আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

আমার কিছু প্রশ্ন জানার ছিলো,

প্রশ্ন ১ : স্ত্রী যদি স্বামিকে বলে ' আমাকে ডিভোর্স দেও."

স্বামি যদি তার স্ত্রীর উত্তরে শুধু বলে "দিলাম" বা "তোমাকে দিলাম।"

শব্দের সাথে কোন কেনায়া বাক্য বা ডিভোর্স শব্দ যোগ না করে এতটুকু "দিলাম" বা " তোমাকে দিলাম" শব্দ দ্বারা কি ডিভোর্স হবে???

শুধু "দিলাম "দ্বারা কি কোন সঠিক পরিষ্কার শব্দ বুঝায়???

 কারন এখানে তো অন্য কিছুর নিয়ত থাকতে পারে ...স্বামি হয়তো তার স্ত্রীর কথার উত্তরে নিয়তে তোমাকে ভালোবাসা দিলাম ও বলতে পারতো...

তাই অস্পষ্ট শব্দ  শুধু  " দিলাম" "তোমাকে দিলাম" দ্বারা কি ডিভোর্স হবে?

প্রশ্ন ২ : স্ত্রী বা স্বামি ফেসবুকে রিলাশন স্টাটাস যদি ডিভোর্সড বা single করে দেয় তাতে কোন সমস্যা হবে??

প্রশ্ন ৩ :  স্বামি বা স্ত্রীকে চাকরির ক্ষেত্রে বা অন্য কেউ যদি তাদের জিজ্ঞেস করে যে তারা বিবাহিত  নাকি Unmarried..!

তারা যদি মিথ্যা কথা বলে যে তারা বিবাহিত না....এই মিথ্যা কথা বলার জন্য সমস্যা হবে?

প্রশ্ন ৪: কেউ যদি দুষ্টামি করে বা মজা করে বলে যে,,,আমার অবস্থা ফেরাউন এর মতো আর আমার বউ হইলো আছিয়া। মানে তার বউ ধার্মিক সে এটা বুঝাইতে চাইছিলো।

বা লোকটারে অনেক মশায় কামড় দেয়,,,এজন্য সে বলেছে আমি মনে হয় নমরুদ...এজন্য আমাকে মশা বেশি কামড় দেয়।।। এবং তার বন্ধুরাও তাকে দুষ্টামি করে বলে তুই তো একটা নমরুদ এজন্য তোরে মশা কামড় দেয় বেশি।।। সে দুষ্টামি করে fun করে কথা গুলা বলার জন্য তার ইমানের সমস্যা হবে???

প্রশ্ন ৫: স্বামি যদি তার কোন অপরাধের জন্য তার স্ত্রীর কাছে মাফ চায় এর জন্য কি স্ত্রীর গুনাহ হবে??? পা ধরে মাফ চাওয়া কি যাবে?

প্রশ্ন ৬: স্বামি যদি তার স্ত্রীকে বলে,,,," তুমি আমার মন থেকে উঠে গেছো" এটা কি কেনায়া শব্দ?? নিয়ত ছাড়া রাগের মাথায় এই শব্দ বললে সমস্যা হবে??

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
স্ত্রী যদি স্বামিকে বলে ' আমাকে ডিভোর্স দেও."

স্বামি যদি তার স্ত্রীর উত্তরে শুধু বলে "দিলাম" বা "তোমাকে দিলাম।"

এক্ষেত্রে শুধু  " দিলাম" "তোমাকে দিলাম" দ্বারা  ডিভোর্স হবে।
এক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হবে। 

الفتاوى الهندية (1 / 356):

"وَفِي الْمُنْتَقَى امْرَأَةٌ قَالَتْ لِزَوْجِهَا طَلِّقْنِي فَقَالَ الزَّوْجُ قَدْ فَعَلْت طَلُقَتْ فَإِنْ قَالَتْ زِدْنِي فَقَالَ فَعَلْت طَلُقَتْ أَيْضًا رَوَى إبْرَاهِيمُ عَنْ مُحَمَّدٍ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - قِيلَ لِرَجُلٍ أَطَلَّقْت امْرَأَتَك ثَلَاثًا قَالَ نَعَمْ وَاحِدَةً قَالَ الْقِيَاسُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَلَكِنَّا نَسْتَحْسِنُ وَنَجْعَلُهَا وَاحِدَةً وَفِيهِ إذَا قَالَتْ الْمَرْأَةُ طَلِّقْنِي ثَلَاثًا فَقَالَ الزَّوْجُ قَدْ أَبَنْتُك فَهَذَا جَوَابٌ وَهِيَ ثَلَاثٌ كَذَا فِي الْمُحِيطِ."
সারমর্মঃ-
স্ত্রী তার স্বামীকে বলেছে,আমাকে তালাক দাও,স্বামী বললো আমি দিলাম,তাহলে তালাক হয়ে যাবে। স্ত্রী যদি বলে আরো বাড়িয়ে দাও,স্বামী বলে দিলাম,তাহলে আবারো তালাক হয়ে যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

(০৩)
এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা। 

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এর জন্য স্ত্রীর গুনাহ হবেনা।
পা ধরে মাফ চাওয়া যাবে।

(০৬)
এটা কেনায়া শব্দ নয়।
এটি বলাতে কোনো তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...