আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in সালাত(Prayer) by (44 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) আমি যদি কোন কারণে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারি এবং পরবর্তীতে ঔ ওয়াক্তের নামাজ কাযা আদায় করি তাহলে এইক্ষেত্রে সওয়াব ও গুনাহের বিষয় কী ধরনের হবে? 

 

১.১) অলসতা জনিত কারণে আমার নামাজ কাযা হয়ে গেলে এবং পরবর্তীতে কাযা আদায় করলে, সে ক্ষেত্রে কি হুকুম হবে? মানে ঔ ওয়াক্তের নামায আদায় হয়ে যাবে?

 

২) কেউ ইচ্ছা করে বা অলসতা জনিত কারণে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে, পরবর্তীতে যদি সে সত্তর হাজার বারও কাযা আদায় করে তাহলেও নাকি তার ঔ কাযা হয় না। এ কথাটি কতটুকু সত্য? 

 

৩) মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাদের জন্য শাফায়াত করতে পারবেন?  

 

৪) মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতে যাদের জন্য শাফায়াত করবেন, সবগুলোই কি আল্লাহ কবুল করে নিবেন? 

 

৫) কেউ ইসলামের অনেক বিধান মেনে চলে আবার অনেক বিধান মেনে চলে না। সে ভাবে মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করলে মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতে তার জন্য শাফায়াত করবেন। সম্ভবত সে এটাও ভাবে যে এতে করে সে সহজে জান্নাতে যেতে পারবে।  এখন ইসলাম এ বিষয়ে কি বলে? 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) 
(ক) কেউ যদি কোন কারণে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারে এবং পরবর্তীতে ঔ ওয়াক্তের নামাজকে কাযা আদায় করে, তাহলে এক্ষেত্রে সওয়াব কেমন হবে? সেটা তো আল্লাহই জানেন।হ্যা, সময়মত নামাযকে না পড়ার গোনাহ অবশ্যই হবে। 
 
(খ) অলসতা জনিত কারণে নামাজ কাযা হয়ে গেলে এবং পরবর্তীতে কাযা আদায় করলে, সে ক্ষেত্রেও একইম হুকুম। ঐ ওয়াক্তের নামায কাযা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। এবং সময়মত না পড়ার গোনাহ অবশ্যই হবে।
 
(২) কেউ ইচ্ছা করে বা অলসতা জনিত কারণে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে, পরবর্তীতে যদি সে সত্তর হাজার বারও কাযা আদায় করে তাহলেও সেটা সময়মত আদায়কৃত নামাযের সমতূল্য হবে না। 
 
(৩) মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের সকল শ্রেণীর জন্য শাফায়াত করবেন। কারো জন্য প্রথমে কারো জন্য একেবারে শেষে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' ৭ ভাবে শেফায়ত করবেন।
 
(৪) মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতে যাদের জন্য শাফায়াত করবেন, সবগুলোই আল্লাহ কবুল করবেন।
 
(৫) কেউ ইসলামের অনেক বিধান মেনে চলে আবার অনেক বিধান মেনে চলে না। সে ভাবে মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করলে মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখিরাতে তার জন্য শাফায়াত করবেন। সে যে অনেক বিধান মানেনি, সেইজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' তার উপর অসন্তুষ্ট থাকবেন।যেজন্য প্রথমেই তার সুপারিশ করবেন না।হ্যা, তার জন্য হয়তো কোনো একদিন সুপারিশ করবেন। কেননা সর্বশেষ জাহান্নামি ব্যক্তিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সুপারিশ দ্বারা একদিন জান্নাতে প্রবেশ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...