আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
Assalamualaikum Wa rohmatullohi wa barokatuh
১.আমি গতকাল আসরের সালাত পড়তে গিয়ে অনেক ওয়াসওয়াসা আসছিল। তাই আসরের সালাত অনেকবার পড়েছি কিন্তু তাও ওয়াসওয়াসা আসছিল তাই লাস্ট বারের মতো নামায ভালো ভাবে পড়ার ট্রাই করছিলাম তখন হঠাৎ ওয়াসওয়াসা এলো আমি সূরা ফাতিহার কোনো আয়াত দুইবার পড়েছি(আগের সালাত গুলো তে পড়েছি নাকি লাস্ট বারের সালাতে মনে করতে পারছিলাম না)তাই আমি পাত্তা দি নিই।কারণ আমি Depressed হয়ে গিয়েছিলাম তাহাররি করে মনে করতে পারছিলাম না।আমার জন্য আবার সালাত পড়াটা কষ্ট হয়ে যেতো।তাই আমি শেষে সাহু সিজদা দিই।আমার কি আবার সালাত পড়তে হবে? কারণ আমি সূরা ফাতিহা পড়েছি কোনো আয়াত হয়তো দুইবার পড়েছি এইটা কোন সালাতে মনে করতে পারছিলাম না আমার কি গুনাহ হবে?

১.১ আমি মনোযোগী হয়ে সালাত শুরু করলেও আবার ওয়াসওয়াসা আসে। যেহেতু ওয়াসওয়াসা আসে মনোযোগী হওয়া কঠিন হচ্ছে একটু আমি কী করতে পারি?

২.বারবার সালাত পড়ার ফলে কাজে বারাকাহ পাচ্ছিনা। সালাত পড়ে শান্তি পাচ্ছিনা। কখনো পাই কখনো পাই না এমন। এখন আমি কি করতে পারি? আমাকে একটু নসিহাহ করবেন উস্তাদ। কিভাবে মেইনটেইন করব সালাত? কিভাবে সালাত পড়লে বারাকাহ পাবো? মানে অনেক টাইম লেগে যায় সালাতে। এখন কী করতে পারি/?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিষয়ে নিশ্চিত ইয়াকিন বিশ্বাস জন্মাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি মনে করবেন যে, আপনার নামায সহীহ হয়েছে।

(১.১) আপনি সন্দেহকে পাত্তা না দিয়ে নামাযকে চালিয়ে যাবেন।

(২)
আপনি নেককার কোনো লোকের সংস্পর্শে দীর্ঘক্ষণ সময় ব্যয় করবেন। নেককার লোকের সাথে সদাসর্বদা সুসম্পর্ক রাখবেন, তাহলে অবশ্যই আপনি ইবাদতে শান্তি পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 66 views
0 votes
1 answer 105 views
...