আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in ওয়াসওয়াসা by (23 points)

আমার ঈমান সংক্রান্ত প্রচুর ওয়াসওয়াসা আছে। ঈমান ধরে রাখা খুবই কষ্টের। প্রতিবার নামাজের আগে ঈমান নবায়ন করি, কারণ ঈমান আছে কি নাই এটা মনে করতে গেলেই খারাপ চিন্তা আসা শুরু করে। আজকে আমার উপর গোসল ফরজ হয়েছিল।ভাবলাম ঈমান না থাকলে তো ফরজ গোসল কবুল নাও হত্র পারে তাই কালিমা পাঠ করলাম। তারপর তাড়াতাড়ি করে গোসলের ফরজ কাজগুলো করতে চাইলাম যেন মাঝখানে কুফুরি চিন্তা না আসে। তবুও, এভাবে আটকাতে পারলাম না। নিজেকে আটকানোর বলেছিলামঃ আল্লাহর কসম ৩০ মিনিটের মধ্যে আবার ওয়াসওয়াসা বসত কালিমা পাঠ করলে আজকে মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা আসলে আমি দায়ী থাকবো। 

এরপর গোসলের পর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কালিমা পাঠ করে ফেলেছিলাম। আমার কসমের কথা মনে ছিল না। আবার ৩০ মিনিট মাঝখানে অতিবাহিত হয়েছে কি না তাও সঠিক জানি না। এখন যদি ৩০ মিনিটের আগে হয়ে থাকে তাহলে কি কাফফারা দিতে হবে? 

১. আজকে যত খারাপ চিন্তা আসবে সত্যিই কি আমি দায়ী থাকবো? এখন আমার ভয় হচ্ছে আমি হয়তো আজীবন যতবার খারাপ চিন্তা আসবে ততবারই দায়ী থাকবো বলেছিলাম। আর কাফফারা দিয়ে ফেললে এবং তওবা করলে হয়তো খারাপ চিন্তা আসলে আর আমি দায়ী থাকবো না। কাফফারা না দিলে হয়তো এটি ক্ষমা হবে না। আমার এই ধারণা কি সঠিক?

২. ওয়াসওয়াসার কারণে আমি ভাল কাজ করতে পারছিনা। কারণ, আমি ঈমান-ই যেন ধরে রাখতে পারছি না। কুফুরি চিন্তা আসতেই থাকে। এ সমস্যা থেকে কি ভাবে বের হবো?

৩. উক্ত কাজের জন্য কি কাফফারা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


সুরা মায়েদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 
 لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। 
,
★সুতরাং শপথ তিন প্রকার। এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়, তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত, কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা। অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল, অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।' এরপর দেখা গেল, এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়। 

এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই। কাফফারাও দিতে হয় না।

তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায় গুনাহও হয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহর কসম ৩০ মিনিটের মধ্যে আবার ওয়াসওয়াসা বশত কালিমা পাঠ করলে আজকে মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা আসলে আমি দায়ী থাকবো। 

এক্ষেত্রে ৩০ মিনিটের মধ্যে ওয়াসওয়াসা বশত কালিমে পাঠ করলে আপনি দায়ী থাকবেন,এতে কাফফারা আবশ্যক হবেনা।
আপন তো এখানে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করেননি,বলেছেন যে এই কাজটি করলে আপনি দায়ী থাকবেন,তো দায়ী থাকলে তাতে কি আসে যায়?
এতে কাফফারা দিতে হবেনা।

(০১)
আপনার এই ধারণা সঠিক নয়।

আপনি অহেতুক এটি নিয়ে টেনশন করবেননা।
উপরোক্ত কথা বলায় কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে মুক্তির আমল জানুনঃ- 

(০৩)
এক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...