আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

আমার মায়ের পা গুরুতর ভাবে কেটে যাওয়ার তাকে এন্টিবায়োটিক খেতে হয়।সাহরির পর খেতে ভুলে গিয়ে আজানের সাথে সাথে মনে পড়লে আমি খেতে পারবে ভেবে তাকে খাওয়ায়।সে যদিও খেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিলো।তাও আমার কথায় খায়।এখন আমার মায়ের রোজা কি ভেঙে গেলো।নাকি হয়ে যাবে?

এই স্বল্প জ্ঞানের কারনে আমিও ভুল বশত আজানের সাথে সাথে পানি খেয়ে ফেলি একবার।এর জন্য কি কাফফরা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা বাকারা,১৮৭


★চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বে সেহরীর শেষ টাইম লিখে দেয়া থাকে, সুতরাং নিজ ইবাদতকে হেফাজত করার স্বার্থে  সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বেই খাবারদাবার শেষ করা ও উচিৎ ও  জরুরী।তবে যদি সঙ্গত কোনো কারণে দু-তিন মিনিট দেড়ী হয়ে যায়,তাহলেও রোযা হবে।কেননা ৩ মিনিট তো রিজার্ভ রয়েছে।যা প্রয়োজনের মূহুর্তে ব্যবহার করা হবে।কিন্তু ৩ মিনিট থেকে একটি মূহুর্তও আর ক্ষমাযোগ্য হবে না। 


আরো জানুনঃ- 

https://www.ifatwa.info/1959


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনাদের এলাকার ফজরের আযান সাহরীর সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দিয়েছিলো? নাকি সাহরীর টাইম শেষ হওয়ার ৩ মিনিট পরে আযান দিয়েছিলো?

★যদি আপনাদের এলাকার ফজরের আযান সাহরীর সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দিয়ে দিয়ে থাকে,বিলম্ব না করে,সেক্ষেত্রে আপনার ও আপনার মায়ের রোযা হয়ে যাবে।

★আর যদি আপনাদের এলাকার ফজরের আযান সাহরীর টাইম শেষ হওয়ার ৩ মিনিট পরে দিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার ও আপনার মায়ের রোযা হয়নি।

এই রোযার কাজা আবশ্যক হবে,কাফফারা আবশ্যক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 126 views
0 votes
1 answer 111 views
0 votes
1 answer 124 views
...