আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আস সালামু আলাইকুম।
চোখের ছানির অপারেশন এর পরে কয়েকদিন মাথা নোয়ানো যায় না। এক্ষেত্রে সিজদা ও রুকু ও করা যায় না। অযুর সময় মুখে পানি দিতে গেলেও চোখে পানি যাওয়ার ঝুকি থাকে। গোসলের সময়েও  একই সমস্যা। এক্ষেত্রে নামায ও অজুর হুকুম কি?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/23187/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলোঃ নামাজি অসুস্থ হলে এবং দাঁড়াতে অপারগ হলে তাকে চতুষ্পদ (চারজানু) হয়ে বসে অথবা তাশাহহুদের বৈঠকের ন্যায় বসে নামাজ আদায় করতে হবে।

 

যদি বসেও আদায় করতে অক্ষম হয় তবে ডান পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে। তাও যদি কষ্টকর হয় তবে বাম পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

 এ ভাবেও যদি নামাজ পড়তে সক্ষম না হয়, তবে কিবলার দিকে পা দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে ইশারা করে রুক ও সিজদা আদায় করবে। তবে সিজদার সময় রুকুর চেয়ে একটু বেশি মাথা ঝুকাবে।

 

সর্বোপরি জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো নামাজির নামাজ মাফ হবে না। অসুস্থ ব্যক্তি তার সুবিধা মতো নামাজ আদায় করবে। হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বিবরণ দিয়েছেন-

عن عمران بن حصين رضي الله عنهما قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ((صلِّ قائمًا، فإن لم تستطع فقاعدًا، فإن لم تستطع فعلى جنب -رواه البخاري في أبواب تقصير الصلاة، باب إذا لم يُطِقْ قاعدًا 1/ 376 (106

হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ ছিল, তাই এ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করবো তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর।’ (বুখারি ১/৩৭৬)

,

যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/8484/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত অবস্থায় অযু করার ক্ষেত্রে মুখের যতটুকু অংশ ধৌত করা সম্ভব ততটুকু ধৌত করবেন এবং বাকী অংশটা মাসেহ করবেন। একেবারে সরাসরি চোখের ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করতে সমস্যা হলে তার উপর প্রয়োজনে একটা পবিত্র কাপড় রেখে উক্ত কাপড়ের উপর মাসেহ করবেন। এ ছাড়া বাকী অঙ্গ অর্থাৎ মাথা মাসেহ, উভয় হাত ও পা স্বাভাবিক অযুর ন্যায় ধৌত করবেন।  

তেমনী ভাবে গোসলের ক্ষেত্রে শরীরের যতটুকু অংশে পানি পৌছানো সম্ভব  তাতে পানি পৌছালেন। আর বাকী অংশ অর্থাৎ অপারেশনের অংশের উপর মাসেহ করে নিবেন।

 

২. আপনি যেহেতু দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম। আর রুকু, সেজদা আদায় করতে অক্ষম। তাই আপনি দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করবেন।

দাঁড়িয়ে কিরাআত পাঠ করে তাকবির বলে বসে গিয়ে সামান্য মাথা ঝুকিয়ে রুকু করবেন এবং এর থেকে আরেকটু সামান্য ঝুকে গিয়ে (যতটুকু সম্ভব) সেজদা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (15 points)
রুকু করতে অক্ষম না। তবে রুকুর সময়ে  মাথা নোয়াতে অক্ষম। মাথা সোজা রেখে রুকু করতে পারব?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 84 views
0 votes
1 answer 80 views
...