আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
450 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
edited by
আমি সজ্ঞানে, জানা থাকা সত্ত্বেও এমন একটা কথা মন থেকে বলে ফেলি যা ইসলাম থেকে খারিজ হওয়ার মতো। তবে বিষয়টি কেউ জানেনা এবং কথাটিও কোনো মানুষ শোনেনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর (কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট) মনে পড়ল যে এটা চরম ভুল কথা। অতঃপর তওবা করে পুনরায় নিজে নিজে শাহাদাত পাঠ করি। এখন কি আমার জন্য সে সকল বিধান প্রযোজ্য হবে যা নও মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য? যেমন: গোসল করা।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 
,
শরীয়তের বিধান হলো কোনো মুসলমান যদি মুরতাদ হয়ে যায়,তাহলে তাকে সেই মত ইত্যাদির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে, তওবা করে খালেছ দিলে কালেমা শাহাদত পড়ে মুসলমান হতে হবে। 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   
,
তার উপর গোসল ওয়াজিব কিনা এই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে তার উপরেও গোসল ওয়াজিব।     
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
 حدثنا محمد بن كثير العبدي أخبرنا سفيان حدثنا الأغر عن خليفة بن حصين عن جده قيس بن عاصم قال أتيت النبي صلى الله عليه وسلم أريد الإسلام فأمرني أن أغتسل بماء وسدر

عون المعبود »كتاب الطهارة » باب في الرجل يسلم فيؤمر بالغسل

সারমর্মঃ কায়েস বিন আছেম বলেন আমি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে ইসলাম গ্রহনের জন্য আসলাম,তিনি আমাকে গোসল করার আদেশ করলেন।   
আবু দাউদ 355 নং হাদীস।
.
উলামায়ে কেরামগন বলেন   
هل يجب عليه الغسل أو لا؟ في ذلك أقوال للعلماء، فمنهم من أوجبه مطلقا ومنهم من لم يوجبه مطلقا، وفصل بعض العلماء فقال بوجوبه إن ارتكب حال ردته ما يوجب الغسل وأما إن لم يرتكب في حال ردته ما يوجب الغسل فلا غسل عليه، وهذا قول الشافعية وهو تفصيل حسن.
সারমর্মঃ এই ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে  মতবিরোধ রয়েছে। 
কিছু উলামায়ে কেরামগন এটার ব্যখ্যা করেছেন যে যদি মুরতাদ থাকা অবস্থায় গোসল ওয়াজিব হওয়ার মতো কোনো কাজ করে থাকে,তাহলে ইসলাম গ্রহনের পর গোসল ওয়াজিব।
অন্যথায় গোসল ওয়াজিব নয়।      

মুহাযযাব গ্রন্থে আছেঃ 
 قال الشيرازي في المهذب: وإذا أسلم الكافر ولم يجب عليه غسل في حال الكفر فالمستحب أن يغتسل ، لما روى : أنه أسلم قيس بن عاصم فأمره رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يغتسل. ولا يجب ذلك لأنه أسلم خلق كثير ولم يأمرهم النبي صلى الله عليه وسلم بالغسل، وإن وجب عليه غسل في حال الكفر ولم يغتسل لزمه أن يغتسل، وإن كان قد اغتسل في حال الكفر ، فهل يجب عليه إعادته فيه وجهان أحدهما : لا تجب إعادته لأنه غسل صحيح ، بدليل أنه تعلق به إباحة الوطء في حق الحائض إذا طهرت ، فلم تجب إعادته كغسل المسلم والثاني : تجب إعادته وهو الأصح لأنه عبادة محضة ، فلم تصح من الكافر في حق الله تعالى ، كالصوم والصلاة. 
সারমর্মঃ কোনো কাফের যদি ইসলাম গ্রহনের আগেই কুফর অবস্থাতেই গোসল করে,তাহলে ইসলাম গ্রহনের পর তাকে কি আবার গোসল করতে হবে কিনা,এই ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ ওয়াজিব বলেছেন,কেহ কেহ জরুরি নয়,বলেছেন।    

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
 وقال النووي مبينا رجحان هذا القول بعد ذكر الخلاف في المسألة: احتج أصحابنا بما ذكره المصنف وهو أنه أسلم خلق كثير ولم يأمرهم النبي صلى الله عليه وسلم بالإغتسال ، ولأنه ترك معصية فلم يجب معه غسل كالتوبة من سائر المعاصي ، والجواب عن حديثيهما من وجهين أحدهما: حملهما على الاستحباب جمعا بين الأدلة ، ويؤيده أنه صلى الله عليه وسلم أمر قيسا أن يغتسل بماء وسدر واتفقنا على أن السدر غير واجب الثاني: أنه صلى الله عليه وسلم علم أنهما أجنبا لكونهما كانت لهما أولاد، فأمرهما بالغسل لذلك لا للإسلام.
সারমর্মঃ এই গোসল ওয়াজিব নয়।
রাসুল সাঃ যে উল্লেখিত হাদীসে গোসলের আদেশ করেছিলেন, তিনি জানতেন যে সেই ব্যক্তি জুনুবি ছিলো,,,,,
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী, 
আপনি সতর্কতামূলক গোসল করে নিলেই ভালো হবে।
,
(শুধু মনে মনে কুফরী কথা বললে কেউ কাফের হয়না,যদি মুখে উচ্চারণ করে বলে,তবেই ব্যক্তি কাফের হয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি শুধু মনে মনে এহেন কথা বলে থাকেন,মৌখিক ভাবে যদি উচ্চারণ করে না বলেন,তাহলে আপনি মুরতাদ হয়ে  যাননি।)        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
কুফরি করার পর... ফরজ গোসল অবস্থায় তওবা করলে এবং কালিমা পরলে কি মুসলমান হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...