আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
assalamualaikum wa rohmatullahi wa barkatuhu
১/ কারো নামে গীবত করার পর তার কাছে ক্ষমা চাইতে গেলে  যদি সম্পর্ক নষ্টের আশংকা থাকে, বা মনে খারাপ খারাপ ধারণা সৃষ্টি হয় এরকম সম্ভাবনা থাকে কিংবা বিষয়টা মেনে নিতে পারবে না এরকম অবস্থা সৃষ্টির আশংকা থাকে কিংবা যদি সম্ভব না হয় সেরকম,  বা অবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব না হয় মাফ চাইবার মত, তাহলে কি আল্লাহ এর কাছে এভাবে দুয়া করা যাবে, " হে আল্লাহ আমি ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যাদের নামে গীবত করেছি বা সামান্যতম হক নষ্ট করেছি তাদের কোনো বদলা আপনি দান করুন এবং আমাকে মাফ করে দিয়ে দায় মুক্ত করুন "??  এভাবে কি দুয়া করা যায়? বা মাফ চাওয়া যায়?

২/ কোনো ব্যক্তি এর আগের বেশ কিছু  রোজা বাকি যা কাজা করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।  এই বছর তার একটা রোজা বাদ যায়। সে যদি সেটার কাজা করে নেয় এবং এরপর শাওয়াল এর রোজা রাখে এতে কি পূর্ন সওয়াব পাবে?
৩/ রোজা কাজা থাকা অবস্থায় কেও যদি নফল রোজা রাখা শুরু করে এবং তার এই ধারণা না থাকে যে নিয়ত আলাদা ভাবে করতে হয় কাজা রোজা এর তবে কি তার কাজা আদায় হবে? নাকি আবার শুরু করতে হবে?

৪/ কেও অনার্স শেষ করে কি দ্বীনি ইলম চর্চা করতে পারবে যদি তার মা বাবা বাধা দেয়?

৫/ মানুষের ইলম অর্জন এর উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত?

৬/ কেও কি চাকরী এর পাশাপাশি ইলম অর্জন করতে পারবে? এক্ষেত্রে চাকরি না করতে চাইলে কি তার ইখতিয়ার থাকবে যদি সে দীর্ঘদিন জেনারেল লাইন এই পড়াশুনা করে থাকে?

৭/ দুনিয়াবি পড়াশুনা কি কখনো বাধ্যতামূলক পর্যায়ের হয়?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
 "যার গীবত করা হয়েছে সে যদি জানতে না পারে যে তার নামে গীবত করা হয়েছে তাহলে তার কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়াটা জরুরী নয়, শুধু আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা চাইলেই হবে।"

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/54510

(২)
কারো যদি আগের বেশ কিছু রোজা বাকি কাজা থাকে, যা কাজা করতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। এবং এই বছর তার কোনো একটি রোজা কাযা হয়ে যায়। সে যদি প্রথমে এই রোযার কাজা করে নেয় এবং এরপর শাওয়াল এর রোজা রাখে, তাহলে এতেকরে সে পূর্ণ সওয়াব পাবে।এতে কোনো সন্দেহ নাই। কেননা যেকোনো সময় কাযা করা যাবে। রজমান মাস পরবর্তী সাথে সাথেই যে কাযা করতে হবে, এমন বিশেষ কোনো নিয়ম নাই।

(৩)
রোজা কাজা থাকা অবস্থায় কেউ যদি নফল রোজা রাখা শুরু করে দেয়, তাহলে নফল রোযা আদায় হবে।

(৪)
কেউ অনার্স শেষ করে দ্বীনি ইলম চর্চা করতে পারবে। যদি তার মা বাবা বাধা দেয়, তাহলে তখন মা বাবার কথা মান্য করা ওয়াজিব হবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

(৫) ইলম অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি হওয়া চাই।

(৬) চাকরী এর পাশাপাশি ইলম অর্জন করা যাবে। চাকরি না করতে চাইলে তার ইখতিয়ার থাকবে, যদিও সে দীর্ঘদিন জেনারেল লাইন এই পড়াশুনা করে থাকুক না কেন।

(৭) দুনিয়াবি পড়াশুনা বাধ্যতামূলক পর্যায়ের নয় বরং ফরযে কেফায়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...