আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
একটি আবাসন কোম্পানি বিক্রয় মেলা আয়োজন করে কিছু ছাড় ঘোষণা করেছিল। চূড়ান্ত প্রাইস নেগোসিয়েশন না করেই তাদের অফার প্রাইস ১০.৫০ লাখ/কাঠা ধরে চার বছরের কিস্তিতে ৩ কাঠার একটি প্লট ২০,০০০/- টাকা বুকিং মানি দিয়ে বুক করা হয়েছিল 13-1-21 তারিখে।

তারা প্রতি বছর কিস্তি বৃদ্ধির জন্য 50,000 টাকা প্রতি কাঠা দাম শুরুতেই বাড়িয়ে ধরে।

7-3-21 তারিখে প্রাইস নেগোসিয়েশন এর জন্য যখন বসা হয় তখন তারা দাম কমাতে রাজি হচ্ছিল না, যদিও আমার বন্ধুকে তারা অনেক কম প্রাইস দিয়েছে। তারা প্রতি কাঠা 8.25 লাখ এর নিচে কমাতে রাজি হচ্ছিল না, আর আমি 8 লাখ এর উপর উঠতে চাচ্ছিলাম না। এক পর্যায়ে তারা বলে ডাউন পেমেন্ট আড়াই লাখ এর জায়গায় যদি পাঁচ লাখ দিতেন তবে ম্যানেজমেন্ট কে বলে রাজি করাতে পারতাম (তিনি নিজেও মালিকদের একজন)। আমি পারব না বলি, আর 2.3 লাখ টাকা দেই। এই সময় তারা টাকার পরিমাণ 8.25/কাঠা লিখে একটি প্রস্তাবনা দেয়, এবং আমি সই করি।

কয়েক দিন পরে আমি জিজ্ঞেস করি কত দিন এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিলে ওই অফার থাকবে? তারা বলে একমাস এবং একমাসের মধ্যেই আমি আরো 2.5 লাখ দিয়ে টোটাল পাঁচ লাখ টাকা তাদের দিয়ে দেই।
এর মাস খানেক পর তারা চুক্তিপত্র এর খসরা পাঠায় প্লটের দাম 8 লাখ প্রতি কাঠা উল্লেখ করে।

চুক্তির একটি ধারা আছে, মাসিক কিস্তি মিস করলে 2% অতিরিক্ত দিতে হবে(এটা সাধারণত তারা প্রয়োগ করে না)। আরেকটি ধারা আছে চুক্তি বাতিল করলে তারা 10% টাকা কেটে বাকিটা ফেরত দিবে। তাদের অফিসে গিয়ে স্ট্যাম্প এ সই করে চুক্তি সম্পন্ন করতে বলে। আমি এই চুক্তিপত্রে এখনও সই করিনি, কিন্তু গত দুই বছরে প্রায় নিয়মিত কিস্তির টাকা দিয়েছি, এভাবে 12 লাখ জমা হয়েছে যা অর্ধেক প্লট এর দাম।

এখন আমি কিছু ঋণ করেছি। আমি তাদের আমার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলি। তারা মিটিং করে জানাবে বলে, এবং মিটিং এখনও করে নি। আমি ভয় পাচ্ছি যে আমার 10% টাকা কেটে রাখতে পারে, তাই আমি একজন পার্টনার জোগাড় করেছি যে কি না আমার বাকি অর্ধেক প্লট কিনে নিবে, যেটার জন্য আরো দুই বছর কিস্তি দেয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু তিনি এখন এক কালীন সব টাকা দিয়ে কিছুটা ডিসকাউন্ট নিতে চায়। সম্ভব হলে বালু ফেলতে যে টাকা দিতে হবে সেটা মওকুফ চায়।

ল্যান্ড ডেভেলপেন্ট কোম্পানি এই জমিটি এখনও আসল মালিক এর কাছ থেকে কিনেছে কি না আমি সেটা নিশ্চিত নই।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে:

১. শুরুতে যে 25 হাজার ডিসকাউন্ট পেলাম সেটা কি রিবা হবে, (যেহেতু তখন ও প্রাইস নেগোসিয়েশন এর সুযোগ ছিল, দাম বেশি হলে আমি হয়ত আমার টাকা ফেরত নিয়ে নিতাম) ?

২. যদি রিবা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এখন আমার করণীয় কি?

৩. আমি যাকে পার্টনার নিতে চাচ্ছি, আমি তার কাছ থেকে টাকা কিছু বেশি নিতে চাচ্ছি অথবা চাচ্ছি যে তিনি উভয়ের বালু ফেলার ফি দিয়ে দিক (তিনি রাজি আছেন), এটা কি রিবা হবে? (আমি এখন পর্যন্ত অর্ধেক মূল্য পরিশোধ করেছি, এই ইনভেস্টমেন্ট এর রিটার্ন চাচ্ছি)

৪. সে যে এক কালীন বাকি টাকা পরিশোধ করে ডিসকাউন্ট চাচ্ছে

 সেটা কি রিবা হবে?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন,  ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/325


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিস্তি মিস হলে জরিমানা করা এবং ফ্লাট ক্রয় না করলে ১০% কর্তন করা কখনো শরীয়ত সম্মত হবে না।

(১)
শুরুতে যে ২৫ হাজার ডিসকাউন্ট গ্রহণ করা হয়েছে, সেটা সুদ হবে না।

(২) এখানে সুদ হচ্ছে না।

(৩) আপনি পার্টনারের কাছ থেকে বেশী নিতে পারবেন না। বরং আপনি আপনার ব্যয় কৃত টাকাই শুধুমাত্র নিতে পারবেন। 

(৪) সে যে এক কালীন বাকি টাকা পরিশোধ করে ডিসকাউন্ট চাচ্ছে,সেটাও রিবা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...