আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি ভালো আছেন। একটা ব্যাপারে আমি ইসলামের বিধান জানতে চাই।

আমি দেশের বাহিরে থাকি, এইখানে ব্যাবসা করি। আমার এইখানে অনেক ভাই এমন আছে যারা অবৈধভাবে বসবাস করে বা কাজ কর্ম করে। তারা চাইলেই বাংলাদেশ টাকা পাঠাতে পারে না।
সে ক্ষেত্রে আমি তাদের টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেই। বলে রাখা ভালো তাদের কাছ থেকে আমি কোনো সার্ভিস চার্জ নেই না। ইন্টার নেটে যেই রেইট দেখায় তার থেকে কয়ে পয়সা কম রেইট দেই। অবশ্য ব্যাংকে পঠালে কমই পাওয়া যায় ।

আর এই কম দেয়ার কারন হলো,,,বাংলাদেশ থেকে যিনি তাদের একাউন্ট এ টাকা গুলো সেন্ড করে উনাকে ব্যাংক এ গিয়ে পাঠাতে হয় সাথে ব্যাংক এর চার্জ ও দিতে হয়।
প্রথম দিকে আমি ইন্টারনেটের রেইট যা তাই দিতাম,,,কিন্তু যেহেতু আমার এইখানে নিজের ব্যাবসা আছে,,আর কাজের জন্য অনেক সময় ব্যয় হয়। তাই সব দিক থেকে বিবেচনা করার পর আমি ইন্টার নেটের রেইটের থেকে কম দেই।
যেই টাকা অতিরিক্ত থাকে তা বাংলাদেশের অই ব্যাক্তিকে দেয়ার পরেও কিছু টাকা বেছে যায়। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে সেই টাকা কি আমার জন্য ব্যাবহার করা জায়েজ হবে???

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন,

বাংলাদেশে আমার এক পার্টি আছে যে ভিন্ন দেশ থেকে মেশিনারিজ কিনে। সে চায়ানা থেকে গাড়ি কিনে। কিন্তু সমস্যা হলো উনি সরাসরি চায়নার মালিক কে টাকা পে করতে পারে না। যেহেত বাংলাদেশ থেকে সরাসরি টীটি হয় না। এই ক্ষেত্রে এলসি করা লাগে। ভিবিন্ন কারনে এলসি করা জামেলা।
উনার এই টাকা পে করার জন্য আমি উনাকে থার্ড পার্টির ব্যাবস্থা করে দেই,,,যিনি হুন্ডির মাধ্যমে চায়ানাতে টাকা গুলো পে করে দেয়। সেই ক্ষেত্রে মধ্যস্তকারি হিসেবে আমার একটা এমাউন্ট থাকে।
আমার প্রশ্ন হলো,,,এই টাকা কি আমার জন্য হালাল হবে কি না??

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/198

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই দেশের নোটের বিনিময় 'আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল' কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যর ভিত্তিতেই হওয়া চাই।যেমন 1$ সমান ৮৪টাকা।
তাছাড়াও যদি কমবেশের উপর উভয় সম্মত হন, তাহলে সেটাও জায়েয।তবে শর্ত হল উভয়ের যে কেউ একজন মজলিসে মুদ্রা কবজা/হস্তগ্রত করবেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮)
ব্লাক মার্কেট বা হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করা যদিও জায়েয তবে এক্ষেত্রে সরকারী বিধিনিষেধ কে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। অথচ বৈধ বিষয়ে সরকারী বিধিবিধানের অনুসরণ অত্যাবশ্যকীয়।
সে কারণে ব্লাকমার্কেট পরিত্যাগই শ্রেয়। তবে হারাম বা নাজায়েয হবে না।কেউ হুন্ডির মাধ্যমে করে নিলে সেটা বৈধ হবে।যদি না তাতে ধোকা এবং প্রতারণা না থাকে।(জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)

(২)
এলসি ব্যতিত অন্য কোনোভাবে বিদেশে পেমেন্ট করাতে যদি ধোকা প্রতারণা না থাকে তাহলে সেটা ফিকহের মূলনীতির আলোকে নাজায়েয বলা না গলেও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে এটাও পরিত্যাজ্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...