আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
১.কোন মেয়ে প্রেম করতো। মেয়েটার মা সেই ছেলেকে বলছে আমার মেয়েকে বৌ  বলে ডাকতে পারো না ছেলেটা বলছে যখন হবে তখন দেখবো। মেয়েটা এই সম্পর্কে কিছু জানতো না। মেয়েটা তার মাকে এমন কথা বলতে বলে নাই। পরে মেয়েটা তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পেরে সেদিনই ছেলেটাকে ম্যাসেজ করে বলে যে সে তার মাকে এমন কথা বলতে বলে নাই। যখন এমন কথা হইছে তখন কি কোন দুজন সাক্ষী ছিল বা কোন লোকজন ছিল সে ছেলেটা বলছে না সে একা ছিল রুমে আরও বলছে লোকজন রুমে থাকলে সে আমার কিংবা আমার মায়ের সাথে কথা বলে না। ছেলেটার কথা তো বিশ্বাস করা যাবে শায়েখ যে কোন দুজন সাক্ষী বা লোকজন ছিল না?
সে শতভাগ সত্যবাদী না। কিছু দিন আগেও ফোন দিয়ে আমার মাকে মিথ্যা বলছে যে তার সাথে আমার কথা হইছে তিন দিন আগে। কিন্তু আমার মা এর সাথে ঐ কথা নিয়ে সে কোন দাবি করে নাই যে লোক ছিল। তাকে জিজ্ঞেস করায় সে বলছিল কোন দুজন লোক বা সাক্ষী ছিল না।
শায়েখ প্রশ্ন হলো ছেলেটাকে বিশ্বাস করা যাবে যে কোন সাক্ষী ছিল না এবং মেয়েটা কিছু জানতো না তার মাকেও অনুমতি দেয় নাই তাহলে তো কোন ইজাব কবুল হয় নাই?
২. মেয়েটার কি এগুলো নিয়ে চিন্তা করা লাগবে?  তার অন্য বৈবাহিক জীবন তো শুদ্ধ তাই তো শায়েখ?
৩. মা তিনটা উত্তর এর ভেতর কনফিউশান ছিল যে যখন হবে তখন দেখবো, যখন হবে তখন বলবো, যখন হবে তখন ডাকাবো এই তিনটার ভেতর কনফিউশান ছিল কিন্তু মেয়ে তার মাকে অনুমতি দেই নাই সেটা শিওর ছিল মা এবং ছেলেটা হ্যা বা বৌ বা সম্মতিসূচক কিছু বলে নাই তা শিওর ছিল ।মেয়েটাও একটু ওয়াসওয়াসায় পড়ছিল অনুমতি দিছিল কিনা কিন্তু সাথে সাথে ই মনে পড়ে এমন কোন অনুমতি দেয় নি এবং মেয়েটা জানতোই না এমন কথা তার মা বলতে পারে। এখন মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ে হইছে সেটাই শুদ্ধ এবং এটা নিয়ে কি তার আর চিন্তা করা লাগবে?

৪. স্বামী বলছে তোমার সাথে আমার ডিভোর্স হয় না কেন কেন হয় না এ কথায় তালাক হয়?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান মতে শুধুমাত্র বর বৌ ডাকলে বিয়ে হয় না।
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে ইজাব কবুল হয়নি।
সুতরাং কাউকে কিছুই জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।

(০২)
মেয়েটার এগুলো নিয়ে চিন্তা করা লাগবেনা। 
তার অন্য বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।

(০৩)
এখন মেয়েটার যে অন্য জায়গায় বিবাহ হয়েছে, সেটাই শুদ্ধ এবং এটা নিয়ে তার আর চিন্তা করা লাগবেনা।

(০৪)
স্বামী বলছে তোমার সাথে আমার ডিভোর্স হয় না কেন কেন হয় না।

এ কথায় তালাক হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...