আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১)পিরিয়ডের সময় পায়জামা ছাড়া যে কাপড় গায়ে দেওয়া হয় (কামিজ,ওড়না) সেগুলোতে রক্ত না লাগে, তাহলে সেগুলোও কি নাপাক হয়ে যাবে?নাকি শুধু পায়জামা ই নাপাক হবে?আর সেই কামিজ,ওড়না ধোয়ার সময় যদি গায়ে পানির ছিটা আসে তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?

২)অযু ভঙের কারণে আছে প্রস্রাব পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে ওযু ভেঙে যায়। অনেক সময় ই আমার এমন হয় যে  প্রস্রাব করার পর পর ই আবার মনে হয় যে আবার প্রস্রাব হবে।কিন্তু ২/১ ফোটার বেশি হয় না।অযু করতে বসলে মনে হয় প্রস্রাব গড়িয়ে পড়ছে,কিন্তু মাঝে মাঝে সময় দেখা যায় যে আসলে আমার মনের ভুল,আবার মাঝে মাঝে হালকা ভেজা লাগে। আবার অনেক সময় নামাজে দাড়ানোর পর থেকেই মনে হয় যে প্রস্রাব হবে(অথচ আমি নামাজের অযু করার আগেও প্রস্রাব করেছি)।কিন্তু প্রস্রাবের জন্য গেলে ২/১ ফোটার বেশি হয় না। তাহলে এটা কি ওয়াস ওয়াসা?এক্ষেত্রে করণীয় কী?

৩)ছোটবেলায় (প্রাইমারি স্কুলে থাকতে) না বুঝে হিন্দু ফ্রেন্ড দের পুজার সময় নাড়ু, মোয়া এই টাইপের খাবার খেয়েছি।এখন ভয় লাগে যে এটা কি শিরক হয়ে গেসে?

৪)ক্লাস ৪/৫ এ থাকতে মসজিদে আরবী পড়তে গেলে একবার হাত থেকে কুরআন পড়ে যায়।এটার জন্য কি কাফফারা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পিরিয়ডের সময় পায়জামা ছাড়া যে কাপড় গায়ে দেওয়া হয় (কামিজ,ওড়না) সেগুলোতে যদি রক্ত না লাগে, তাহলে সেগুলো নাপাক হয়ে যাবেনা।
এক্ষেত্রে শুধু পায়জামাই নাপাক হবে।

সুতরাং সেই কামিজ,ওড়না ধোয়ার সময় যদি গায়ে পানির ছিটা আসে তাহলে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে অনেক সময় ওয়াসওয়াসাও হচ্ছে,আবার অনেক সমস্য বাস্তবও হচ্ছে।

সুতরাং এমন সন্দেহ মাথায় আসলে আপনি পায়জামা ও উক্ত স্থান চেক করবেন, ভেজা পেলে পায়জামা ও স্থান পাক করবেন।
নামাজের মধ্যে এমনটি হলে নামাজের পর স্থান চেক করে ভেজা পেলে পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে।

পরামর্শ থাকবে নামাজের আগে ইস্ত্যনা করার।
আপনি নামাজের পর পর ইস্তিঞ্জা করবেন।

(০৩)
এতে শিরক হয়নি।

(০৪)
কাফফারা দিতে হবেনা।
শুধু তওবা করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 71 views
...