আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন ওয়াসওয়াসা

 রুগী । আমার আগের পোস্ট

    https://ifatwa.info/72458

১.) ওয়াসওয়াসা রুগী তালাক দিলে তালাক হয় না

 তাহলে ওয়াসওয়াসা রুগী যদি আল্লাহর কসম করে বলে
"  আল্লাহর কসম   আমি আগামী ১ মাসের মধ্যে   ওই নাম্বারে ফোন দিব  না  এবং

 কসম করার ২ ঘন্টা পর   সেই কসম ভঙ্গ করে ওই নাম্বারে ফোন করে তাহলে তার কাফফারা দিতে হবে ?

১.১) কাফফারা হিসেবে যদি একজনকে ১০ জনের  ফিতরার টাকা হিসেবে ১২৫০ টাকা দেয় তাহলে কাফফারাআদায়হবে?       
২)কোনো মেয়ে যদি  তালাক গ্রহনের অধিকার পায়
এবং এক মুফতির কাছে     লেখে-
"আমি তো তালাকের কথা মুখে বলছি এবং লিখছি। মুখে উচ্চারন করে  বলায় এবং লিখে তালাক দেওয়ার  কারনেও তালাক হবে না?  "
(আসলে লিখে তালাক দেয়নি।  মিথ্যা বলেছে)
তাহলে প্রশ্ন  মুফতির কাছে উপরের কথাগুলো লেখায় তার স্বামী কি তালাক হবে?

৩) ওয়াসওয়াসা রুগীর তালাক হয় না। কিন্ত    ওয়াসওয়াসা রুগী যদি এমন কথা লিখে যাতে   তালাক হয় কিন্তু তার

তালাক  দেওয়ার নিয়ত নাা থাকে।   তাহলে কি  তালাক হবে?

৪.) তালাক গ্রহনের অধিকার পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল স্বামীর সাথে। তখন স্বামী বলছে তোমার যা ইচ্ছে করো। (তার তালাকের অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না )

এতে স্ত্রী কি তালাক গ্রহনের অধিকার পাবে?
সারাজীবন এর জন্য নাকি অই মজলিস পর্যন্ত অধিকার থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)

কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্ত্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1808

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার কাফফারা দিতে হবে।

(১.১)
একজনকে এভাবে দেয়া যাবেনা।
একজনকে দিতে চাইলে ১০ দিন ধরে আদায় করতেহবে। প্রত্যেক দিন একটি সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা তাকে দিতে হবে।

এক মুহুর্তে কাফফারা আদায় করতে চাইলে ১০ জন মিসকিনকে একটি করে সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে. 

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে মুফতি সাহেবের কাছে উপরের কথাগুলো লেখায় তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা। 

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে স্বামীর যেহেতু তালাকের অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না,
তাই এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাক গ্রহনের অধিকার পাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...