আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
553 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
আস সালামু আলাইকুম শায়েখ ।আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন দয়া করে।
যদি রকেট বিকাশ নগদ এসব এর এজেন্ট একাউন্ট কোনো ব্যাক্তি করে কোম্পানি থেকে।  তাহলে প্রতি  ১ লক্ষ টাকা যদি ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করে তাহলে ৮০০ টাকা কোম্পানি দোকানদারকে দিয়ে থাকে।  আর নরমালি পারসোনাল একাউন্ট এ টাকা তুলতে গেলে একেক কোম্পানির একেক রকম চার্জ কাটে সেটা  11.20 টাকা থেকে 18.50 টাকা মতো লাগে।
প্রশ্ন ১: এখন আমি যদি একটা এজেন্ট  একাউন্ট করি কোম্পানি থেকে এবং দোকানে ব্যবস্যা করি তাহলে এই টাকা কি জায়েজ কিনা।
প্রশ্ন২: কোনো ব্যাক্তি আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ  টাকা এজেন্ট নম্বরে বা পারসোনাল নম্বরে টাকা নিলো।  আমি দিলাম তার নম্বর এ । সে যখন আমাকে ফেরত পাঠাবে তখন সে এজেন্ট নম্বরে দিলে কোম্পানি আমাকে দিবে ৪০০ টাকা আর পাঠাইছিলাম যখন তখন দিবে৪০০  টাকা কোম্পানি ।তাহলে টোটাল ৮০০ টাকা।   কিন্তুু ওই ব্যাক্তি যদি  আমাকে পারসোনাল নম্বর এর টাকা দেয় তাহলে সে 1900-2000টাকা দেবে ।  কারন আমরা জানি বিকাশে হাজারে ১৮.৫০ টাকা করে কাটে সেই হিসেবে 2000 টাকা দিলো।  এভাবে ব্যবস্যা করা জায়েজ কিনা।
প্রশ্ন ৩: এই ট্রান্সফার এর ব্যবস্যা যদি আমি কাওকে বলি আপনি করেন আমি আপনাকে ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছি বিকাশ নম্বরে। বা আপনাকে ক্যাশ দিচ্ছি । আপনি লেনদেন করলে প্রতিদিন তো ৯০০-১০০০ টাকা পাবেন। আপনি আমাকে টাকাগুলো দিয়ে দিয়েন।  পরিচিত লোক সে লাভ নিবেনা সে আমাকে সবই দিয়ে দেবে।  তার সাথে কথা হয়েছে। এখন আমার নেওয়া কি জায়েজ কিনা।
হয়তো প্রশ্ন বুঝাতে পারিনি।  ঢাকার ভিতরে আপনাদের লোকেশন থাকলে দেখা করা কি যাবে এই ফাতওয়া ভালো মতো বুঝে নিতাম।
নাকি আমি ভয়েজ আকারে কি দিতে পারবো শায়েখ উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (662,370 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মোবাইল ব্যাংকিং সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউটের কাজ করে থাকে। ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি ‘আলইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে শ্রম/সেবা গ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’।আর এজেন্ট হচ্ছে শ্রম/সেবাদাতা যাকে বলা হয় ‘আজীর’ (বা মূল‘আজীরে’র প্রতিনিধি)।
এক সময়ে ডাক বিভাগের মানি অর্ডারকেও তখনকার উলামায়ে কেরাম এভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন। ‘আলইজারা’এর মৌলিক শর্তগুলো পাওয়া যাওয়ায় বিকাশ ব্যবসা জায়েয বলা যায়। তবে বিকাশ ব্যবসায়ী বা এজেন্টের জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরী।

১. পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসা করা যাবেনা, কেননা এটি আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
২. সেন্ড মানির সময় গ্রাহক থেকে কোন চার্জ নেয়া বা ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারের চেয়েও বেশি রাখা যেমন হাজারে ১৮.৫০ টাকার জায়গায় ২০/- টাকা বা তার চেয়ে বেশি রাখা কোনোক্রমেই জায়েয হবে না। কেননা এখানে এজেন্ট হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নিযুক্ত শ্রম/সেবাদাতা প্রতিনিধি (উকীল)।
কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত চার্জের বেশি নেওয়ার অধিকার তার নেই।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36025

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কম্পানির নিয়মের উল্টো কোনো প্রকার ব্যবসা আপনি করতে পারবেন না।জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (48 points)
আমি যদি ৫০ হাজার টাকা দিলাম একজনের।  সে তার এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে ব্যবস্যা করলো।  আমাকে বেনিফিট দিলো তাহলে কি হবে। 

আপনাকে হয়তো বুঝাতে পারছি না কোনোভাবে কি what's app এ ভয়েজ দেওয়া যাবে আপনাকে 
by (48 points)
কোনো ব্যাক্তি আমার কাছে কয়েকটি নম্বরে ৫০ হাজার টাকা চাইলো। আমি দিলাম টাকা।  এখন সে ব্যাক্তি আমাকে ক্যাশ 50 হাজার টাকা না দিয়ে বল্লো ।আমি আপনার বিকাশে দিয়ে দিচ্ছি।  আমি তখন বললাম তাহলে আমার টাকাটা আমার পারসোনাল নম্বর এ দেন।  

ওই ব্যাক্তি তখন হাজারে ১৮.৫০ টাকা এর জায়গায় নিজেই বল্লো ২০ করে দিচ্ছি ।আমি তাকে জোর করছি না সে নিজেই দিবে নিজ ইচ্ছায় ।কারণ অনেক লেনদেন এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী রা হাজারে নিজেদের ভিতরে 20 করে ধরেই কাজ করে।

এভাবে কি জায়েজ হবে
by (662,370 points)
০১৭১৭-৯১৭৬৮৬

by (662,370 points)
আপনি কল দিবেন
by (48 points)
কোন কোন সময়ে আপনাকে কল দেওয়া যাবে যদি বলতেন শায়েখ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...