আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমাকে সব সময় যে যতই বকা দেক আমি কিছুই বলিনা ধৈর্য ধরে থাকি।কিন্তু মাঝে মাঝে রিয়েক্ট করে ফেলি।আমার জীনের সমস্যা আছে যার কারনেও হয়ত রাগ উঠে আমি রুকইয়াহ করি রাকির দ্বারা।এখন কথা হচ্ছে আমি অনেক সময় আম্মুর সাথে জোরে কথা বলে ফেলি বা এমন কিছু হয়ে যায় যার দ্বারা উনি কষ্ট পায়।আমি সাথে সাথেই একটু পরেই বুঝতে পারি যে আমি কেন এমন করলাম?এটা ঠিক হয়নি আমার।আমি পরে আম্মুর কাছে ক্ষমা ও চাই।বলি যে আমাকে মাফ করে দেও। নিজের মন কেও বলি যে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করব কিন্তু পরে আবার কিছুদিন পর দেখা যায় এমন জোরে কথা বলা হয়ে যায় তার সাথে পরে আবার মাফ চাই কিন্তু আম্মু মাফ করেনা।বলে যে তুই খারাপ ব্যাবহার টা করবি ও কেন মাফ চাবি ও কেন?যখন বুঝিস এটা ঠিক না আগে থেকেই করবিনা মাফ চাওয়া কেন লাগবে?এখন মাফ চাচ্ছিস পরে আবার এমন করবি, সর এখান থেকে।অথবা অনেক সময় বলবে যা মাফ করছি কিন্তু আসলেই করেনা কিছু হইলেই সেই কথাটা আবার উঠায় দুঃখ করে।আবার অনেক সময় বলে বেহায়া তুই বার বার মাফ চাইস লজ্জা করেনা?

শায়েখ,, আমি তো চেষ্টা করি এমন ব্যাবহার না করার কিন্তু হয়ে যায় তাই মাফ চাই কিন্তু উনি মাফ না করলে কি আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না? সবার সাথেই ভালো ব্যাবহার করা উচিত।আমার করণীয় টা বলেন।

1 Answer

0 votes
by (675,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَادَتِ امْرَأَةٌ ابْنَهَا، وَهْوَ فِي صَوْمَعَةٍ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ. قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي. قَالَتْ يَا جُرَيْجُ. قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي. قَالَتْ يَا جُرَيْجُ. قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي. قَالَتِ اللَّهُمَّ لاَ يَمُوتُ جُرَيْجٌ حَتَّى يَنْظُرَ فِي وَجْهِ الْمَيَامِيسِ. وَكَانَتْ تَأْوِي إِلَى صَوْمَعَتِهِ رَاعِيَةٌ تَرْعَى الْغَنَمَ فَوَلَدَتْ فَقِيلَ لَهَا مِمَّنْ هَذَا الْوَلَدُ قَالَتْ مِنْ جُرَيْجٍ نَزَلَ مِنْ صَوْمَعَتِهِ. قَالَ جُرَيْجٌ أَيْنَ هَذِهِ الَّتِي تَزْعُمُ أَنَّ وَلَدَهَا لِي قَالَ يَا بَابُوسُ مَنْ أَبُوكَ قَالَ رَاعِي الْغَنَمِ ".

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মহিলা তার ছেলেকে ডাকল। তখন তার ছেলে গীর্জায় ছিল। বলল, হে জুরায়জ! ছেলে মনে মনে বলল, হে আল্লাহ্! (এক দিকে) আমার মা (এর ডাক) আর (অন্য দিকে) আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরাইজ! ছেলে বলল, হে আল্লাহ্! আমার মা আর আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরায়জ! ছেলে বলল, হে আল্লাহ্! আমার মা ও আমার সালাত। মা বললেন, হে আল্লাহ্! পতিতাদের সামনে দেখা না যাওয়া পর্যন্ত যেন জুরায়জের মৃত্যু না হয়। এক রাখালিনী যে বকরী চরাতো, সে জুরায়জের গীর্জায় আসা যাওয়া করত। সে একটি সন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল- এ সন্তান কার ঔরসজাত? সে জবাব দিল, জুরায়জের ঔরসের। জুরায়জ তাঁর গীর্জা হতে নেমে এসে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় সে মেয়েটি, যে বলে যে, তার সন্তানটি আমার? (সন্তানসহ মেয়েটিকে উপস্থিত করা হলে) জুরায়জ বলেন, হে বাবূস! তোমার পিতা কে? সে বলল, বকরীর অমুক রাখাল। 

(বুখারী শরীফ ১২০৬ ২৪৮২, ৩৪৩৬, ৩৪৬৬; মুসলিম ৪৫/২, হাঃ ২৫৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে আপনার মা মাফ না করলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেননা। 
,
তবে মাফ চাওয়া অব্যাহত রাখবেন এর পাশাপাশি মায়ের সাথে সৎব্যবহার চালু রাখবেন, এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা চাহেন তো মাফ করবেন।
তাই সর্বদা ভালো আচরণ এর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রয়োজনে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে যাবেন,তবুও মন্দ ব্যবহার করবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...