আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
edited by
গতমাসের ৪ থেকে ১৩ তারিখ হায়েজ ছিল।
এমাসের ২ তারিখে লজ্জাস্থান থেকে ছোপ তরল বের হয়(পুরোপুরি রক্ত না)। ১৫ দিন অতিক্রম করায় এটাকে হায়েজ ধরি। একদিনও রক্ত বেরোয়নি কিন্তু টিস্যু ধরলে লাল/খয়েরি রঙের ছোপ দেখা যেত(ইস্তিহাযা হলে যেমন হয়)। ১১ তারিখ পর্যন্ত এটা চলে তারপর ১১ তারিখে নামায পড়া শুরু করি।

আজ ১৩ তারিখ,আজ লজ্জাস্থান থেকে পিরিয়ডের রক্ত বেরোচ্ছে,যোহরের একটু আগে খেয়াল করি। বুঝা যাচ্ছে এটাই পিরিয়ডের ব্লাড

আমার ওভারিতে সিস্ট থাকায় এমন সমস্যা হয় মাঝেমাঝে,ইস্তিহাযা আর ইররেগুলার পিরিয়ড।
আমি কি এই পূর্ণ পিরিয়ডের ব্লাড নিয়ে নিয়ে নামায আদায় করব নাকি এই সময়টাকে পিরিয়ড ধরে গত ২ থেকে ১১ তারিখের সময়টাকে ইস্তিহাযা ধরব আর পরে ঐ সময়ের কাযা আদায় করে নিব?আমার পিরিয়ডের ন্যায় অনেক পেট ব্যথাও করছে

টেকনিক্যালি এটা হয়ত ইস্তিহাযা হবে,কিন্তু আমি বোঝাতে পারব না কী পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে,এটা নিয়ে কীভাবে নামায আদায় করব? আবার লাস্ট মাসের পিরিয়ড হওয়ার ঠিক ১ মাস পর এমন হচ্ছে,তাইলে শারীরিকভাবে এটাই পিরিয়ড হচ্ছে,মাঝের ছোপ ছোপ ব্লাড যা বেরোচ্ছিল তা শারীরিক কোনো কারণে হবে,পিরিয়ড ছিল না।

কী করব,সমাধান দিন প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (678,360 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ- 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
২ থেকে ১১ তারিখের সময়টাতে আপনার যদি সাদা ব্যাতিত অন্য কোনো কালারের তরল স্রাব নির্গত হয় তথা রের হয়ে আসে,সেক্ষেত্রে ২ থেকে ১১ তারিখের সময়টাকেই হায়েজ ধরবেন।

এখনকারটা ইস্তেহাজা।
,
আর যদি ২ থেকে ১১ তারিখের সময়টাতে আপনার যদি সাদা ব্যাতিত অন্য কোনো কালারের তরল স্রাব নির্গত না হয়,সেক্ষেত্রে ২ থেকে ১১ তারিখের সময়টাকেই ইস্তেহাজা ধরবেন।

এখনকারটা হায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 85 views
...