আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার শ্বাশুড়ি ও আমার বাবা মিলে আমার ছেলেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলো। বলেছে সে যখন হিফজে ভর্তি হবে তখন এই টাকা থেকে ওর মাদ্রাসায় বেতন দিতে। তো টাকা টা আমার কাছে প্রায় ২ বছর এভাবেই ছিলো।
একটা বড় ব্যক্তিগত সমস্যায় পড়ে টাকা টা আমি খরচ করেছি। আমি জানি এটা ওর আমানত। তবুও আমার আর কোন উপায় ছিল না। আবার এরপর থেকে ওর জন্য প্রতি মাসে টাকা টা জমাচ্ছি কিছু কিছু করে। আমার স্বামী আমাকে মাসিক একটা হাতখরচ দেন। সেটাই আমি আমার ছেলের জন্য জমাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫,০০০ টাকা জমিয়ে ফেলেছি। ইতোমধ্যে ওর হিফজ শুরু হয়েছে আর এই জমানো টাকা থেকে আমি ওর মাদ্রাসায় বেতন দিয়ে যাচ্ছি। ইন শা আল্লাহ আমি আগামী ৯-১০ মাসের মধ্যে ওর পুরা টাকা টা জমিয়ে ফেলতে পারব।
এখন বিষয় হলো এবছর আমি হজ্বে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ। হজ্বের টাকা টা আমার বাবার বাড়ি থেকে পেয়েছি।এরপর আমার হজ্ব ফরজ হয়। তো ঐ টাকা থেকে আমার ছেলের টাকা শোধ করলে আমার হজ্বের টাকায় টান পড়বে। উপরন্তু এ টাকায় ও হবে না। আমার স্বামী আমাকে আরো কিছু টাকা হজের জন্য দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে এভাবে ছেলের টাকা টা জমাচ্ছি।

আমার প্রশ্ন হলো ঋণ রেখে হজ্ব না কি হয়না শুনেছি। আমার ছেলের টাকা টা তো আমার উপর একধরণের ঋণ। আমার এখনো প্রায় ৬৫০০০ টাকা জমানো বাকি ওর জন্য অর্থাৎ আমার ঋণ ৬৫০০০ টাকা। এই ঋণ রেখে হজ্বে গেলে কি আমার হজ্ব কবুল হবে? আর আমি যদি মারা যাই তবে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা ইন শা আল্লাহ হবে। আমার স্বামী জানলে তিনি অবশ্যই এখনই পরিশোধ করবেন তবে আমি উনাকে জানাতে চাচ্ছি না। বিশ্বস্ত একজন কে শুধু জানিয়ে যাচ্ছি যে আমার কিছু হয়ে গেলে তিনি যেন আমার স্বামীকে ঐটা অবগত করেন।
আমি খুব পেরেশানি তে আছি। দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ঋণ রেখে হজ্ব করলে হজ্ব শুদ্ধ হয়না,এ কথা সঠিক নয়।
বরং মাসয়ালা হলোঃ-

হারাম টাকায় হজ্জ করলে তাহা কবুল হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ حَاجًّا بِنَفَقَةٍ طَيِّبَةٍ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَلَالٌ، وَرَاحِلَتُكَ حَلَالٌ، وَحَجُّكُ مَبْرُورٌ غَيْرُ مَأْزُورٍ، وَإِذَا خَرَجَ بِالنَّفَقَةِ الْخَبِيثَةِ، فَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَنَادَى: لَبَّيْكَ، نَادَاهُ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: لَا لَبَّيْكَ وَلَا سَعْدَيْكَ، زَادُكَ حَرَامٌ وَنَفَقَتُكَ حَرَامٌ، وَحَجُّكَ غَيْرُ مَبْرُورٍ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন কোন ব্যক্তি হালাল সম্পদ নিয়ে হজ্জ করতে বের হয়। বাহনে পা রাখে। উচ্চারণ করে: লাব্বাইক! আল্লাহুম্মা লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে ঘোষক ঘোষণা দেয়: লাব্বাইক ওয়া সা’দাইক তথা তোমার কল্যাণ হোক। তোমার আসবাব হালাল। তোমার বাহন হালাল। আর তোমার হজ্ব মকবুল।

আর যদি হারাম সম্পদ নিয়ে হজ্বে বের হয়। বাহনে পা রাখে। আর মুখে বলে: লাব্বাইক! তখন আসমান থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দেয়: লা লাব্বাইক ওয়া লা সা’দাইক তথা তোমার লাব্বাইক মকবুল নয়। তোমার আসবাব হারাম। তোমার ভরণপোষণের ব্যয় হারাম। তোমার হজ্বও মকবুল নয়। [মু’জামে আওসাত, হাদীস নং-৫২২৮]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই ঋণ রেখে হজ্বে গেলে  আপনার হজ্ব কবুল হবে।
এটি আপনার হজ্ব কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 215 views
0 votes
1 answer 80 views
...