আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আগের প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছেন  ওয়াস ওয়াসা বেক্তির তালাক হই না।এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে আমি যখন অইগুলা বলসি তখন আমাকে ওয়াস ওয়াসার রোগি বলবে কিনা।আমি আপনাকে বলতেছি আমার যত টুকু মনে আছে। অন্য  কোন বিষয় নিয়া কোন সমস্যা নেই। শুধু এই তালাকের ওয়াস ওয়াসা ছাড়া।

১.আমি আগে শুধু তালাকের সুন্নত  নিয়ম জানতাম।কেনায়া তালাক জানতাম না।কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানার পর গুগল এ অনেক গাটাগাটি করছি তালাক বিষয়  এ অনেক ওয়াজ শুনছি।তখন থেকে চিন্তা ঢুকছে।এভাবে একদিন এই পেজ এর সন্ধান পায়।তখন অনেকের তালাক বিষয় প্রশ্ন আর উত্তর দেখে চিন্তা বেরে জাই।মনে হতে থাকে আমার সাথেও এগুলা হইছে।আমিও অনেক প্রশ্ন করি এখানে।একটার সমাধান  পাইলে অন্য একটা মনে আসে।আর হাসবেন্ড  কে খালি সেসব নিয়ে বার বার জিজ্ঞেস  করতে থাকি।সে একি কথা অনেকবার বললেও আবার শুনতে ইচ্ছে হইত।যখন বলত তখন ভালো লাগত কিছু ক্ষন পর আবার চিন্তা হইত।রাতে ঘোম থেকে অস্থির হয়ে উঠতাম এগুলা মনে হইয়া।এভাবে এক ২ মাস গেসে হইত।তখন এই পেজ থেকে মাসালা জানতে পারি মেয়েরা এভাবে বললে তালাক হই।তখন আমি শুধু কাবিন নামার বিষয় জানতাম যে আমার অধিকার নাই।এই অবস্থায়।হটাৎ করে মাথায় শুধু তালাকের চিন্তা চলে আসে।অনেক চেষ্টা করতাম না বলতে।কিন্তু মনে আসত তালাক নিয়া ফেল নিয়া ফেলসি।যখন তালাক বলসি তখন মনে হইছে অধিকার নাই বললে কিছু হবে না।যখন মনে আসত বা মুখে আসত তখন আস্তাগফিরুল্লাহ পরতাম।আবার বলতাম না।আবার বলতাম নিলাম না দিলাম।মানে অনেক উল্টা পাল্টা বলতাম।মানে এগুলা বললে যে কোন সমস্যা হতে পারে মাথায়  আসত না।তখন ভাবতাম অধিকার  নাই বললে কিছু হবে না। আবার চিন্তা  হত আল্লাহ  কি বইলা ফেললাম।আমি তালাক নেওয়ার নিয়তে  এগুলা বলি নাই।আমি যে সংসার করবো  না এই নিয়তে বলি নাই।এত বার মনে আসত দেইখা শুইয়া পরতাম গুমানোর চেষ্টা করতাম।অন্য দিকে মনযোগ দেওয়ার চেষ্টা করতাম।কিছু দিন পর এইটা চইলা যাই আবার হাসবেন্ড  এর দিক থেকে জা হইছে তা নিয়া মাসালা  নেওয়া শুরু  করি।এখন পরজন্ত এসব থেকে বার হইতে পারতেসি না।এখন ৭ মাস চলে।এখনো মনে এগুলা আসে।মাসালা জানি তার পর ও ভিতর  থেকে বার হইনা। হাসবেন্ড বা কেও সাভাবিক কথা বল্লেও চিন্তা  হই।

১.আমাকে কি সেই সময় ওয়াস ওয়াসার রোগি বলবে?আমার বলাই কি কোন সমস্যা  হবে না।একটু পইরা বলেন আমি চিন্তা মুক্ত হয়ে সংসার করে যাব কিনা।

এই সমস্যা  হওয়ার পর থেকে মনে হই আমি আমল থেকে দূরে সরে গেসি।কারও বুজ কাজে আসে না।মরতে মন চাই অনেক সময়  যে মরলেই বোধ হই সব ঠিক হবে।পেটে বাচ্চা  ছিল তখন ও তার কথা চিন্তা  হত না।খারাপ কাজ করলে এসব মনে হই না।কিন্তু  আমল করতে গেলে মনে হই যে এমনেই জেনার পাপ হচ্ছে  আমল কইরা কি হবে

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো তালাক হয় না। আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি, আপনার আলোচনা পড়লে, যে কেউ এ সিদ্ধান্ত দিবে যে, আপনি শুধু ওয়াসওয়াসা রোগে নয় বরং কঠিন ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত আছেন। আপনার সাংসারিক জীবনে কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...