আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in ওয়াসওয়াসা by (17 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমি ওয়াসওয়াসা রোগ সম্পর্কে জানতে চাই। ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ু বা OCD রোগ তো একই।
আমি Google এ সার্চ দিয়ে অনেক প্রকার ওয়াসওয়াসা রোগ দেখলাম। কিন্তু তালাকের ওয়াসওয়াসা রোগ লেখা পাইনি।হুজুর আপনার কাছে জানতে চাই,


প্রশ্ন ১:
তালাকের ওয়াসওয়াসা কি একধরনের রোগ???

কেউ যদি এই তালাকের ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত হলে,
ঐ লোককে কি তালাকের ওয়াসওয়াস রোগি বলা হবে???



প্রশ্ন ২: যে কেউ যে কোন সময়ে তালা* ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হতে পারে???


প্রশ্ন ৩: হুজুর আমার অতিতে তেমন কোন ওয়াসওয়াসা ছিলো না। বা তেমন কোন অতিরিক্ত চিন্তার কোন সমস্যা ছিলো না।

কিন্তু বিয়ের পর একদিন ইউটিউবে তালা* ফতোয়া দেখে আমি হঠাৎ অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। সারাক্ষণ Google এ ঘাটাঘাটি শুরু করে দেই। অতিতের আমার আর স্ত্রীর কথা নিয়া চিন্তা করতে থাকতাম সবসময়। মনের ভিতর সবসময় কেনায়া তালা* শব্দ গুলার চিন্তা ঘুরপাক খাইতো।
সুযোগ পেলেই ফতোয়া খোজা শুরু করতাম। বর্তমানে ওয়াসওয়াসা খুবই খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। সারাক্ষণ তালা* ওয়াসওয়াসা মাথায় ঘুরে। মুখ দিয়ে কোন বিন্দুমাত্র তালা**  শব্দ বের হলো নাকি এই নিয়া দুশ্চিন্তায় থাকি সবসময়।


আমি কোন ডাক্তার দেখাই নাই।

হুজুর এর আগে আমি এই ধরনের চিন্তায় কখোনো পড়ি নাই।।। ঐ যে প্রথম যেদিন ইউটিউবে ফতোয়া দেখলাম সেদিন থেকেই অনেক চিন্তায় পড়ে গেছিলাম আর সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা করতাম।

আমি কোন ডাক্তার দেখাই নাই সেই দিন থেকে।

হুজুর আমি কি সেইদিন থেকেই  তালা** ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম...???
আমাকে কি সেইদিন থেকেই  তালা**  ওয়াসওয়াসার রোগি বলা যাবে...???

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,

لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ

‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’ 
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,

(০১)
তালাকের ওয়াসওয়াসার দরুন যদি কাহারো বিবেকবুদ্ধি লোপ পায়,বিবেকবুদ্ধিতে যদি সমস্যা চলে আসে,সেক্ষেত্রে তার জন্য তালাকের ওয়াসওয়াসা এক ধরনের রোগ।

(০২)
যেকেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। তবে যাদের মাঝে পবিত্রতা বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা রয়েছে, তাদের তালাকের ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হওয়া যায়না,তালাকের ওয়াসওয়াসার দরুন যখন কাহারো বিবেকবুদ্ধি লোপ পায়,বিবেকবুদ্ধিতে যদি সমস্যা চলে আসে,তখন কেবল এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। 

(০৩)
সেদিন থেকে তালাকের ওয়াসওয়াসার দরুন আপনার কি বিবেকবুদ্ধি লোপ পেয়েছে? বিবেকবুদ্ধিতে কি সমস্যা চলে এসেছে? 

যদি তাই হয়,সেক্ষেত্রে আপনাকে সেদিন থেকে তালাকের ওয়াসওয়াসার রুগী বলা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে শিউর হওয়ার জন্য কোনো দারুল ইফতা বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর কাছে যাওয়া উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
0 votes
1 answer 148 views
...