আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার মামাতো বোন বিয়ের আগে এক ছেলের সাথে ভেগে গিয়েছিল।  তারপর তাকে সেই দিন রাতে নিয়ে আসে। কয়েক মাস পর তাকে অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দেয়।আমার বোনের এক ছেলে আছে।তারপর বিবাহিত থাকা অবস্থায় এক ছেলের সাথে ফোনের মাধ্যমে তার সম্পর্ক হয়।তারপর ঐ ছেলের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পর।সে আরেক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। তার সাথে অনেক জায়গায় ঘুরতে যেত।তার বাসায়ও তাকে নিত।তার শশুর বাড়ির মানুষ জানার পরে তার মাকে ডেকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠায়।কিন্তু সে তার হাজবেনড এর সাথে থাকতে চায় না।তার হাজবেন তাকে নিতে চাইতো। তার বাবা - মা ও তাকে তার হাজবেনড এর কাছে দিতে চাইতো। কিন্তু সে রাজি না। যার সাথে লাস্ট সম্পর্ক হইছে তাকে বিয়ে করতে চায়। আমরা যখন দেখতে যেতাম তখন আমাদের মোবাইল দিয়ে কথা বলতো।আমাদের বাসায় আমার মামাতো বোনকে আনছিল। সে আমার ফোন দিয়ে ঐছেলের সাথে কথা বলতো। যা তার বাবা - মা জানতো না। আমাদের বাসায় ১মাস থাকার পর তাদের বাসায় যায় এবং পর ৩-৪ দিন পর ঐছেলের সাথে ভেগে  যায়।যখন সে ভেগে গিয়েছিল তখনো তার ডির্ভোস হয়নি।ঐ ছেলের সাথে ভেগে যাওয়ার পরে সে বিয়ে করে। তারপর তার আগের হাজবেনড এর সাথে ডির্ভোস হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে -

১. সে এগুলো যা করছে নিজ ইচ্ছায় করছে।কিন্তু যখন আমরা তার সাথে দেখা করতে যেতাম তখন আমাদের ফোন দিয়ে কথা বলতো।আমাদের বাড়িতে ১ মাস ছিল সে প্রতিদিন আমার ফোন দিয়ে কথা বলতো। ১ দিন তার সাথে দেখাও করছে। আমাদের বাড়িতে ১ দিন আসছিল।যা তার পরিবারের কেউ জানে না।৩-৪ দিন পরে ভেগে গিয়ে তাকেই বিয়ে করে।

যেহেতু সে আমার ফোন দিয়ে কথা বলছে।এতে কী আমার গোনাহ হবে?

২.আমাদের বাসায় ১ মাস থাকার পর। তাদের বাসায় যায়। তাদের বাসায় যাওয়ার ৩-৪ দিন পর ভেগে গিয়েছিল তখন তার মায়ের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর। 
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে যেহেতু আপনার ফোন দিয়ে কথা বলেছিলো,সুতরাং আপনার গুনাহের কাজে সহযোগিতা করার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...