ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
পুতনিকে দাদুমণি বলা যাবে। যদিও এটা হিন্দুরা ব্যবহার করতো তবে এতে শিরকি কোনো অর্থ তো দেখা যাচ্ছে না।
(২)
"যাকাতের হিসাব থেকে নিজের ঋণ বাদ দেওয়া।"
যাকাতের হিসাব করার সময় এবিষয়টিও লক্ষ রাখতে হবে যে, যাকাতদাতা নিজে ঋণগ্রস্ত কি না?যদি নিজে ঋণগ্রস্ত হয় তাহলে সামগ্রিক হিসাব থেকে ঋণ পরিমাণ টাকা বাদ দিতে হবে। ঋণের টাকা হিসাব থেকে বাদ দেয়ার পর যে অর্থ অবশিষ্ট থাকবে, তা-ই যাকাতের হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবে। এরপর শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত আদায় করবে। উত্তম হল,সম্পদ হিসাবে যাকাতের যে পরিমাণ অর্থ দাঁড়ায়,তা পৃথক করে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে রাখবে।অতঃপর সময় ও সুযোগ মতো যাকাতের নির্দিষ্ট খাতে তা ব্যয় করতে থাকবে। এটিই হলো যকাতের হিসাব সংরক্ষণ করার উত্তম পদ্ধতি।
"ঋণ দুই প্রকার"
ঋণের ক্ষেত্রে লক্ষনীয় আরো একটি দিক রয়েছে।আর তা হল যে, ঋ দুই প্রকার।
এক.সাধারণ ঋণ।যা মানুষ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কিংবা অস্বাভাবিক অবস্তায় নিতে বাধ্য হয়।
দুই.বিশাল বিশাল শিল্পকারখানা গড়ে তোলার কিংবা যে কোনো বড় ধরনের ব্যবসায়িক প্রকল্প খোলার উদ্দেশ্যে যে ঋণ নেয়া হয়ে থাকে।দৃষ্টান্ত স্বরুপ -ফ্যাক্টরী স্থাপন,মেশিনারিজ আমদানি কিংবা
ব্যবসায়িক পণ্য ইমপোর্ট করার উদ্দেশ্যে যে ঋণ নেয়া হয়।
ধরা যাক একজন শিল্পপতির দু'টি ফ্যাক্টরী চালু রয়েছে। কিন্তু সে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তৃতীয় আরো একটি ফ্যাক্টরী চালু করল। দ্বিতীয় প্রকারের এই ঋণকে যদি সামগ্রীক সম্পদের হিসাব থেকে বাদ দেয়া হয়, তাহলে এ জাতীয় শিল্পপতিদের ওপর তো এক পয়সাও যাকাত ওয়াজিব হবে না; বরং উল্টো তারাই যাকাত প্রাপকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।কেননা তাদের কাছে যাকাতযোগ্য যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশী ঋণ সে ব্যাংক থেকে নিয়ে রেখেছে। দৃশ্যতঃ এখন তাকে দরিদ্র এবং মিসকীন মনে হচ্ছে। সুতরাং এ জাতীয় ঋণ বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে শরীয়ত পার্থক্য নির্ণয় করে দিয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/17393
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার যদি কারো থাকে অপরদিকে ঐ ব্যক্তির ৭-৮ লাখ টাকা ঋণ থাকো,তাহলে এমতাবস্থায় যাকাতের আসবে না।তবে ব্যবসার ঋণ হলে ভিন্ন কথা।