আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

আমি আজকে সকালে একটা স্বপ্ন দেখেছি।আমার এক দাদু,যিনি সুদের সাথে জড়িত।তিনি আমাকে প্রস্তাব দিয়েছেন যে,“আমি যদি তোরে হজ্ব করতে সাথে নিয়ে যাই,তাহলে কী যাবি?” এরকম কিছুটা।আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি খুব খুশি মনে উনার সাথে রওনা দিয়েছি।এবং পথে কোথাও ফোনে আমার আব্বুর সাথে কথা বলার সময় ই আমার ঘুম ভেঙে যায়।


ঘুম ভাঙার পর থেকে অস্থির অস্থির লেগেছে কিছুক্ষণ।মনে হচ্ছে খালি আমি কেন পাসপোর্ট বানাতে দিচ্ছি না!অন্তরে তাড়া লেগেছিলো কিছু সময়ের জন্য।এখন যদিও একটু কমে গেছে।


উস্তাদ আমার আর্থিক কোনো সামর্থ্য ই নাই যে আল্লাহর ঘরে যাবো।কিন্তু মনে ইচ্ছা বিরাট।আমার সামর্থ্য আছে পাসপোর্ট বানানোর।এবং আমি আমার মাহরামের সাথে আলোচনা ও করতেছিলাম যেন রোজা শেষ হলেই উনি আমাদের পাসপোর্ট বানাতে দেন।আমার কাছে ১১ হাজার টাকা জমা আছে।আমি উনাকে বলেছিলাম আমার এই জমানো ১১ হাজার টাকা দিয়েই আপাতত পাসপোর্ট টা বানিয়ে রাখতে।বাকী টা পরে দেখা যাবে,যার ঘরে যাবো উনি ই ব্যবস্থা করে দেবেন।


উস্তাদ আমাকে একটু বলবেন কী দয়া করে,যে এই স্বপ্নের মানে কী আসলে।এটা কী কোনোভাবে কোনো সাইন যে আমি আসলেই বাইতুল্লাহ তে যেতে পারবো? আমার কাছে তো কোনো টাকা পয়সা নাই, পাসপোর্ট বানিয়ে ফেললে আর কোনো টাকা ই থাকবে না।কিন্তু আল্লাহ চাইলে তো সব ই সম্ভব।
আমার তাহলে কী করা উচিৎ? কীভাবে জীবন চালানো উচিৎ হবে?আমি কী দান সাদাকাহ বাড়িয়ে দেবো?আমি কী আসলেই যেতে পারবো ওস্তাদ? আমার খুব অশান্তি লাগতেছে অন্তরে।

এর আগেও আমি দু একবার বাইতুল্লাহ যে যাওয়া নিয়ে স্বপ্নে দেখেছি।আমি যাচ্ছি তা না।তবে একবার স্বপ্ন দেখেছিলাম, কেউ একজন আমাকে খুব সম্ভবত নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে।তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, এয়ারপোর্টে গিয়ে গোসল করা যাবে কি না।কারণ প্লেনে থাকাকালীন সময়েই তো মনে হয় ইহরাম পড়তে হয়।

এর পরেও এমন আবছা একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম,আমি বাইতুল্লাহ তে যাচ্ছি বা যাবো এমন কিছু একটা।

এক বোন ও আমাকে নিয়ে স্বপ্নে দেখেছেন,কোন এক অপরিচিত ভাই নাকি আমার বাইতুল্লাহতে যাওয়ার এতো ইচ্ছা দেখে আমাকে নিয়ে গেছেন।

আমি ভেবে পাচ্ছিনা উস্তাদ,আল্লাহ কী আমাকে কোনো পজিটিভ সাইন দিচ্ছেন?আমার কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ তাহলে?কী করা উচিৎ। বুঝতেছিনা কিছুই।আমাকে প্লিজ একটু স্বান্তনা দেন উস্তাদ।মন এতো অস্থির হয়ে আছে!


২.উস্তাদ ফরজ,সুন্নত নামাজে সিজদাহ্ তে দু'আ করা যায় না তা তো জানা ছিলো।কিন্তু ইদানীং শুনতেছি নফল নামাজেও নাকি সিজদাহ্ তে বাংলা দু'আ করা যায় না।কিন্তু উস্তাদ আমরা তো আরবী তে সব দু'আ পারি না।তাছাড়া তাহাজ্জুদ বা নরমালি দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়ে সিজদাহ্ তে গিয়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করার যেই শান্তি,এই শান্তি কী হারিয়ে ফেলবো উস্তাদ?নফল নামাজেও কী সিজদাহ্ তে গিয়ে বাংলা তে একটু আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারবো না??

নফল নামাজেও বলা যাবে না এটা শুনলাম কারো কারোর কাছে।এটা শুনে তো মনে হচ্ছে দুনিয়া ই সংকীর্ণ হয়ে গেছে।দু'আ করার সব সুযোগ, শান্তি সব বুঝি হারিয়ে ফেললাম উস্তাদ।আমি সিজদাহ তে বাংলায় দু'আ করতে চাই,নফল স্বলাত কী এইজন্য হবে না?

উস্তাদ নামাজের সালাম ফিরানোর পরে আবার যদি আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ্ তে গিয়ে দু'আ করা হয়,তাহলে এরূপ টা কী করা যাবে?? এটা কে সুন্নত বা নামাজের কোনো অংশ মনে না করে,এমনি তেই যদি কেউ সিজদাহ্ দিয়ে আল্লাহ কে বলে কিছু,তাহলে কী গুনাহ হবে?কেউ কেউ বললো,নামাজ ছাড়া এভাবে সিজদাহ্ নাকি দেওয়া যায় না?

যদি একটু গুছিয়ে বলতেন এই ব্যাপারে উস্তাদ।অনেকেই বিষয় গুলো নিয়ে খুব কনফিউজড।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নে নিজেকে হজ্জ কিংবা ওমরার সফরে দেখা,অথবা দেখা যে সে হজ্জ অথবা ওমরার কার্যক্রম আদায় করতেছে,কিংবা হজ্জ ওমরার প্রস্তুতি নিচ্ছে,ইত্যাদি ইত্যাদি। 
এগুলো সবই বাইতুল্লাহ শরীফের প্রতি মুহাব্বতের আলামত।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এরকম ব্যাক্তি সাধারণত হজ্জ ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের কারনে আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।  
আল্লাহ তায়ালা চাহেন তো আপনি বাইতুল্লাহ শরীফে যেতে পারবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত হজ্জ/ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।
এবং বাইতুল্লাহ শরীফ,হারামাইন শরীফের বরকত লাফের তওফিক দান করুন।
আমিন।

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...