আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হবো ।

১.জিকির করছি , দুআ মুনাজাতে আছি , নামাজের কিরাত পড়ছি বা জামাতের নামাজে দাঁড়িয়ে আছি (জেহরী ক্বিরাত এবং নিম্ম আওয়াজ এর উভয় ক্বিরাতে) , নামাজের অন্যান্য দুআ পড়ার সময় যদি মনে মনে অন্য জিকির কল্পনা করি বা পড়ে ফেলি তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

২.আমাদের কোচিংয়ের সীট, তথ্য বাহিরের কাউকে অর্থাৎ যারা আমাদের কোচিংয়ে পড়েনা তাদের দেওয়া নিষিদ্ধ। এখন যদি কেউ এগুলো বাহিরের কাউকে দিয়ে দেয় তাহলে অবশ্যই গুণাহ হওয়ার কথা।সে হিসেবে সে শুধু তওবা করে রেহাই পেয়ে যাবে নাকি কোচিং কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে?

৩.আমার মনে যদি কোন গালিগালাজ, অশ্লীল চিন্তা, শরীয়তবীরোধী কথা আসে এবং আমি যদি তৎক্ষণাৎ বা কয়েক সেকেন্ড পর যদি এর অন্য অর্থ কল্পনা করি তাহলে কি জায়েয হবে?এটাকি অন্য সব ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজের কিরাত বা দুআ পড়ার সময় যদি মনে মনে অন্য জিকির কল্পনা করা হয় বা মনে মনে পড়ে ফেলা হয়, তাহলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।পাশাপাশি যেহেতু এখানে বান্দার হকের কিষয়টিও এসেছে, তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে।

(৩)
যদি কখনো মনে গালিগালাজ, অশ্লীল চিন্তা, শরীয়তবীরোধী কথা আসে এবং তৎক্ষণাৎ বা কয়েক সেকেন্ড পর যদি এর অন্য অর্থ কল্পনা করা হয়, তাহলে  এজন্য কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, সাথে সাথেই শয়তানের এরকম প্ররোচনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...