আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in সালাত(Prayer) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।ভর্তি পরীক্ষার সুবাদে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সফরে যেতে হবে।এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন-

১।সফররত অবস্থায় শুধু ফরজ সলাত এর কসর আদায় করত হবে নাকি সুন্নাহ সলাত পড়তে হবে?

২।ওখানে গিয়ে যেখানে থাকবো তার আশেপাশে যদি মসজিদ থাকে তাহলে ফরজ সলাতের বিধান কি হবে।মসজিদে পূর্ণ আদায় করবো নাকি একাকী কসর?

৩।যারা একসাথে যাবো সবাই কি জামাআতে কসর আদায় করতে পারবো?

৪।বাসে থাকা অবস্থায় সলাতের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার উপক্রম হলে এবং ওযু বা তায়াম্মুম এর ব্যবস্থা না থাকলে কি করণীয়?

৫।বাসে কিবলামুখী হওয়া সম্ভব না হলে অন্য দিক হয়ে কি সলাত আদায় করা যাবে?

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুন্নাত সালাত পড়া আবশ্যক নয়।
না পড়লে কোনো গুনাহ হবেনা।

(০২)
https://ifatwa.info/13064/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
যদি মুকিম ইমামের পিছনে মুসাফির ইক্তেদা করে,তাহলে আর কসর করা যাবেনা,বরং পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
,   
মুসলিম শরীফে এসেছেঃ  
وعن موسى بن سلمة الهذلي قال: سألت ابن عباس كيف أصلي إذا كنت بمكة إذا لم أصل مع الإمام، فقال: "ركعتين سنة أبي القاسم صلى الله عليه وسلم" (رواه مسلم).
 وهذا يفيد أنه إذا صلى مع الإمام أتم الرباعية.
সারমর্মঃ  
মুসা ইবনে সালমাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম যদি আমি মক্কায় (যেটি তার সফরের দূরত্বে ছিলো) ইমামের পিছনে ইক্তেদা না করি,তাহলে কিভাবে নামাজ পড়বো?
তিনি বললেন যে দুই রাকাত।
এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে যদি ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে,তাহলে চার রাকাত পূর্ণ করবে।  

ورواه أحمد بأصرح من ذلك، عن موسى بن سلمة قال: كنا مع ابن عباس بمكة فقلت: إذا كنا معكم صلينا أربعاً – أي بالمسجد مقتدين بإمام مقيم-  وإذا رجعنا إلى رحالنا صلينا ركعتين، قال: "سنة أبي القاسم صلى الله عليه وسلم" الفتح الرباني 5/102.
সারমর্মঃ 
আহমদ রহঃ আরেক হাদীস বর্ণনা করেন,যেটি আগের হাদীস থেকে আরো বেশি স্পষ্ট। 
মুসা ইবনে সালমাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি ইবনে আব্বাস রাঃ এর সাথে মক্কায় ছিলাম,যখন তাদের সাথে ছিলাম (মুকিম ইমামের সাথে জামাতে ইক্তেদা করেছিলাম  ) তখন চার রাকাত নামাজ পড়তাম,আর যখন থাকার ঘরে আসতাম,তখন দুই রাকাত আদায় করতাম।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মসজিদে জামায়াত পেলে জামায়াতে শরীক হলে পূর্ণ নামাজ আদায় করবেন।
জামাতে শরীক না হয়ে একাকী আদায় করলে কসর করবেন।

এক্ষেত্রে ইমামের ইক্তেদা করা বা না করা আপনার ইচ্ছা।

(০৩)
হ্যাঁ, সকলেই এক সাথে জামায়াতে কসর আদায় করতে পারবেন।
তবে যেসব মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন নির্ধারিত আছে,সেখানে যেহেতু ২য় জামায়াত মাকরুহ,তাই আপনারা মসজিদ ছাড়া অন্যত্রে জামায়াতের সহিত কসর আদায় করবেন।

(০৪)
যেকোনো একটি তো অবশ্যই করতে হবে,নতুবা নামাজ পড়া যাবেনা।

(০৫)
না,অন্য দিক হয়ে সলাত আদায় করা যাবেনা।

যানবাহনে নামাজ পড়া সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 89 views
0 votes
1 answer 59 views
0 votes
1 answer 67 views
...