আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম ,
প্রশ্ন ১: কোনো ছেলে মেয়ের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক আছে। তারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে, তারা দুজন এর বাড়িতে বিয়ের জন্য কথা বলে , বাড়ির লোক বলে কয়েক মাস পরে বিয়ে দিবে।  ছেলে ও মেয়ের মধ্যে মাঝে মাঝেই  ঝামেলা হয়  ছেলে টা মেয়ে টা কে বলছে , তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে বিয়ে করব না, তার বান্ধবী কে ও বলে বিয়ে করব কি ঠিক নেই। ,  ডিভোর্স, ইত্যাদি কথা মেয়ে টা কে বলেছে ছেলেটা। তুমি আমার শুধু মাথা গরম করে দাও ইত্যাদি তুই যদি আর একবার এই কাজ করিস আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই, ব্রেকআপ আল্লাহ কসম , মেয়ে টাক  ফোন করতে নিষেধ করেছে , ফোন করলে ব্রেকআপ, সম্পর্ক নেই এই সব বলেছে। তার পরও মেয়েটা ফোন করেছে । বেশ এই  রকম কিছু কথা হয়েছে।  মেয়েটা একটা কি ভুল করেছে , দিয়ে মেয়েটা কান্না করছে আর বলছে আমি তোমাকে বিয়ে করব, আমি তোমাকে ভালোবাসি,তুমি আমার স্বামী, আমি তোমার বউ।   আমি জাই ভুল করি আমি তো তোমারই,  তুমি আমাকে কেনো ছাড়বা?? ছেলেটা বলে অবশ্যই ছাড়বো। দিয়ে মেয়েটা বলে আমরা যদি স্বামী স্ত্রী হয়ে যেতাম  তখন এই রকম কিছু করলে তুমি আমাকে ছাড়তে পারতা ?? ছেলেটা বলে অবশ্যই এবং সঙ্গে সঙ্গে বলে  তখন আলাদা ব্যাপার ছিল।
এই রকম কথা বার্তা হয়েছে , তারা বিয়ে করলে বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে? তালাক , শর্ত তালাক হবে??

প্রশ্ন ২: মেয়ের মা কে ফোন করে ছেলে বলে বিয়ে করবনা। ১০০% বিয়ে করবো না। আমি বিয়ে করলে অমুক কাজ করতে দিবো না।  এই সব বলে। মেয়ের মা বলে তাহলে আমরা ভেবে দেখবো। আরো কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়। ছেলে কোনো শর্ত তালাক দেইনি। মেয়ে কে ফোন করে হয়ত বলেছে , অমুক কাজ করতে দিবো না , তাহলে বিয়ে করবো না । বা ডিভোর্সে দিবো। আমি বিয়ে করবো অমুক কাজ করতে দিবনা খুব বেশি প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে করতে পারে। মেয়েটা বলেছে করবো না।  ঝামেলা ঠিক হয়েছে , ছেলেটা এখন নিজে চাই মেয়েটা সেই কাজ করুক।  তাদের মধ্যে এখন সব কিছু ঠিক হয়েছে।
 সমস্ত বর্ণনা অনুযায়ী কি ছেলে মেয়ে  বিবাহ করলে কোনো সমস্যা হবে??  কোনো তালাক , শর্ত তালাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...