আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)

আসসালামু আলাইকুম

১.সাধারনত আমরা পবিত্রতা অর্জন অথবা ফরজ গোসল করার ক্ষেত্রে সাবান ব্যাবহার করে থাকি।সাবান দ্বারা নাপাকি ধুয়েফেলি।কিন্তু কোন কারনে যদি সাবান পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র পানি দ্বারা যদি নাপাকি পরিষ্কার করে ফরজ গোসল করাহয় এতে করে নি সম্পূর্ণ পবিত্রতা অর্জন ও ফরজ গোসল আদায় করা সম্ভব।এভাবে শুধু পানি ব্যাবহার কি যথেষ্ট হবে?

২.উত্তেজক কোন কিছু চিন্তুা করলে, কথা বললে বা দেখলে যে মযি বের হয় তা কাপড় বা শরীরের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত  অবস্থায়লেগে যায়। নির্দিষ্ট করে ধরা যায় না কোথায় কোথায় লেগে গেল। আবার এসব চিন্তুা থেকে অনেকক্ষণ বিরত থাকার পর উক্তমযি কাপড়ে কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে কি করনীয়?

৩. মজি কাপড়ে বা শরীরে লেগেছে  এটা নিশ্চিত। তবে সেই মুহুর্তে এটা খেয়াল করা বা দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু নামাযেরওয়াক্ত আসার সময় মনে হলো শরীরে বা কাপড়ে কোথাও মজি লেগেছে। কিন্তু কোথায় লেগেছে  এটা বলা যাচ্ছে না শুকিয়েযাওয়ার কারণে। এমন অবস্থায়  কাপড়ও পাল্টানোর সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে উক্ত কাপড় পড়ে নামাজ আদায়ের হুকুম কি? অথবাএমন হতে পারে যে কাপড়ে মজি লেগেছে কিন্তু মনে নেই উক্ত অবস্থায় নামাজ আদায় করা হয়েছে। পরে মনে হলো কাপড়ে মজিলেগেছিল তখন কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
পবিত্রতা অর্জনের জন্য সাবান দ্বারা ধৌত করা শর্ত নয়। বরং শুধুমাত্র পানি দ্বারা তিনবার ধৌত করে নিলেই পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে।

(২)
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/118


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মযি নাপাক।কাপড় বা শরীরে এক দিরহামের বেশী লাগলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে।

(৩)
কাপড় মযি যদি লেগে থাকে, এবং পরবর্তীতে খুজে পাওয়া না যায়, তাহলে সতর্কতামূলক কাপড়কে পরিবর্তন করে তবেই নামায পড়তে হবে। এভাবে সন্দেহ মূলক কাপড় পরিধান করে নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 144 views
0 votes
1 answer 237 views
...