আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,বেশ কয়েকটা প্রশ্ন ছিল-

১.আমার একটা মাত্র আপন মামা আছেন এবং নানুরবাড়িতে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি,উনার উপার্জনের টাকাতেই সংসার চলে।তিনি "বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকে" একজন ভালোমানের অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। তার চাকরির মাধ্যমে উপার্জনকৃত অর্থ কি হালাল হবে? আমাদেরকেও মাঝে মাঝে নানুরবাড়ি যেতে হয় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে। কিন্তু মামার উপার্জনের টাকাগুলো যদি হালালই না হয় তবে ওইখানে থাকা-খাওয়া গুনাহ হবে না? এক্ষেত্রে কি করণীয়?

২. আমার একটা জ্যাটা যিনি বর্তমানে তেমন কিছু করেন না,অনেক বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল তাই চাপ নিতে দেওয়া হয় না,অনেককিছু মেইনন্টেইন করতে হয়। তাদের ফ্যামিলি চালাতে সঞ্চয়পত্রের টাকাও ও খরচ করা হয়। জ্যাটি জানেন হারাম কিন্তু কি করবেন ব্যবসার ব্যবস্থাও করতে পারছেন না। এই অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের টাকার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের কারণে তাদের গুনাহ হচ্ছে?

৩.ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত নানাভাবে আমার পর্দার লঙ্ঘন হয়েছে। চেষ্টা করেছি মেইনটেইনের কিন্তু পুরোপুরি পারিনি কারণ আত্মীয়স্ব্জনের মধ্যে পর্দা পালনের প্র‍্যাক্টিস নেই বললেই চলে। বিশেষ করে বেড়াতে গিয়ে,দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও নানাভাবে নন-মাহরামের সাথে ইন্টারেকশন করতে হয়েছে। তার উপর নানুরবাড়ি আর ২ নং প্রশ্নে যে জ্যাটার কথা বলেছি তাদের বাড়িতেও খাওয়া দাওয়া করেছি। এখন মনে হচ্ছে হারাম খাবার দিয়ে আমার পেটপূর্ণ হলো না তো? এসব কিছুর কারণে খুবই খারাপ লাগছে মনে হচ্ছে অন্তরে অনেকগুলো কালো দাগ পড়েছে,ফজরে উঠতে কষ্ট হচ্ছে,দুয়া করতে লজ্জা লাগছে,জীবনের বরকত কমে গেছে। আমার মনে হচ্ছে চারিপাশে শুধু অনিয়ম আর হারাম। আর আমিও একা একটা মেয়ে তেমন কিছুই করতে পারছি না। । এ অবস্থায় একজন মেয়ে হিসেবে  এসকল অশান্তি থেকে বাঁচতে আমার কী করণীয়? সামনে তো কাছের আত্মীয় বলে উনাদের বাসায় আবার যেতে হবে তখন কি করব? কিভাবে আটকাব?বেশি কিছু বললে হয়তো আবার পরিবারের তরফ থেকে মানসিক টর্চার শুরু হবে,আলটিমেটলি আমি হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়ব। আমার পরিবার তো আমাকে একা বাসায় রেখেও কোথাও যেতে চান না নিরাপত্তার খাতিরে।

1 Answer

0 votes
by (712,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/398

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইসলামী ব্যাংকে যদি উনার পেশাতে সুদের কোনো সংস্পর্শ না থাকে, তাহলে উনার জন্য সেখানে চাকুরী করা জায়েয হবে। ইনকামও জায়েয হবে।নতুবা উনার জন্য সেখানে চাকুরী করা,এবং ইনকাম কোনোটাই জায়েয হবে না।

(২)
সঞ্চয়পত্র দ্বারা সংসার চালানো জায়েয হবে না। ছোট থেকে ছোট যে কোনো প্রকার ব্যবসা বা কাজ করেই উনাকে পরিবার মেন্টন করতে হবে।

(৩)
যথাসম্ভব নিজেকে পর্দাবৃত করে রাখতে হবে। পর্দাবৃত করে রাখা সম্ভবপর না হলে, তখন সেই আত্মীয়দের বাড়ীতে যাতায়ত না করা বা বিভিন্ন অযুহাতে সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করাই উচিৎ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
আমি অবিবাহিত,নানুর বাড়ি আর জ্যাটাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেছি যে তাই কি হারাম খাওয়ার গুনাহ হবে ওইটা তো বলেন নি হুজুর?
by (712,760 points)
নানু বাড়ি আর জ্যাটাদের বাড়ির ইনকাম হারাম থাকলে, তাদের বাড়ী খাওয়া দাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...