আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আবার এই কথা মনে হয়ে চিন্তা হচ্ছে।দম বন্ধ হয়ে আসে ঘুমের মধ্যে। একটু চিন্তা ভাবনা করে সহিহ মাসালা দিয়ে সাহায্য করুন।

১।ক।।বউ যদি বলে তুমি মেয়েলি বিষয় আর নেশা করলে আমি তুমার কাছে থাকব না।হাসবেন্ড যদি বলে আচ্ছা। তাইলে কি হাসবেন্ড  এর দারা শর্তযুক্ত অধিকার দেওয়া বুজাবে। আচ্ছা ত কেনায়া শব্দ না।

খ।একি অবস্থায় হাসবেন্ড যদি বলে আচ্ছা না থাকলা বা থাইক না।এগুলা ত কেনায়া শব্দ। এগুলা দিয়া তালাক বা অধিকার দেওয়া উভয় বুজাই।এখানে নিয়ত এর উপর নির্ভর করে। হাসবেন্ড যদি অইসব কথা কোন নিয়তে না বইলা থাকে মানে বলার সময় মনে জদি এমন নিয়ত না থাকে যে আমি অইগুলা করলে অ আমারে ছাইড়া দিতে পারব।তাহলেও কি বউ শর্ত যুক্ত অধিকার পাবে।শুনছি শর্ত দিতে হলে হাসবেন্ড  এর মুখে উচ্চারণ করে দিতে হয়।এখানে ত হাসবেন্ড বলে নাই আমি অমুক করলে তুমি থাইক  না।বউ বলছে অগুলা।
গ।বউ কিছু সময় বলছে সম্পর্ক করলে আবার বলছে মেয়েলি বিষয় (এখানে সবি বুজাইছে মেয়েদের সাথে কথা বলা সম্পর্ক করা খারাপ কাজ করা)আর নেশা(সব ধরনের নেশা জাতীয় বুজাইছি একক ভাবে কোন টার নাম উল্লেখ করি নাই। করলে তুমার কাছে থাকব না বা সম্পর্ক থাকব না(এখানে বউ নিজের উপর পতিত হওয়ার নিয়তে বলে নাই।এমন টা করলে হাসবেন্ড কে ছাইড়া দিব এই রকম ভাইবা বলছে।এখন হাসবেন্ড মেয়েদের সাথে বাবু হওয়া  নিয়া নেগেটিভলি কথা বলছে।কলিগ এর সাথেও কথা বলছে।কিন্তু সে কোন সম্পর্ক বা খারাপ কাজ করে নাই।আমি যখন  বলছি তখন নেগেটিভ কথা বলাও বুজাইছি।আর বন্ধদের পাল্লাই পরে ২,১এক দিন নেশা জাতীয় খাইছে।কিন্তু সে এমনিতে নেশা করে না।এখন প্রশ্ন হল এতে কি শর্ত পুরন হয়ে যাব।একবার প্রশ্ন করাই হুজুর বলেছিল হবে না।না হলে কেন হবে না জদি একটু বলতেন তাহলে চিন্তা মুক্ত হইতাম।
ঘ।শর্তযুক্ত অধিকার এর ক্ষেত্রে যখন শর্ত পাওয়া যাবে তখন ই তালাক নিতে হবে মানে অধিকার কি শর্ত পাওয়ার পর বৈঠক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে নাকি সারাজিবন ই থাকে যখন ইচ্ছা হবে তখন ই নেওয়া যাবে??মেয়েদের সাথে কথা আর হাবিজাবিি খাওয়া একসাথে ঘটছে কিনাা জানি না।যখন... ঘটছে আমি তখন ই জানি না। সে ত আর নিজে বলে নাই ধরা খাওয়ার পর এসব জগ্রা হইছে।...শর্ত পরনে কি ২ টা একসাথে ঘটতে হবে?

ঙ।হাসবেন্ড এক মেয়ের সাথে বাবু হওয়া নিয়া নেগেটিভ কথা বইলা ন ধরা খাওয়ার পর বউ যদি বলে তুমি আবাার....এগুলা করলে আমি থাকব না।তার পর যদ বলে আচছা। এর কয়েকদিন পর অন্য মেয়ের সাথে অন্য বিষয় নিয়া নেগেটিভ কথা বলে মানে বউ জেগুলা অপছন্দ করে তাইলে... কি শর্ত পুরন হবে নাকি হবুহু যার প্রেক্ষিতেে বলা হইছিল তা-ই ঘটতে হবে??

  ২ ।একবার বললে এক তালাকের অধিকার দেওয়া বুজাই।এখন ক্ত বার বলছে তা যদি হুবুহু মনে না আসে সেক্ষেত্রে কতবার ধরে নিতে হবে।জদি মনে হই একের অধিক বার বলছে।

৩।কি বলছে হুবুহু মনে না আসলে ধরে নিতে হবে কিছু হই নাই।কারন কথার একতটু হেরফের এর কারনে মাসালা পরিবর্তন হই।হুবুহু মনে করাও সম্ভব না।অনেক দিন আগের ঘটনা তার মধ্যে জগরার সময় মানুষ কত কিছুই ত বলে।সেগুলা কি মনে থাকে।

৪।যদি অধিকার পাইয়াই থাকি আমজ ত অনেক বার বলছি থাকব না সংসংসা করব না।হাব গা।এগুলা ত ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ তাই  এগুলাতে সমস্যা নাই।তুমার সাথে বা আমার সাথে কোন সম্পর্ক না।। জতদুর মনে হই বুজাইছি আমি তারে ছাইড়া দিসি।যা মন চাই কুরুক গা।যখন ধরতে আসছে বলছি যে ধরবা না আমি তুমার জন্য হারাম হয়ে গেসি।এইতা দিয়া বুজাইছি সে মেয়েদের সাথে এরকম করছে তাই আমি হারাম হইছি।নিজের উপর জেভাবে নিতে হই অইভাবে বলি নাই।বা অই রকম নিয়ত ছিল না।যতটুকু মনে হই।কারন আমি জানতাম ই না কিভাবে বলতে হই।নিয়ত নিয়াও কনফিউশান। এগুলাতে কি তাইলে কোন সমস্যা হব??
৫।সবশেষে জেনা কারি কোনদিন জান্নাতে জেতে পারবে না।এমন কোন হাদিস আসে কি??
by (712,400 points)
আপনি ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত।দয়াকরে চিকিৎসা গ্রহণ করুক।জাযাকিল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
(ক)
বউ যদি বলে তুমি মেয়েলি বিষয় আর নেশা করলে আমি তুমার কাছে থাকব না।হাসবেন্ড যদি বলে আচ্ছা। তাহলে এদ্বারা শর্তযুক্ত তালাকের অধিকার দেওয়া বুজাবে না।

(খ)
একি অবস্থায় হাসবেন্ড যদি বলে, আচ্ছা না থাকলা বা থাইক না।এগুলো দ্বারা শর্তযুক্ত তালাক হবে না।

(গ)
এখানে শর্তযুক্ত তালাকের কিছুই নাই। "থাকবো না" বলা হয়েছে, তালাক তো বলা হয়নি।

ঙ।হাজবেন্ড এক মেয়ের সাথে বাবু হওয়া নিয়া নেগেটিভ কথা বইলা ন ধরা খাওয়ার পর বউ যদি বলে তুমি আবার....এগুলা করলে আমি থাকব না।তার পর যদি বলে আচ্ছা। এর কয়েকদিন পর অন্য মেয়ের সাথে অন্য বিষয় নিয়া নেগেটিভ কথা বলে, মানে বউ যেগুলো অপছন্দ করে তাহলে... শর্ত পুরন হবে না। তালাক হবে না।

 (২)
এখানে তালাকের কিছুই নাই। 

(৩)
এখানে তালাকের কিছুই নাই। 

(৪)
এখানে তালাকের কিছুই নাই। সংসারে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
যিনাকারি কোনোদিন জান্নাতে যেতে পারবে না। এমন কোনো কথা নেই, হ্যা, শাস্তিভোগ করার পর জান্নাতে যেতে পারবে।

যিনা করা কবিরা গোনাহ। কবিরা গোনাহ করলে কি মানুষ মুসলমান থাকবে? বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1786

সে সমস্ত হাদীসে কবিরা গোনাহ করলে কাফির হওয়ার কথা বর্ণিত রয়েছে,সে সব হাদীসের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/779

আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বড় দশটি আকিদার একটি আকিদা হল,মানুষ কবিরা গোনাহে লিপ্ত হলে সে গোনাহগার হবে তবে কাফির হবে না।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1402


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...