আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের অফিসের বেশীরভাগ ইমপ্লয়ি দেড়ি করে অফিসে আসে। একাধিকবার বলার পরেও কাজ হচ্ছে না। দুইদিন ঠিক থাকে তো আবার আগের মতো। এর কারন হচ্ছে আমরা বার বার বলি যে সেলারি কাটা যাবে কিন্তু বিগত ৩ বছরে একবারের জন্যেও কারো সেলারি কাটা হয়নি। ভেবেছি যে সেলারি কাটলে এটা হয়তো জায়েজ হবে না।

কখন নিয়ম করে দিয়েছিলাম আগামী মাস থেকে ৩ দিন লেট কামিং ১ দিনের সেলারি কাটা। সেটাও আমরা কার্যকর করিনি। কিন্তু তাদের লেট কামিং বন্ধ হয় না।
আমরা এই অবস্থায় কি করতে পারি? আমাদের ব্যবসায়ের মালিক তিনি ইসলাম এতোটা ফলো করেন না। তাই তিনি বিরক্ত যে আমরা তাদের সেলারি কাটি না। যদি ১ ঘন্টা লেটের কারনে ১ ঘন্টার সেলারি কাটা হলে মাসে ৩০০ টাকা বা ৪০০ টাকা কাটা যায় এবং এই টাকা তাদের গায়ে লাগে না। যদিও এই টাকাও আমরা এখনো কাটিনি।
আমাদের জানা মতে কাজের অতিরিক্ত সেলারি কাটা যাবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি সেলারি না কেটে ফাইন ধার্য করতে পারবো?
---যে ৩০ মিনিট লেট হলে ৫০ টাকা। ১ ঘন্টা লেট হলে ১০০ টাকা এবং এর বেশি লেট হলে সেদিনের আর অফিসে তার জন্যে এলাউ হবে না বা বাসায় চলে যাবে।
---অথবা অন্য কোন পরামর্শ যদি থাকে। জানাবেন।
জাযাকাল্লহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অার্থিক জরিমান সম্পর্কে হানাফি ফিকহে কিছুটা মতপার্থক্য হয়েছে। ইমাম আবু হানিফা রাহ এবং ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণই নাজায়েয। তবে ইমাম আবু ইউসুফ রাহ দৃষ্টিতে জায়েয। ফিকহের কিতাবে উভয় রকম আলোচনা পাওয়া যায়,

আর্থিক জরিমানার অগ্রহণযোগ্য, এ বিষয়ে লিখিত রয়েছে,
 
لما في الشامية:
"وأفاد في البزازية: أن معنى التعزير بأخذ المال على القول به إمساك شيء من ماله عنه مدةً؛ لينزجر ثم يعيده الحاكم إليه، لا أن يأخذه الحاكم لنفسه أو لبيت المال كما يتوهمه الظلمة إذ لا يجوز لأحد من المسلمين أخذ مال أحد بغير سبب شرعي ... وفي شرح الآثار: التعزير بالمال كان في ابتداء الإسلام ثم نسخ. اهـ."( کتاب الحدود، باب التعزیر، ج: 4، صفحہ: 61، ط: ایچ، ایم، سعید)

و في الشامية
"مطلب في التعزير بأخذ المال (قوله لا بأخذ مال في المذهب) قال في الفتح : وعن أبي يوسف يجوز التعزير للسلطان بأخذ المال، وعندهما وباقي الأئمة لا يجوز، ومثله في المعراج، وظاهره أن ذلك رواية ضعيفة عن أبي يوسف، قال في الشرنبلالية : ولا يفتى بهذا لما فيه من تسليط الظلمة على أخذ مال الناس فيأكلونه، ومثله في شرح الوهبانية عن ابن وهبان......... وفي شرح الآثار: التعزير بالمال كان في ابتداء الإسلام ثم نسخ، و الحاصل أن المذهب عدم التعزير بأخذ المال".(کتاب الحدود، باب التعزیز، ج: 4، ص: 62، ط: سعید)

…يَجُوزُ التَّعْزِيرُ بِأَخْذِ الْمَالِ وَهُوَ مَذْهَبُ أَبِي يُوسُفَ وَبِهِ قَالَ مَالِكٌ ، وَمَنْ قَالَ : إنَّ الْعُقُوبَةَ الْمَالِيَّةَ مَنْسُوخَةٌ فَقَدْ غَلِطَ عَلَى مَذَاهِبِ الْأَئِمَّةِ نَقْلًا وَاسْتِدْلَالًا وَلَيْسَ بِسَهْلٍ دَعْوَى نَسْخِهَا .وَفِعْلُ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ وَأَكَابِرِ الصَّحَابَةِ لَهَا بَعْدَ مَوْتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُبْطِلٌ لِدَعْوَى نَسْخِهَا ، وَالْمُدَّعُونَ لِلنَّسْخِ لَيْسَ مَعَهُمْ سُنَّةٌ وَلَا إجْمَاعٌ يُصَحِّحُ دَعْوَاهُمْ۔
(معین الحکام،فصل التعزیرلا یختص بفعل معین: 231)
3…وفي الْمُجْتَبَى لم يذكر كَيْفِيَّةَ الْأَخْذِ وَأَرَى أَنْ يَأْخُذَهَا فَيُمْسِكَهَا فَإِنْ أَيِسَ من تَوْبَتِهِ يَصْرِفُهَا إلَى ما يَرَى۔
(البحر الرائق،کتاب الحدود 44/5)


আর্থিক জরিমানার গ্রহণযোগ্য, এ বিষয়ে লিখিত রয়েছে,

وَفِي الْخُلَاصَةِ سَمِعْت عَنْ ثِقَةٍ أَنَّ التَّعْزِیرَ بِأَخْذِ الْمَالِ إنْ رَأَی الْقَاضِي ذَلِکَ أَوْ الْوَالِي جَازَ وَمِنْ جُمْلَةِ ذَلِکَ رَجُلٌ لَا یَحْضُرُ الْجَمَاعَةَ یَجُوزُ تَعْزِیرُهُ بِأَخْذِ الْمَالِ.(ابن نجیم، البحر الرائق، 5: 44، بیروت: دار المعرفة)


وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ : يَجُوزُ التَّعْزِيرُ لِلسُّلْطَانِ بِأَخْذِ الْمَالِ.
(ابن همام، فتح القدیر، 5: 345، بيروت: دار الفكر)



يَجُوزُ التَّعْزِيرُ بِأَخْذِ الْمَالِ وَهُوَ مَذْهَبُ أَبِي يُوسُفَ وَبِهِ قَالَ مَالِكٌ، وَمَنْ قَالَ: إنَّ الْعُقُوبَةَ الْمَالِيَّةَ مَنْسُوخَةٌ فَقَدْ غَلِطَ عَلَى مَذَاهِبِ الْأَئِمَّةِ نَقْلًا وَاسْتِدْلَالًا وَلَيْسَ بِسَهْلٍ دَعْوَى نَسْخِهَا.
(الطرابلسي، معين الحكام فيما يتردد بين الخصمين من الأحكام، 1: 195، دارالفكر)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হল, আপনারা অার্থিক জরিমানায় কখনো যাবেন না। বরং আপনারা এটা করতে পারেন, যার মাসে তিনদিন লেইট হবে।তাকে যে কোনো সময় বরখাস্ত করা যেতে পারে। দুয়েকজনের উপর আইন বাস্তবায়ন করে নিলে,দেখবেন আর কারো লেইট হচ্ছে না। অথবা এ নিয়মও করতে পারবেন যে, যার লেইট হবে,তিনি আর সেদিন জয়েন হতে পারবেন না।এবং সাথে আরো দু'দিন বা তিনদিন জয়েন হওয়া থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। এবং সেই দিন সমূহের বেতনকেও কর্তন করা যাবে।কেননা তিনি তো কাজ করেননি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
তিনি আর সেদিন জয়েন হতে পারবেন না।এবং সাথে আরো দু'দিন বা তিনদিন জয়েন হওয়া থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। এবং সেই দিন সমূহের বেতনকেও কর্তন করা যাবে।কেননা তিনি তো কাজ করেননি।

---আলহামদুলিল্লাহ শায়েখ, অসাধারণ একটি সমাধান দিয়েছেন। শুকরিয়া।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...