আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
closed by

আমি গতকাল একটা স্বপ্ন দেখি যে কিয়ামত হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। হয়তো হাজার খানেক কিছু মানুষ আছেন আর। আমার আত্নীয় স্বজনরাও কম, আমি জানিনা তারা মারা গেছেন নাকি কই আছেন, শুধু জানি উনারা নাই।
আমার ঘরে আমি, আম্মু আর আমার ছোট ভাই-বোন দুইটা (আব্বু ইন্তেকাল করেছেন দের বছর হলো)। স্বপ্নে আমার ভাই-বোনকেও দেখিনি। দেখলাম এক বিকেলে কারেন্ট নাই, আমি আর আম্মু বিছানায় বসে আছি বা গল্প করছি। হঠাৎ ভূমিকম্প হতে শুরু করলো একটু পর পর।খুব বড় না আবার ছোটও না। আমরা সবাই জানি যে হঠাৎ করেই কিয়ামত চলে আসতে পারে তাই সবাউ বুঝে গেছেন কিয়ামত চলে আসছে। আম্মুও হায় হুতাশ করছেন, বাট খুব একটা না যেমনটা করা উচিৎ। নরমালি কাজ গুছিয়ে গুছিয়ে একটু একটু টেনশন করছেন, ভাই বোন কই আছে তাও ভাবতেছেন না লাইল এটা কোনো ম্যাটার না।

আমি বিশ্বাস করতে না পারায় দৌড়ে বাইরে যাই শিওর হওয়ার জন্য। নরমালি হালকা মেঘলা বিকেল বেলায় যেমন আলো থাকে ওমনই কিন্তু উপরে আকাশে খুব ঘন কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে সারা পৃথিবী, ধোয়ার ঘূর্ণিঝড়ও হচ্ছিল। এটা দেখে আমি শিওর হলাম যে কিয়ামত আসলেই চলে আসছে।
ও হ্যা ভূমিকম্পের সাথে সিংগার আওয়াজ ও পাচ্ছিলাম। আচ্ছা তো বাইরে থেকে এসে কিছু বুঝতে না পেরে নামাযে লেগে যাউ একটু পর। সূরা পড়তে গিয়ে মনে পরে শেষ মূহুর্তে তো আল্লাহ তওবা কবুল করেন না। হতাশ হয়ে তখন ওই জায়গায়ই ঠাস করে বসে পরি, নামায ভেঙে যায়। তারপর কি হয় মনে নাই, একটু পর ঘুৃম ভাঙে।

ঘুম থেকে ওঠার পর এগুল নিয়ে ভাবতে সময় হঠাৎ মনে পরে, আমি যখন নামায পরি স্বপ্নে, তখন আমাদের উত্তর-দক্ষিন বরাবর বিছানায় দাড়িয়ে নামাজ পড়ি। ওখানে প্রায়ই নামাজ পরি কিন্তু স্বপ্নে দক্ষিণ বরাবর দাড়িয়ে নামাজ পড়ছিলাম। এইটা আমাকে বেশি ভয় দেখায়।

আচ্ছা বলে রাখি, দুইদিন যাবৎ আমি বাছিরা মিডিয়ার জীবন-মৃত্যু সিরিজ শুনতে ছিলাম।

আমার প্রশ্ন, এই স্বপ্নের কি আসলেই কোনো মানে আছে নাকি, নিছক মস্তিষ্কের একটা খেলা!
খুব ভয়ে আছি, আশা করি দ্রুত সাহায্য করবেন।

closed

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
selected by
 
Best answer

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/52645/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে 

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

আপনার স্বপ্নের দুটি ব্যাখ্যা হতে পারে। এক:- আপনি মৃত্যু সম্পর্কিত সিরিজ শুনার কারণে তা কল্পনার রুপ নিয়েছে। অর্থাৎ স্বপ্নের ৩নং প্রকার মানুষের কল্পনা মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। দুই:- ইবনে সিরীন [রহ] বলেন, কেউ যদি এভাবে কেয়ামত হতে দেখে, তবে সে এমন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তির পক্ষ থেকে নিপীড়নের শিকার হবে, যার থেকে এমন আচরণ সে আশাই করে নি। সূত্র : আর-রু’ইয়াতু ওয়াত-তা’বীর, ইবনে সিরীন [রহ] সুতরাং আপনার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকা ও ইস্তেগফার পাঠের পাশাপাশি হেফাজতের দোয়াসমূহ পাঠ করা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (16 points)
আসসালামু 'আলাইকুম 
উত্তর এমন দেওয়া মানে কি?
by (63,240 points)
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
কোন ফাতওয়া ওয়েটিংয়ে রাখা হলে এমন লেখা শো করে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...