আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা। আমি যখন ই ওজু করতে যাই আমার মনে হয় আমার বায়ু এসেছে।এবং আমার সব সময় নামাজ এ দারালে বায়ু আসে। যেমন আমি যোহর এর নামাজের জন্য ওযু করবো তো ওযু যত বার ই করি মনে হলো আমার ওযু ভেঙে যাচ্ছে বায়ু বের হচ্ছে। এরপর নামাজে থাকলে বার বার মনে হয় ওযু চলে গেল।তো আমি নামাজ পরতে থাকি। আর এরপর যখন সত্যি সত্যি অনুভব হয় যে বায়ু এসেছে তখন আমি আর ওযু করি না। আমার সব সময় নামাজে বায়ুর সমস্যা থাকে প্রায় প্রতি ওয়াক্তে বায়ু আসে।তো আমি কি প্রতি ওয়াক্তে একবার ওযু করবো। অনেক সময় এমন হয় যে যেমন আমি যোহর এর ওয়াক্তে ওয়ু করলাম এরপর ফরজ নামাজে মনে হলো ওযু চলে গেছে তারপর ও নামাজ চালিয়ে যাই।এরপর আমি আমার কাজা নামাজ পড়ার জন্য যখন আবার ওযু করি তখন ও আমার বায়ু চলে আসে।আসে আবার একবার হয়তো বের হয় পরের বার বের হয় না।তারপর আর নরমালি বায়ু এসেছে কিনা জানি না আমি শুয়ে ছিলাম হয়তো ঘুমিয়ে ও ছিলাম তাই শিওর জানি না। এখন আসর এর ওয়াক্তে ও নামাজে মনে হয়েছে বায়ু বের হয়েছে। আমার এ সমস্যা গুলোর জন্য কি আমি প্রতি ওয়াক্তে একবার ওযু করবো? আর ২য় প্রশ্ন হলো যে প্রতি ওয়াক্তে যদি একবার ওযু করতে হয়।তাহলে কি ঐ এক ওযু দিয়ে কাজা নামাজ আদায় করা যাবে।নাকি কাজা নামাজের জন্য আবার নতুন করে ওযু করবো

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত তথা  সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়। 
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ 

উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’ 

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি মা'যুর বলে গন্য হবেননা।
এক্ষেত্রে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, অযুর পর বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে বা বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ/গন্ধ কিছুই না পেলে সেক্ষেত্রে অযু আছে বলেই ধরে নিবেন।

তবে বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে বা বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ/গন্ধ পেলে সেক্ষেত্রে আপনি নামাজে থাকলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অযু করে আসবেন।

অবস্থাতেও নামাজ চালিয়ে যাওয়া আপনার জন্য জায়েজ হবেনা। 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি নামাজের মধ্যে বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ/গন্ধ না পান,নিশ্চিতও না হোন,সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।

যদি নিশ্চিত হোন যে বায়ু বের হয়েছে,সেক্ষেত্রে কোনো কথাবার্তা না বলে সরাসরি অযু করে এসে যেখানে নামাজ ছেড়ে দিয়েছেন,ঠিক সেখান থেকেই বাকি নামাজ আদায় করবেন।

পুনরায় শুরু থেকে নামাজ আদায় করতে হবেনা।
যেমন ৩য় রাকাতে রুকুতে অযু ভেঙ্গে গিয়েছিলো,সেক্ষেত্রে অযু করে এসে তাকবির বলে ৩য় রাকাতের রুকুতে চলে যাবেন,ও বাকি নামাজ শেষ করবেন।

আর যদি নিশ্চিত হোন যে বায়ু বের হয়নি,বায়ু বের হওয়ার আওয়াজ/গন্ধও পাওয়া যায়নি,সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যায়নি ধরে নামাজ চালিয়ে যাবেন।

এক্ষেত্রে চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ থাকবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 125 views
+2 votes
1 answer 216 views
...