আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম  ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। আমার বাবা ২০১৬ সালে একটা জীবন বীমা (ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স) করেছিলেন ১৫ বছরের জন্যে যেটার টাকা গত বছর পর্যন্ত দিয়েছেন। এবছর থেকে আর কোনো কিস্তি দিচ্ছেন না। আলহামদুলিল্লাহ। তবে এই টাকা ইন্সুরেন্স কতৃপক্ষ এখনো দেননি। জানিনা তারা কবে জমাকৃত টাকা ফেরত দিবেন। সম্ভবত পুরো ১৫ বছর ধরে টাকা জমা না দেওয়ায় তারা আমাদের জমাকৃত টাকা থেকে টাকা কেটে নিবেন। আর ২০১৬ সালে আমার দ্বীনের বুঝ ছিল না আর আমার বাবা স্বেচ্ছায় আমার অপছন্দ (লম্বা সময় হওয়ায়) হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেই বীমার নমিনি করে দেন।
১. বীমা কতৃপক্ষের ফেরত দেওয়া টাকা কম হলে আমাদের জন্যে পুরো টাকা গ্রহণই জায়েজ হবে কি?

২. যদি কিছু লাভ দেয় সেই টাকার হুকুম কি?

৩. আমাকে নমিনি করায় আমি কি গুনাহগার হব?

৪. আর আল্লাহ না করেন যদি আমার বাবা মারা যান আর টাকাগুলো আমার কাছে আসে তখন আমার উপর কি হুকুম হবে? কিভাবে এই টাকা ভাগ করবো ভাই-বোন/মায়ের মাঝে?


৫. আমার বাবার ব্যাংকে কোনো ডিপিএস/সেভিংস একাউন্ট নেই এখন। আলহামদুলিল্লাহ। তবে লোন নিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে যা পরিশোধ করে যাচ্ছেন। আমার বাবা আমার নামে উনাদের সাথে শরীকে কুরবানি দিলে তা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
বীমা কর্তৃপক্ষের ফেরত দেওয়া টাকা মূলধন থেকে (আপনার বাবার জমা কৃত টাকা হতে) কম হলে আপনাদের জন্যে পুরো টাকা গ্রহণই জায়েজ হবে।

(০২)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(মাআরিফুস সুন্নাহ ১/৩৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই লভ্যাংশ উত্তোলন করে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে। 

(০৩)
আপনার অনিচ্ছায় হওয়ায় আপনি গুনাহগার হবেননা।

(০৪)
উত্তরাধিকার সম্পদ বন্টনের যেই নীতিমালা শরীয়তের রয়েছে,সেই আলোকে উক্ত টাকা ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এখানে শুধু মূলধন তথা আপনার বাবার জমা কৃত টাকাই শুধু বন্টন করতে হবে।

লভ্যাংশের টাকা বন্টন করা যাবেনা, লভ্যাংশ দিলে সেই লভ্যাংশের টাকা উত্তোলন করে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে। 

(০৫)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...