আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
349 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ ভাই।
আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।একটা গুুুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ চাই।
আমি একজন মেয়েকে পছন্দ করতাম আগে তার সাথে অবৈধ বা হারাম সম্পর্ক ছিলো। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে সম্পর্ক ছেড়ে  দিয়েছিলাম।তারপর আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ দ্বীনের পথে আনলেন।দ্বীনের পথে আসার পর আলহামদুলিল্লাহ আমার বিবাহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলো।সেই প্রয়োজনীয়তা থেকে বাবা মাকে অনেক বলার পর ও মেয়ে দেখলোনা।তাই আমি নিজে আবার অই মেয়েটাকে নক দিলাম এবং বললাম দ্বীনের পথে চললে তাকে আমি বিয়ে করে নিবো।আলহামদুলিল্লাহ সেও আল্লাহর রহমতে দ্বীনের পথে আসছে এখন।সেও বিয়ে করতে রাজী হলো এবং আমার পরিবার এবং মেয়ের পরিবার বসে কথা বললো।আমার পরিবার রাজী আছে কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজী ছিলোনা।এর মধ্যে আমার মায়ের পছন্দ করা একটি মেয়ের পরিবার থেকে শুনলাম যে অই মেয়ের বাবা হয়তো আমাকে দেখবে এবং পছন্দ হলে কথাবার্তা বলে রাখবে।এমতাবস্থায় আমি কি করবো?আবার আমার পছন্দ করা মেয়ের পরিবার এখন রাজী হইয়া গেছে।উল্লেখ্য আমার মায়ের পছন্দ করা মেয়ের পরিবার আমার পছন্দ করা মেয়ের পরিবার থেকেও বেশি দ্বীনদার এবং স্টার্ন্ডাড এবং মেয়েটিও তুলনামূলক অনেক দ্বীনদার।আমার কি করা উচিত এমতাবস্থায়?

পরিবার তো প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলো বা কথা বলেছিলো যদিও মেয়েপক্ষ প্রথমে নেগেটিভ কথা বলেছিলো কিন্তু এর মাঝেই আমার আম্মুর পছন্দ করা মেয়ের পক্ষ থেকে আমাকে দেখার একটা ব্যাপার আসছে, দেখা হলেই যে পছন্দ হবে তা নয়।কিন্তু এখন আবার আমার পছন্দ করা মেয়েপক্ষের থেকে পজিটিভ উত্তর আসছে।এমতাবস্থায় কি করবো আমরা?আমরা যদি মেয়েপক্ষকে না বলে দেই ব্যাপারটা কি প্রতারণার পর্যায়ে পড়বেনা?যেহেতু আমরা প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলাম

1 Answer

0 votes
by (717,960 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার আলোচনা থেকে যা বুঝলাম যে,এখানে শুধু পাত্রী দেখার বিষয় নয়,বরং প্রথমে আপনি একটি মেয়েকে অর্থাৎ যার সাথে আপনার হারাম সম্পর্ক ছিল,আপনি তাকে শর্তের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে,সে দ্বীনের পথে আসলে,অবশ্যই আপনি তাকে বিয়ে করবেন।সে আপনার শর্তকে মেনে নিয়েছে।সে দ্বীনের পথে চলে এসেছে।এখন উচিৎ আপনার ওয়াদাকে পূর্ণ করা।এবং আপনিও ওয়াদা পূর্ণ করে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন,তাই আপনার কৃত ওয়াদা পূর্ণ হয়ে গেছে।

যদি আপনার নিয়তে থাকে,বা আপনি তাকে বলে থাকেন যে, যেকোনো ভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি তাকে মেয়েকে বিয়ে করবেন,তাহলে আপনার কৃত ওয়াদা এখনও পূর্ণ হয়নি।আপনার জন্য এখনো সেই ওয়াদেকে পূর্ণ করা উচিৎ।

যদি আপনি এমন কোনো ওয়াদা না করে থাকেন,তাহলে আপনি তো বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন,ঐ পাত্রীর পরিবার আপনার প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছিলো,সুতরাং আপনার ওয়াদা পূর্ণ হয়ে গেছে।এখন আপনি যে কোনো পাত্রীকে গ্রহণ করতে পারেন,যেহেতু কারো সাথে এখনও পাক্কা কোনো আলোচনা হয়নি।এবং পাত্রীদ্বয়ও দ্বীনদার।সুতরাং আপনি যেকোনো পাত্রীকে গ্রহণ করে নিতে পারবেন।

কোন পাত্রীকে গ্রহণ করবেন ?
এ সম্পর্কে যদি কোনো সিদ্ধান্তে পৌছতে না পারলে নিম্নোক্ত হাদীসের দিকে তাকাবেন।
যে পাত্রীর কাছে নিম্নোক্ত চারটি গুনের মধ্য থেকে বেশী সংখ্যক গুনাগুন পাবেন,তাকেই বিয়ে করে নিবেন-
যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 18


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তারা আমাদের প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ নাকচ করেনি কিন্তু পরোক্ষভাবে না সমতূল্য কথা বলেছিলো।এক্ষেত্রে স্বভাবতই না ধরে নেয়াটা স্বাভাবিক ছিলো।ওয়াদা কি পূর্ণ হয়েছে?মেয়ে আমাকে বলেছিলো তার ভাই বিয়েতে রাজী না তবে এটা আমার পরিবারকে জানাইতে নিষেধ করেছিলো,কিন্তু এটা আমি বলে দিয়েছিলাম।মেয়েটা আমার প্রতি দূর্বল বেশি আর সেজন্য সে অনেকভাবে বুঝিয়ে তার পরিবারকে রাজী করেছিলো তারপর ও ওদের না করে দেয়াটা কি উচিত হয়েছে?
by (717,960 points)
যেহেতু মেয়ে অনেক কষ্ট করেছে,এবং সে দ্বিনদ্বারও।তাই তাকেই বিয়ে করতে পারেন।যেহেতু তার সম্পর্কে পূর্ব থেকেই জানাশোনা রয়েছে।তাই তার সাথে মানিয়ে নিতে ভালো হবে।
এখানে মূূূূ লত কোনো বাধ্বাদকতা 
by
যদি মেয়েটাকে বিয়ে না করি তা কি প্রতারণার পর্যায়ে পড়বে?মায়ের পছন্দ না এবং পরিবারের পছন্দ না তাই চাচ্ছিলাম মায়ের পছন্দ যে তাকেই প্রাধান্য দেই।
by (717,960 points)
প্রতারণা হবে না।আপনি মায়ের পছন্দ কে প্রাধান্য দিতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...