে প্রমানিত?

খ)কোনো স্বামী যদি এই ধরনের কথা বলে যে, আমি যদি এই কাজটা করি তাহলে আমার স্ত্রী (এতোটুকু মনে মনে বলেছে)তালাক। শুধু তালাক উচ্চারণ শোনা গিয়েছে তাহলে কি তালাক হবে?
গ)তালাক দেওয়ার নিয়তে শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে কি তালাক হবে?এটাও কি কোরআন হাদিস থেকে প্রমানিত।?

গ)স্বামী যদি শুধু তালাক দিলাম বলে (কিন্তু তালাকের নিয়তে বলেছে নাকি নিয়ত ছাড়াই বলেছে এটা এখন মনে নাই)এর ফলে কি তালাক হবে?

ঘ)কেউ তালাক দেওয়ার নিয়ত করেছে এবং ওই নিয়ত অনুযায়ীই তালাক দিলাম বা তালাক পড়বে বলতে গিয়ে তালাক দিলামনা/পড়বেনা বলেছে,নিয়ত করার কারনে কি তালাক হবে?যেহেতু নিয়ত অনুযায়ী বাক্যটা বলে নাই।

@তালাক দেওয়া নিয়ে সামান্য সন্দেহ থাকলে কি তালাক হবে?জদিও আগে তালাক হওয়ার পক্ষে কথা বলেছে কিন্তু এখন মনে নাই।

১/পুর্বে আমার অনেক ওয়াসওয়াসা ছিলো, কথায় কথায় ওয়াসওয়াদা চলে আশতো,মনে না চাইলেও কে যেন আমাকে দিয়ে বলাতে চাইতো, কোনো কাজ করতে গেলেই আমাকে forced করা হতো যে এই কাজটা যদি এতো সেকেন্ডের মধ্যে করতে না পারি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।অনেক সময় আমি এই শর্তে রাজি হয়েছি আবার অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটা করেছি আবার অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটা করতে পারি নাই।আমার তালাক দেওয়ার কোনো ইচ্ছা বা নিয়ত ছিলোনা তারপরও কেন জানি কোনো কাজ বা কথা বলার জন্য মুখ খুলার সাথে সাথেই এরকম শর্ত আরোপ হয়ে যেত।আমি এইরকম শর্ত আশার সাথে সাথে তালাক হবেনা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলে ফেলতাম।আবার অনেক সময় তালাক পড়বেনা বলতে গিয়ে তালাক পড়বে বলে ফেলতাম।আবার অনেক সময় এইরকম শর্ত করে ফেলতাম কিন্তু আমি তালাক হওয়ার পক্ষে এরকম শর্ত মনে মনে করেছি নাকি মুখ দিয়েই উচ্চারণ করেছি সেটা শিয়ত হতে পারতেছিনা। যতোটুকু জানি আমি ইচ্ছা করে মুখ দিয়ে তালাক পড়ার পক্ষে কোনো কথা বলি নাই জদিই বলে থাকি তাহলে সেটা তালাক পড়বেনা বলতে গিয়ে তালাক পড়বে বলেছি। অথচ তালাক দেওয়া বা হওয়ার কোনো নিয়ত বা ইচ্ছা ছিলোনা।

আমি এখন নিশ্চিত হতে পারতেছিনা যে আমি কি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে কখনো এরুপ শর্ত দিয়েছিলাম নাকি দেই নাই,এটা শিয়র যে অনেকবার মনে মনে এরুপ শর্ত দিয়েছিলাম তাও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলেছি কারন আমাকে forced করা হতো বা এই কথাটা বলা আমার অভ্যাসা পরিনত হয়েছিল, তাই বার বার তালাক পড়ার কথা মনে চলে আশতো কিন্তু উচ্চারন করে বলেছি নাকি মনে মনে বলেছি সেটা এখন আমার আর মনে নাই।
এর কারনে কি আমার বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যা হবে?
আমি কখনো আমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইনি।

২/স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ত করে কেউ যদি শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?

৩/কেউ যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত না করে তালাক দিলামনা বলতে গিয়ে তালাক দিলাম বলে এবং না শব্দটা বলতে মনে ছিলোনা বা ইচ্ছা করেই না শব্দটা বলে নাই এর ফলে কি তালাক হবে?

৩/কেউ যদি মনে মনে শর্ত দিয়ে রাখে যে আমি যদি ভাত খাই তাহলে আমার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।এই শর্তটা মুখে উচ্চারণ করলোনা।
এখানে ভাত খাওয়া হচ্ছে শর্ত
কিন্তু স্বামী এই শর্তটা মুখে উচ্চারণ করেনি কিন্তু এই শর্তটাকে উদ্দেশ্য করে শুধু তালাক পড়বে বলেছে অর্থাৎ তালাক পড়বে শব্দ শোনা গিয়েছে কিন্তু শর্তটা শোনা যায়নি।এর ফলে কি স্ত্রী তালাক হবে?যেহেতু স্বামী শুধু তালাক পড়বে বলেছে আর মনের শর্তটা(ভাত খাওয়া)উদ্দেশ্য করেছে অথচ শর্তের কথাটা উচ্চারণ করে নাই।
অর্থাৎ কেউ যদি মনে মনে বলে যে আমি যদি ভাত খাই তাহলে আমার স্ত্রীর উপরে,,,,,এতোটুকু মনে মনে বলেছে আর তালাক পড়বে বা তালাক হবে এটা উচ্চারণ করেছে।

৪/৩নং প্রশ্ন অনুসারে কেউ যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই অথচ ওই শর্ত(ভাত খাওয়া)উদ্দেশ্য করে শুধু তালাক বলে অথবা তালাক পড়বে বলে এর ফলে কি তালাক হবে?এখানে তালাকের নিয়ত ছিলোনা। আর শর্তের কথাটা উচ্চারণও করে নাই শুধু শর্তকে উদ্দেশ্য করেছে আর তালাক বা তালাক পড়বেন শব্দ উচ্চারণ করেছে।তালাকের নিয়ত বা তালাক হবে এমন কোনো নিয়ত ছিলোনা।

৫/এই ধরনের তালাক (৩)নং প্রশ্ন অনুসারে তালাক গুলো কি ইসলাম সম্মত নাকি বেদয়াতি পদ্ধতি।
জদি বেদয়াতি পদ্ধতিতে তালাক দেয় সেটা কি কার্জকর হবে যেহেতু সমস্ত বেদয়াতকে ভ্রষ্টতা বলা হয়েছে।

৬/কোরআন হাদিসে যে বিষয়ে স্পষ্ট বর্ননা পাওয়া যায়নে সে বিষয় সম্পর্কে জদি কোনো ইমাম ফতোয়া দেয় আর কেউ যদি তার ফতোয়া না মানে অর্থাৎ সে যদি বলে কোরআন হাদিসে যেটা আছে আমি সেটা মানবো আর না থাকলে মানব না।যেহেতু নবী কোরআন হাদিস দুইটা জিনিসকে আকড়ে ধরে রাখতে বলেছেন।

৬ নং প্রশ্নটা শুধু জানার জন্য।

৭/একাকি নামাজ পড়ার সময় জেভাবে মুখ এবং জিহবা  নাড়িয়ে সুরা পড়া হয় ঠিক সময় সেভাবে মুখে উচ্চারণ না করে সুরা কেরাতের মতো করে মুখ এবং জিহবা নাড়িয়ে তালাক দিলে কি তালাক হবে?

৮/মুখ বন্ধ রেখে অর্থাৎ দু ঠোট বন্ধ করে মুখের মধ্যে জিহবা নাড়িয়ে গুনগুন করে শব্দ করে তালাক দিলে সেটা কি তালাক হবে?দুই ঠোট বন্ধ ছিলো এবং মুখের মধ্যে গুন গুন শব্দ হয়েছে।

৯/তালাক এবং শপথ নিয়ে অর্থাৎ তালাক পড়বে এমন কোোনো কথা বলেছি নাকি বলি নাই এবং শপথ করেছি নাকি করি নাই সন্দেহ হলে তালাক আর শপথ হয়ে যায় নাকি?জদিও তালাক পড়ার কথা বলেছে কিন্তু এখন তার মনে নাই যে মুখে উচ্চারণ করে বলেছে নাকি মনে মনে বলেছে।শপথ মুখে উচ্চারণ করে বলেছে নাকি মনে মনে করেছি সন্দেহ হলে তালাক আর শপথ হয় নাকি?

১০/স্ত্রীকে তালাক দেওয়ারর উদ্দেশ্য কেউ যদি খাতায় বা মোবাইলে মেসেজ লিখে যে আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম তাহলে কি এইটা লেখাত কারনে তালাক হবে?আর এটা কি ইসলাম সম্মত তালাক?

১১/বেদয়াতি পদ্ধতিতে তালাক দিলে সেটা কি তালাক হিসেব গন্য হয়?
উদাহরণ হিসেবে একটা বেদয়াতি তালাকের পদ্ধতি বলুন জাতে বুঝতে পারি যে কোনটা বেদয়াত।

১২/এমন বিষয়ে যদি শপথ করি যেটা করলে আমার ক্ষতি বা সমস্যা হবেনা এবং অন্যের ক্ষতি হবেনা, এরপর যদি সেই শপথটা ভংগ করি তাহলে কি কাফফারা দিতেই হবে?নাকি এটা শপথের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

১৩/যদি কেউ তালাক দেওয়ার নিয়ত করে তালাক দিলাম বলার এক দুই সেকেন্ডে পরেই না শব্দ বলে তাহলেও কি তালাক হবে?

১৪/যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত না করে অর্থাৎ তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই কিন্তু তালাক দিলাম বলার এক দুই সেকেন্ডে পরেই না শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে?তালাক দেওয়ার নিয়ত ছিলো না।স্ত্রী জাতে তালাক হয় এমন কোন
ো উদ্দেশ্য ছিলোনা।
১৫/নিয়ত ছাড়া কি তালাক হয়?যদি নিয়ত ছাড়া তালাক হয় সেটা কি কোরআন হাদিস দিয়ে প্রমানিত?

১৬/যদি তালাক দেওয়ার নিয়ত করে কেউ তালাক দিলাম বলার সাথে সাথেই না বলে অর্থাৎ তালাক দিলামনা বলে এর ফলেও কি তালাক হবে?যেহেতু আগে তালাকের নিয়ত করেছিলো?

১৭/স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তে এই ধরনের কথা বলে যে "আমি আমার স্ত্রীকে" এতোটুকু মনে মনে বলেছে আর তালাক দিলাম এতোটুকু উচ্চারণ করে বলেছে এর ফলে কি স্ত্রী তালাক হবে?

১৮/স্বামী যদি এইরকম বাক্য বলে যে, "আমি যদি এই কাজটা করি তাহলে আমার স্ত্রীর উপরে" এতোটুকু কথা মনে মনে বলেছে আর" তালাক পড়বে" এতোটুকু উচ্চারণ করে বলেছে এর ফলে কি তালাক হবে?

১৯/স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তে এই ধরনের কথা বলে যে"আমি যদি এটা করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক"এতো টুকু মনে মনে বলেছে আর "হয়ে যাবে"এতোটুকু মুখে উচ্চারণ করে বলেছে এর ফলে কি তালাক হবে?

২০/স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়তে এই ধরনের কথা বলে যে" আমি আমার স্ত্রীকে তালাক"এতোটুকু মনে মনে বলেছে আর দিলাম শব্দটুকু উচ্চারণ করে বলেছে এর ফলে কি তালাক হবে?

২১/১৭,১৮,১৯,২০ নং প্রশ্নের ছুরুতে কেউ যদি তালাকের নিয়ত না করে এই ধরনের কথা বলে তাহলে কি তালাক হবে?

২২/তালাক দেওয়ার নিয়ত নেই অথচ স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে "তালাক"শব্দটা মনে মনে বলেছে আর দিলাম শব্দটুকু উচ্চারণ করে বলেছে এর ফলে কি তালাক হবে?

২৩/তালাক দেওয়ার নিয়তে যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য কিরে শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করে তাহলে কি তালাক হবে? তালাকের আগে পড়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করে নাই।

২৪/তালাক কার্জকর হওয়ার জন্য কি নিয়তের প্রয়োজন নাকি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলেই তালাক হয়ে যাবে?নিয়ত থাকুক বা না থাকুক।নিয়ত ছাড়া তালাক কি শরিয়ত সম্মত?

২৫/কোনো ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলেছে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। তার কিছুক্ষন পরেই সে ব্যক্তির সন্দেহ হচ্ছে যে সে কি শুধু তালাক হয়ে যাবে নাকি সাথে কোনো শর্ত আরোপ করেছিলো। এখন নিশ্চিত হতে পারতেছেনা এর ফলে সে ব্যক্তি যদি ওই কাজটা করে তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে? সে এই কাজটা করলে বউ তালাক হবে এটা বলেছে কিন্তু পরে তার সন্দেহ হচ্ছে।
২৬/ ২৫ নং প্রশ্নের ব্যক্তির যদি এমন সন্দেহ হয় যে সে কি তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে নাকি উদ্দেশ্য না করেই বলেছে এর ফলে কি তালাক হবে?
২৭/ধরেই নিলাম সে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই এরুপ বলেছে কিন্তু পরে সন্দেহের মধ্যে পরেছে এবং নিশ্চিত হতে পারতেছেনা এর ফলে কি স্ত্রী তালাক হবে?
কয়েকটা প্রশ্ন শুধু জানার জন্য,,,,
১/হানাফি মাজহাব মতে বিয়ার পুর্বে কেউ যদি শর্ত জুক্ত তালাক দেয় তাহলে বিয়ার পরে তালাক হয়ে যাবে।কিন্তু শায়েফি মাজহাবে তালাক হবেনা।এখন যদি আমি দুইটাই জাচাই করে দেখি যে শায়েফি মাজহাবের ফতোয়াটা বেশি শক্তিশালি বা বেশি যুক্তি সম্পন্ন আর হানাফির মাজহাবের ফতোয়াটা দুর্বল। এক্ষেতে আমি যদি নিশ্চিত হই যে শায়েফি মাজহাবের ফতোয়াটা সব দিক দিয়ে গ্রহণ করা যাবে আর হানাফি মাজহাবের ফতোয়াটা সব দিক দিয়ে গ্রহণ করা জাবেনা।

একটা উদাহরণ,,, হানাফি মাজহাব মতে কেউ এমন কথা বলে রাখলে সে আর বিয়া করবে কেন?যেহেতু বিয়ার সাথে সাথে বউ তালাক হয়ে যাবে?

শায়েফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী, বিয়া করাকে কেউ তার নিজের জন্য হারাম বানাতে পারবেনা যেহেতু বিয়া করা তাদের জন্য সুন্নত জাদের সামর্থ আছে।তাই সুন্নত আমল থেকে জাতে বিরত হওয়া জায় এমন কোনো কথা বললে সেই সুন্নত আমল তার জন্য বিরত করা সম্ভবনা।

আমি যদি জাচাই বাচাই করে চার মাজহাবের মধ্যে যেটা বেশি শক্তিশালি আর জুক্তি সম্পন্ন সেটা মানি তাহলে কি আমার পাপা হবে?
যদি যে কোনো একটা মাজহাবের অনুসরন করতে হয় এবং ওই মাজহাবের একটা ভুল কিয়াস বা ফতোয়া ফেলাম কিন্তু অন্য মাজহাবে সঠিক ফতোয়া পেলাম তাহলে কি আমি জেনে শুনে ভুল কিয়াসের উপরে ভরসা করবো?

আমি একজন হানাফি মাজহাবের অনুসারি শুধু জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।


একটা একটা করে উত্তর দিবেন।অর্থাৎ আমার প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর দিলে ভালো হয়।অন্য প্রশ্নের উত্তরের লিংক দিলে বুঝতে সমস্যা হয়
by (709,720 points)
আপনি কি জুম ক্লাস করতে পারবেন

1 Answer

0 votes
by (709,720 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যতগুলো প্রশ্ন করেছেন, সবগুলো প্রশ্নর একটিই কারণ।সেটা হল, ওয়াসওয়াসা। আপনার কোনো তালাক হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা রোগীদের তালাক হয় না।

আপনার জন্য একটি জুম ক্লাস করতে সম্মত আছি।আপনার প্রশ্নগুলোর জবাব জুম ক্লাস ব্যতিত ফায়দা দায়ক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...