আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (13 points)

হূজূর ফেসবুকে এক ব্যক্তি লিখেছে - 

নবিগন কি ছোট-বড় সকল পাপ থেকে মাসুম-নিষ্পাপ?

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন—

“নবিগন কবিরাহ (গোনাহ) থেকে মাসুম; সগিরাহ থেকে নয়’— কথাটি অধিকাংশ আলেম ও সকল সম্প্রদায়ের বক্তব্য। এমনকি তা অধিকাংশ কালামিদের মত। যেমনটা আবুল হাসান আল-আমিদি উল্লেখ করেছেন যে, এটি অধিকাংশ আশআরিদের বক্তব্য। অধিকাংশ মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও ফফিহের বক্তব্যও এটি। বরং সালাফ, আয়িম্মাহ, সাহাবা, তাবেইন ও তবে-তাবেইন থেকে যা-ই বর্ণিত হয়েছে, তা এই বক্তব্যের অনুকূল।

القول بأن الأنبياء معصومون عن الكبائر دون الصغائر، هو قول أكثر علماء ‏الإسلام، وجميع الطوائف، حتى إنه قول أكثر أهل الكلام، كما ذكر أبو الحسن الآمدى ‏أن هذا قول أكثر الأشعرية، وهو أيضًا قول أكثر أهل التفسير، والحديث، والفقهاء، بل لم ينقل ‏عن السلف، والأئمة، والصحابة، والتابعين، وتابعيهم، إلا ما يوافق هذا القول.

[মাজমুউল ফাতাওয়া- ৪/৩১৯]

তার এই কথার সত্যতা কতটুকু ? আমরা নবী আ. গণের ব্যাপারে আক্বিদাহ রাখি তারা নিষ্পাপ। তার এই কথার প্রেক্ষিতে আমরা কি অবস্থান রাখব শাইখ ? 

1 Answer

0 votes
by (714,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অধিকাংশ আলেমের মত হল,যেভাবে নবীগণ কবিরা গোনাহ থেকে মুক্ত ঠিকতেমনিভাবে সগিরা গোনাহ থেকেও মুক্ত। এটা তাফসিরবিদ, হাদিসবিদ, ফিকাহবিদেরও অভিমত। বরং সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী, সলফে সালেহিন ও ইমামদের কাছ থেকে যে সব বক্তব্য এসেছে সেগুলো এ অভিমতের অনুকূলে।"

নবীদের দ্বারাও কবিরা গুনাহ হয়েছে'- এই আকিদায় বিশ্বাস করলে অবশ্যই জরুরিয়াতে দ্বীনকে অস্বীকার করা হয়।যে জন্য অবশ্যই ঈমান চলে যাবে।তবে সবীদের কাছ থেকে সগিরা গোনাহ হয়েছে,এটা ইজতেহাদি মাসাঈল,সুতরাং এমন আকিদা পোষণ করলে অবশ্যই জরুরিয়াতে দ্বীনকে অস্বীকার করা হয়,যেজন্য ঈমান চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ধরণের গুনাহ হচ্ছে মূসা আলাইহিস সালাম কর্তৃক মিশরি কিবতি লোকটিকে হত্যা করা। কারণ বিনা অপরাধে লোকটিকে হত্যা করা হয়েছিল। এ হত্যা মূসা আলাইহিস সালাম ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। বরং ভুলক্রমে ঘটেছে। যে কারণে তিনি এতে প্ররোচিত হয়েছিলেন সেটা হচ্ছে- মজলুম লোকটিকে সাহায্য করা। কারণ মিশরি কিবতিরা বনী ইসরাঈলদেরকে দাস বানাত এবং তাদের উপর অবিচার করত।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7866


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইবনে তাইমিয়ার এই মতামতকে জুমহুর উলামাগণ গ্রহণ করেননি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,160 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...