আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।  কিছু মাসআলা ক্লিয়ার করলে ভালো হয় এবং ইমদাদুল হুজুর দিলে ভালো হয়।
আগে একবার বিকাশ এর মাসআলার জন্য লিখেছি ও কল দিয়েছি।  আপনারা বলেছেন পারসোনাল এ লেনদেন করা জায়েজ নেই।  আজকে আমি বিকাশ এর এজেন্ট সিম নিয়েছি।  হুজুর আপনি গ্রাহক হিসেবে প্রশ্নগুলো লিখছি তাহলে বুঝতে ভালো হবে আপনার জন্য আশা করি।
আমি বিকাশ এজেন্ট আপনি আমার পরিচিত গ্রাহক দীর্ঘদিন এর । আপনার বাসা সিলেট আমার বাসা ঢাকা।  আপনি একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন বিভিন্ন সিমে আপনি বিকাশ রকেট থেকে 5-10 লক্ষ বড় ধরনের টাকা নিয়ে থাকেন ।
এখন আমি ছোট ব্যবসায়ী সেভাবে প্রশ্ন লিখছি ।
প্রশ্ন ১: হুজুর মনে করেন আপনি আমার কাছে দুইটা নাম্বারে ৫০০০০ টাকা বিকাশে নিলেন। এখন আপনি তো এই ৫০ হাজার টাকা আমাকে ক্যাশ দিবেন। কিন্তু ধরুন আপনি দূরে থাকেন অথবা ঢাকার অন্য পাশে থাকেন আমি অন্য দিকে থাকি। আপনি আমার কাছে এসে ক্যাশ টাকা দিতে পারছেন না। এখন এই পঞ্চাশ হাজার টাকা আপনি খরচ সহ আমার পার্সোনাল বিকাশ রকেট অথবা নগদ নাম্বারে পাঠিয়ে দিলেন। পরে ৫০ হাজার টাকা আমি তুলে নিলাম। এভাবে ব্যবসা করা জায়েজ কিনা। আপনি বলেছিলেন পার্সোনাল নম্বরে ব্যবসা করা জায়েজ নেই তাই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করলাম

প্রশ্ন 2: আর একটা উপায় আছে আপনি আপনার নিজের বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা আমার নাম্বারে ক্যাশ আউট করে দিলে আমি ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ পেয়ে গেলাম। কিন্তু বিকাশের লিমিট তো ২৫ হাজার টাকা আপনি তো আর পাঠাতে পারবেন না। এজেন্ট টু এজেন্ট টাকা পাঠানো যায় না। কিন্তু আমাদের নগদে ব্যবসার ক্ষেত্রে লিমিট করা দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পার্সোনাল নাম্বার এই। সুতরাং আপনি আমাদের কাছে পার্সোনালে দুই তিন লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। এখন ২৫ হাজার টাকা আপনি আমাকে দিলেন বাকি ২৫ হাজার টাকা নগদে দিলেন এভাবে ব্যবসা করা জায়েজ কিনা।

প্রশ্ন ৩: পঞ্চাশ হাজার টাকা আপনি তোলার জন্য বিকাশের রুলস অনুযায়ী 18.50 টাকা অর্থাৎ ৮৫০ টাকা এর জায়গায় আমাকে এক হাজার টাকা দিলেন। এবং আপনি স্বেচ্ছায় দিলেন আমি আপনাকে জোর করিনি। এভাবে নেওয়া জায়েজ কিনা।

প্রশ্ন ৪: প্রতিদিন এভাবে আমি আপনাকে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই আর আপনি আমাকে ৫১ হাজার টাকা বিকাশ অথবা নগদ অথবা রকেটে পাঠিয়ে থাকেন। এখন আপনি যদি বলে থাকেন প্রতিদিন আপনাকে ১০০০ টাকা বেশি দিয়ে থাকি এবং এর থেকে যদি একটা চুক্তি করা যায়। আপনি আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিলেন এবং টাকাটা আমার কাছে থাকবে। আমি আপনাকে ওই এক হাজার টাকার মতো করে প্রতিদিন এক হাজার টাকা দিব। যেদিন আমর কোম্পানিতে টাকাগুলো আমি লেনদেন করতে পারবো না সেদিন আপনাকে এক হাজার টাকা দিব না। আপনার এই চুক্তিতে আমি কি হ্যাঁ বলতে পারি। কারণ প্রতিদিন এভাবে পার্সোনালে টাকা পাঠাতে এমনিতেও আমার ১০০০ টাকা খরচ হয়। সুতরাং টাকাটা আমার কাছে থাক আমি নিকটস্থ বিকাশ অথবা রকেট থেকে লেনদেন করি আর আপনার এক হাজার টাকা দিয়ে দেব। এভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে লেনদেন করা জায়েজ কিনা ।

নোট: এখানে  আপনি প্রতিদিন অনেক টাকার কোম্পানিতে ব্যবসা করেন সুতরাং ৫০০০০ টাকা আপনার কাছে কোন বিষয় না লেনদেন করা. এজন্য টাকার এমনটা ফিক্সড থাকছে।

আপনাকে হয়তো আমি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি মুফতি ইমদাদুল হক সাহেব যদি আপনি মানে বিষয়গুলো না বুঝতে পারেন। আপনার নাম্বার আমার নিকট আছে আপনি কমেন্ট করে আপনার একটি নির্দিষ্ট সময় বলবেন যখন আমি আপনাকে ফোন করতে পারি। হুজুর আমি এই মাসলা নিয়ে অনেক চিন্তিত আছি কারণ আমি ব্যবসা করতে পারছি না ঠিকমত। আমি চাইনা আমার ব্যবসায় একটি টাকা হারাম হোক সে আমার লাভ হোক বা লস হোক।

1 Answer

0 votes
by (713,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়াত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর আনাচে-কানাচে থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীন শিক্ষার জন্য আসবে। তারা তোমাদের নিকট আসলে তোমরা তাদের ভালো কাজের উপদেশ দিবে।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পূর্বের প্রশ্ন না বুঝে আপনাকে মুবাইলে যোগাযোগ করতে বলেছিলাম।তখন আপনি যোগাযোগ করেছিলেন,আপনার সাথে কথাও হয়েছে। আপনাকে বলবো, আপনি সরাসরি কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করেন, সরাসরি উপস্থিত হয়ে কোনো মুফতি সাহেবের সাথে আলোচনা করেন, এটা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে।হ্যা, আমার সাথে কলে কথা বলতে পারেন।তবে সরাসরি কারো সাথে আলোচনা করাটাই ফায়দাজনক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,160 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (44 points)
আগের প্রশ্নের থেকে এগুলো ভিন্ন ।আগে আপনার সাথে কথা হয়েছিলো সেগুলো বুঝেছি আমি।  

আর লিখিত এবং মৌখিক মুফতি সাহেব দের কাছেও যাবো ইনশাআল্লাহ ।তবে আপনাদের থেকেও মাসআলা নিলে গ্রহনযোগ্যতা বেশি লাগে আমার কাছে 
by (713,160 points)
আমাকে কল দিবেন।আর হ্যা, যাকে জিজ্ঞাসা করবেন, একজনকেই করবেন।যাকে আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়, শুধুমাত্র তার কাছেই মাস'আলা জিজ্ঞেস করবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...