আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, হুজুর আমার প্রশ্নগুলো নিচে উল্লেখ করেছি:

১) বাংলাদেশ এ যে ইসলামী ব্যাংক গুলো আছে , সেগুলো তে জব করা হারাম নাকি হালাল??

২) সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যেখানে বাংলাদেশের টাকা প্রিন্টিং হয় , এমন প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করা হারাম নাকি হালাল হবে???

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া,গ্রহন করা,তাতে সহযোগিতা করা সবই হারাম।
বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারদের মতে দেশের কোনো ইসলামী ব্যাংকই পূর্ণ ভাবে শরীয়তের রুলস মানেনা।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

সুতরাং ইসলামী ব্যাংক গুলোতেও সুদ বিদ্যমান থাকায় সেখানে চাকুরী করা আর অন্যান্য সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান একই।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। 

ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-

১-মূলধন।
২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা।
৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী।
৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।

এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।
,
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।
,
কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}
,
ব্যাংকে চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০২)
এমন প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করা হালাল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
একটু সাহায্য করবেন শায়েখ? প্রশ্ন করতে না পারায় কমেন্টে আপনাকে বিরক্ত করতে হচ্ছে। ক্ষমা করবেন।

১.আমি গতকালকে পানির নলের নিচে দাড়িয়ে গোসল করি, নামাজে দাড়ানোর পর স্মরন হলো গোসল যে করলাম মাথা তো মাসেহ করলাম কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলো, মাথার উপর পানি পরেছে সরাসরি  সন্দেহ নাই,ফরজ গোসল না হলেও কুলি করেছি, নাকে পানি এতো গুরুত্ব দিয়ে দেই নি, তাও একবার মনে হচ্ছে পানি দিয়েছি, নরম জায়গায় পানি পৌছিলো কি না জানিনা। আমি, গোসল করলে ওযু লাগবে না, এটা বিবেচনায় আমি পুনরায় মাথা মাসেহ করি নি। যদিও সন্দেহ আর মনে খুত খুতি ছিলো, আসরের পরে মাথা মসেহ পুনরায় না করে গোসল করেছি বিবেচনায় মাগরবি আদায় করেছি। ভেবেছিলাম এখন আবার মাথা মাসেহ করলে তো আসরের নামাজ হয়নি ধরে নিতে হবে?তাই সন্দেহ থাজার পরেও গোসল করেছি ওযু লাগবেনা এই ধারনায় নামাজ পরেছি,নামাজ কি হয়েছে? না হলে এর ফলে কি গুনাহ হবে? বা কুফর হবে?

২. স্বামী বা তালা* এর অধিকার প্রাপ্ত স্ত্রী যদি একে অপরকে মজা করে "এক্স"  বলে বা "এক্স " বলে পরিচয় দেয়।  তবে কি তালা* হবে? না কি তার জন্য তালা* এর নিয়ত করে বলা দরকার 
(উল্লেখ্য প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শেষ হলে,একজন অন্য জনকে সংক্ষেপে এক্স বলে, যার বাংলা অর্থ প্রাক্তন বা সাবেক)
by (559,140 points)
(০১)
নামাজ হয়েছে।
এর ফলে গুনাহ হবেনা। কুফর হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

এক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকলেও তালাক হবেনা।
by
শায়েখ,  ১৯৯২ সনে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড’ নামে প্রকল্পটি একটি বেসরকারী পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়।বাংলাদেশে ‘টাকা’ মুদ্রণের এই প্রিন্টিং প্রেসটি   নোট উৎপাদনের পাশাপাশি ১৯৮৯-১৯৯০ সন থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক প্রাইজবন্ড, সঞ্চয়পত্র, স্মারক ডাকটিকিট, ইনভেলাপ, পোস্ট কার্ড, সরকারী ট্রেজারী বন্ড, পোস্টাল স্ট্যাম্প, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, রেভিনিউ স্ট্যাম্প, সিগারেট ট্যাক্স-লেবেল, বিড়ি-ব্যান্ডরোল, বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেকবই, সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তামূলক ট্যাক্স-টোকেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার নম্বরপত্র ও সনদপত্রের ফরমেট, বীজ প্রত্যয়ন ট্যাগ, বিআইডব্লিউটিএ এর টার্মিনাল টিকেট, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর জিএসপি ফরম, গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন পেপার সিল ইত্যাদি মুদ্রণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।সব কিছু বিবেচনায়  এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সম্পর্কে কি বলেন ?? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...