আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

আমি একজন মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী । আমি ডাক্তারের ওষধ খাচ্ছি।

বিষয় হলো কিছুক্ষন আগে দেখতাম।

যে ব্যাক্তি বলবে সে মুরতাদ তার জন্য ওজর বিল যাহালাত তার জন্য প্রযোজ্য না।

আমি মুরতাদ মানে টা দেখলাম। দিয়ে মনে মনে শুধু মনে হচ্ছে আমি মুরতাদ । এই রকম হচ্ছে । আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা ।

হুজুর আমার ভয় এ জান শেষ হয়েগেলো । আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে মনে করছিনা । এমনি এমনি মনে চলে আসছে।

https://ifatwa.info/71319/   এই লিংকের উত্তরে বলা হয়েছে তালাক হবে না । আমি ঈমান নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম , তাই আবার প্রশ্ন করলাম । দুঃখিত হুজুর।
১. হুজুর আমার মনের মধ্যে এমন হচ্ছে আমার খুব ভয় লাগছে , ভয় পেয়ে আমি আমার স্ত্রী কে সমস্ত ঘটনা বলেছি, আর বলার ক্ষেত্রে সেই শব্দ টা বলতে হয়েছে( মুরতাদ),শুধু মাত্র স্ত্রীকে বোঝানোর ক্ষেত্রে বলেছি। ইচ্ছাকৃত বলিনি আর বলার কোনো নিয়ত ও ছিলনা । শুধু মাত্র আমার অবস্থা টা বোঝানোর ক্ষেত্রে ব্যাবহার করেছি।। আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী আমার অবস্তা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে তাই স্ত্রীকে বলছিলাম আমার এমন বাজে চিন্তা আসছে দিয়ে স্ত্রী সান্তনা দেই। আর সম্পূর্ণ বাক্যে আমি কখনো মন থেকে উচ্চরণ করিনি। আর আমি সেটা করতে ও পারিনা । ইনশাল্লাহ করবনা।

হুজুর স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য কি ঈমান চলে যাবে??

২. ভবিষ্যত এ যদি কোনো ভুল করে ফেলি আমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার জন্য ওজর বিল জাহালত গ্রাহ্য হবে তো?? আমার ঈমান থাকবে তো?? দয়া করে এই প্রশ্ন টা একটু বুঝিয়ে বলবেন। আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।

৩. হুজুর আমি ভীষণ ওয়াসওয়াসা মানসিক রুগী, নিজের এতটাই চিন্তা হচ্ছিলো যে , আমি ভয় পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আমার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি । হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি শুধু মাত্র তাকে আমার মনের প্রবলেম এর ওয়াসওয়াসা কথা বলেছি। হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৪. উক্ত কথা লেখার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে??

৫.এই প্রশ্নটা পড়তে গিয়ে মুরতাদ শব্দ টাও মনে মনে পড়া হয়ে যাচ্ছে বা হালকা উচ্চরণ করে পড়া হয়ে যাচ্ছে শুধু মাত্র প্রশ্ন টা পড়তে গিয়ে পড়া। তাছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই বা অন্য কোনো নিয়ত নেই। পুরো প্রশ্নটা পড়তে গিয়ে পড়া হয়ে যাচ্ছে এরজন্য কি ঈমান চলে যাবে??

৬. হুজুর আমার বিশাল ওয়াসওয়াসা , এই ওয়াসওয়াসা র জন্য আমি খুব কান্না করি আল্লাহ র কাছে। কিছু ক্ষন আগে কান্না করছিলাম আল্লাহর কাছে, আল্লাহ তুমি আমার ওয়াসওয়াসা ভালো করে দাও এই বলে। দিয়ে হঠাৎ মনে হলো কোনো হুজুর এর কাছে যাবো নাকি দিয়ে পরামর্শ নিবো ওয়াসওয়াসা বিষয় এ , আল্লাহ র কাছে কান্না করতে করতে হুজুর এর  ভাবনা হয়েছিল , মনে হয়েছিলো কোনো হুজুর এর কাছে গিয়ে কান্না করে সমস্ত ঘটনা বলে একটা পরামর্শ নিবো। আমি  আল্লাহর সাতে কাউকে তুলনা করিনি। আমার মনে মনে এমন ভাবনা হচ্ছিলো । আমি আল্লাহর কাছে কান্না করছিলাম হঠাৎ হুজুর এর কথা মনে পড়ছে নির্দিষ্ট কোনো হুজুর না। আমার খুবই ভয় হচ্ছে যে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে বলে। আমি বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে  । আমি আল্লাহর কাছে কান্না করছিলাম , কোথা থেকে কি হুজুর মনে পড়ে যাচ্ছে , আমি নিজেও জানিনা 

৬.২  হুজুর ওয়াসওয়াসা দুর করতে আমি মুভি না সিরিয়াল দেখতে লাগলাম , সেইখানে একটা হিন্দু মূর্তি ছিল দিয়ে হটাৎ মনে হলো এটা আমাদের গোপাল। মনে মনে বলেছি হুজুর অটোমেটিক হয়ে গিয়েছে আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। ওয়াসওয়াসা র  জন্য  হয়েছে , সঙ্গে সঙ্গে নিজের মাথায় দুই থাপ্পর মারি। হুজুর আমি এই গুলো মন থেকে উচ্চরণ করে বলিনি। ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে মনে এমন হয়েছে । 

এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে ।?? শেষ হয়ে যাচ্চি হুজুর ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না । ওয়াসওয়াসা র জন্য এই সব সমস্যা হচ্ছে । হুজুর এক্ষেত্রে কি আমার ঈমান চলে যাবে?? আমি মুখে একদমই উচ্চরণ করি নি । মনে মনে হয়েছে।

৬.৩ মনে মনে হচ্ছে আজ নামাজ পড়বনা , বা নামাজ ই পড়বনা ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হচ্ছে , সঙ্গে সঙ্গে ভয় এ নামাজ পড়ে আসলাম। এইগুলো আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা মনে মনে হয়ে যাচ্ছে । এর  জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে । হুজুর ঈমান ঠিক আছে তো??

**এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে??? আমি খুবই মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী।  বিশেষ অনুরোধ উত্তর গুলো দিবেন।

৬.৪ আজকে মাগরিব এর নামাজ পরে ছিলাম দিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম, বাইরে একটু ঝগড়া টাইপ এর কিছু হয় মন ভালো ছিল না , বাড়িতে বললো যা ঈসার নামাজ পড়ে আই, আমি বললাম আজ যাচ্ছিনা । একটু রেগেই বললাম । আমি নামাজ কে অসম্মান করিনি । রাগে মাথা ঠিক ছিল না তাই বললাম আজ যাবনা। ওয়াসওয়াসা র জন্য  এই রকম  উল্টো পাল্টা চিন্তা হওয়ার  জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
স্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার দরুন আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রেও আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
আপনার ঈমান থাকবে।

(০৩)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
উক্ত কথা লেখার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৬)
আপনি আল্লাহর কাছে এ থেকে মুক্তির দোয়া করতে পারেন

পাশাপাশি কোনো আলেমের কাছে পরামর্শের জন্যেও যেতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।

(৬.২)
এক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(৬.৩)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(৬.৪)
ওয়াসওয়াসা র জন্য এই রকম উল্টো পাল্টা চিন্তা হওয়ার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...