আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১.আমার সাদাস্রাবের সমস্যা রয়েছে,তবে আমি মাজুর নই।আমি এতোদিন ভাবতাম যে লজ্জাস্থান ধোয়ার পর প্রায় এক ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় আমি সাদাস্রাব না বের হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারবো।কিন্তু, আমি একজন ছাড়া আর কাউকেই এমনট বলতে শুনি নি যে,স্রাব পরিষ্কার নিলে অনেকটা সময় নিশ্চিত থাকা যায়।সাদাস্রাব তো একটা কমন বিষয় তাই কম বেশি সবার ই এই বিষয়টা জানা থাকা উচিত।আমার প্রশ্ন হলো,আমি কি আমার এতোদিনের লালন করা ধারণার উপর আমল করা ছেড়ে দিবো?

২.প্রস্রাব শেষে পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার সময় আমার পেরেশানিতে পড়তে হয় যেহেতু লজ্জাস্থানে সাদাস্রাব থাকে।আমি মনে করি যে,স্রাব হাত দিয়ে না ডলে শুধু পানি ঢেলে দিলে স্রাব পানির সাথে মিশে অনেকটা জায়গায় নাপাকি ছড়িয়ে যাবে।আমার এই ধারণা কি সঠিক?(সাদাস্রাবের ধরন কখনো পিচ্ছিল পানির মত,কখনো সাদা টাইপ,কখনো ঘন।)
৩.পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করার সময় আমি আগে লজ্জাস্থান ডলে নিই তারপর হাত ধুয়ে নি এবং তারপর আবার লজ্জাস্থানে পানি ঢালি।ইদানীং আমার মনে হচ্ছে,ডলার পর যেহেতু পানি ঢালতে লেইট হয় তাই ওই স্থান একটু শুকিয়ে যায় যার জন্য আবার পুনরায় ডলে তারপর পানি ঢালা উচিত।আনুমানিক কতক্ষণ সময় পানি ঢালতে লেইট হলে ওই স্থান আবার ডলে নেওয়ার জরুরত পড়বে?(পানি ঢালার সাথে সাথে ডলা-র বিষয়টা সামধান বা পরামর্শ হিসেবে দিবেন না,শাইখ।)

৪.সাদাস্রাবের গন্ধ পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত পানি ঢালতে হবে?যদি ৫-৬ লিটারের মত পানি খরচ করতে হয় এর জন্য তাহলেও?

৫..ধরুন,আমি তিলওয়াত করলাম,আলহাম দুলিল্লাহ হি রব্বিল আলামিল কিংবা অনুরূপ এমন শব্দ যা কোনো শব্দ বলেই বিবেচিত হয় না আরবীতে।যেহেতু শব্দ না তাই কোনো অর্থই দাঁড়ায় না।এমন তিলওয়াত করলে কি নামায বাতিল হবে?

৬.সাদাস্রাবের ছিদ্রপথে টিস্যু বা তুলা দিয়ে রেখে সালাত আদায় করা যাবে যদি সালাতে সাদাস্রাব বের হয় কিন্তু বাইরে না আসে টিস্যুর জন্য? (টিস্যুর বাইরের অংশ ভিজে না যায়)

৭.টিস্যুর বাইরের অংশ যদি ভিজে তাহলে কি হুকুম?

৮.নকল করে পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে তা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এইখান থেকে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারলে সেই ক্ষেত্রে রুখসাত থাকবে।পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া বলতে কি ডিগ্রি /অমার্স/মাস্টার্স বোঝানো হয়েছে? নাকি ১/২ বছর?(ওই কলেজে মাস্টার্স করা অনার্স/ডিগ্রি করা যায়)

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

https://www.ifatwa.info/2142 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য কিতাব ফাতাওয়ায়ে শামীতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা বর্ণিত রয়েছে।
في الدرالمختار-ج:١ـص:١٣٤
(وينقضه) خروج منه كل خارج (نجس) بالفتح ويكسر (منه) أي من المتوضئ الحي معتادا أو لا، من السبيلين أو لا (إلى ما يطهر) بالبناء للمفعول: أي يلحقه حكم التطهير. ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا، كما لو سال في باطن عين أو جرح أو ذكر ولم يخرج،

জীবিত পবিত্রতম কোনো ব্যক্তির প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ দিয়ে কোনো নাজাসত বের হলে অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে।চায় স্বাভাবিক কিছু বের হোক বা অস্বাভাবিক কিছু বের হোক।প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে যৎ সামান্য কিছু বের হলেই অজু চলে যাবে।আর অন্যান্য অঙ্গ থেকে শুধুমাত্র নাজাসত প্রবাহিত হলেই অজু ভঙ্গ হবে।চায় জোরে হোক বা আস্তে।কেননা ফুকাহায়ে কিরাম লিখেন,যদি কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।তবে যদি রক্ত যখমের ভিতর দৌড়াদৌড়ি করে ,অথবা চোখ কিংবা পুরুষাঙ্গের ভিতরে দৌড়াদৌড়ি করে,কিন্তু বাহিরে আসে না,তাহলে এমন রক্তের কারণে অজু ভঙ্গ হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

আপনার ধারণাটি সঠিক নয়। লজ্জাস্থান ধোয়ার পর সাদা স্রাব বের হওয়ার বিষয়ে আপনি কোনো সময়েই নিশ্চিত থাকতে পারবেননা। এটি যেকোনো সময় বের হতে পারে। লজ্জাস্থান ধোয়ার পরের মিনিটেই সাদা স্রাব বের হতে পারে।

(০২)
এক্ষেত্রে সাদা স্রাব ধোয়ার পানি শরীরের অন্য স্থানে লাগলে আপনার ধারণাটি সঠিক বলে বিবেচিত হবে। 

(০৩)
ইদানিং আপনার মনে যেটি হচ্ছে, এটির দিকে গুরুত্ব দিতে হবেনা।
এক্ষেত্রে লেইট হলে সমস্যা নেই।

(০৪)
না,গন্ধ দূর করতে হবেনা।
সাদা স্রাব দূর করাই যথেষ্ট। 

(০৫)
আপনি যে উদাহরণ দিয়েছেন, সেখানে শব্দ বলেই বিবেচিত হয় না,এমন শব্দ নেই।
এমন কোনো শব্দ যার অর্থ নেই,সেক্ষেত্রে উক্ত আয়াত ঠিক করে পুনরায় পড়তে হবে।
নতুবা নামাজ হবেনা।

(৫-৬)
টিস্যুর বাহিরের দিকে ভিজে যাওয়া বা ভিতরের দিকে ভিজে যাওয়া এখানে মূল বিষয় নয়।

মূল বিষয় হলো,
টিস্যু রাখার পরে যদি এতটুকু সাদা স্রাব বের হয় যে, টিস্যু না রাখলে সাদা স্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে চলে আসতো,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে। এমতাবস্থায় সালাত চালিয়ে যাওয়া যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৮)
এখানে সকল সেক্টরের লেখাপড়াই উদ্দেশ্য। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 285 views
0 votes
1 answer 84 views
0 votes
1 answer 122 views
...