আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in ওয়াসওয়াসা by (23 points)
আসসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার একটি প্রশ্ন
১।হুজুর আমি শুনেছি যে  এক মাজহাবের হয়ে অন্য মাজহাবের নিয়ম পালন করলে গুনাহভবে সেটা জায়েজ হবে না তবে যারা জ্ঞানি বা মুজাহিদ তারা মাজহাবের বাহিরে গবেষনা করে নিয়ম পালন করতে পারবে।ত ধরেন আমি যদি হানাফি মাজহাবের একজন আলেমকে যদি অনুসরন করি ত এখন উনি যদি হানাফি মাজহাবের হয় এবং উনার কয়েকটি মাসালার উত্তর যদি হানাফি মাজহাবের  মাসালার বিপরীত হয়  যা অন্য মাজহাবের সাথে  মিলে গেছে তবে কি তার কাছ থেকে সব সয় জিবনের ঘনিষ্ঠ মাসালার সমাধান নেই বিধায় ব আমি সেই মাসালা গুলা আমিও পালন করলে আমার গুনাহ হবে?বা তার ছাএ হওয়াত সভব না আমি যদি এই নিয়ত করি আমি হানাফি মাজিবাহের তাকে অনুস্রন করব মানে অনুস্রন বলতে আমার যত সমস্যা আছে সব প্রশ্নের সমাধান তার কাছ থেকেই নিব। ত তখন  যদি আমাকে দলিল দিয়ে ফতোয়া দেয়? নাকি গুনাহ হব্র না।যেমন আমাকে একজন মুফতি হানাফি মাজিহাবের ফতোয়া দিয়েছিল যে ওয়াসওয়াদার রুগির শিরক কুফুরি হয় না সেচ্ছায় করলেও কিন্তু হানাফি মাজহাবের অনেক আলেম এটার বিরুধিতা করছে ত আমি তাকে অনুসরন করি বিধায় সেটা কি মানতে পারব?বা উনি বলেচজল যে সামি বউকে ১৮নং ক্ষমতা বলে ডিভোর্সের অনুমতি দেয় সেটা ফেরত দেয়া যাবে।কিন্তু হানাফির অনেক আলেম সেটা বিরুধিতা করে।এখন আমি কি তাকে অনুসরন করি বা যেকুন সমস্যায় পরলে তার কাছে প্রশ্ন করি এবং সমাধান নেই সেই সুবাদে আমি  কি এই মাসালা গুলা মানতে পারব?
২।হুজুর আমি আপনাদের পেইজে সবার উওত্র দেখে আমার ভালো লাগে কারন আপনারা দলিল দিয়ে ফতোয়া দেন।আর আমি শুনেছি যে যে যেই মাজহাবের সেই মাজহাবের আলেমদের কাছ থেকে উত্তর নিয়ে পালন করতে হয়।তাই প্লিজ হুজুর আপনার কাছ্র আকুল আবেদন আমি যেহেতু এখানে বিভিন্না সমস্যা মাজে মাজে পড়ে প্রশ্ন করি আপনার মাজহাব টা বলবেন এবং এই পেইজের সব আলেমকি হানাফি মাজহাবের একটু জানাবেন দয়া করে আমার খারাপ কোন উদ্দেশ্য নাই।আমিত শুধু মাজহা টা জানতে চাইছি সেই সমস্যার জন্য।

৩।হুজুর আমি কি তাকে অনুসরন করার পাশাপাশি হানাফি মাজহাবের অন্য আলেমদেরও অনুসরন করতে পারব?কারন সব সময়ত তার কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর জিগাস করা সম্ভব হয় না।আর হানাফি মাজহাবের সব উত্তর ত একই হয় দুই একটি মাসালা হয় দেখা যায় যে মিলে না।বা হানাফি মাজহাবের একসাথে ৩/৪ আলেমকে কি একসাথে অনুসরন করা যাবে?বা যলহ্ন দেখব যে এই মাসালায়া মিয়্র মতভেদ আছে তাদের মধ্য তখন আমি যদি তাদের ম৩/৪ জিনের মধ্য মুলত আমি যাকে বেশি বিশস্ত বা যার কাছবথেকে সব সময় বেশি উত্তর নেই তবা যাকে। অনে করি যে না আমি মুলত তাকেই অনুসরন করি আর তাকে যখন না পাই তাদের থেকে উত্তর নেই।তখন যদি যাকে মেইন মানি তার মাদালা গ্রহন করি সেটা কি পারা যাবে? যেহেতু হানাফির উত্তর গুলা একই হয় দুই একটা মাসালা বাদে।নাকি আমি হানাফি মাজহাবের সেই আলেমজে অনুসরন করি বিধায় তার কাছ থেকেই আমার উত্তর নিতে হবে অন্য কুন হানাফির আলেমকে আমি কুন প্রশ্ন করতে পারব না।অলিন জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (678,280 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/47559/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
(আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯।  মিশকাত ২৪২।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنِ اسْتَشَارَهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِغَيْرِ رُشْدٍ فَقَدْ خَانَهُ وَمَنْ أُفْتِيَ فُتْيَا بِغَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা বলিনি তা যে ব্যক্তি আমার প্রতি আরোপ করবে সে যেন দোযখে তার স্থান করে নিলো। কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলিম ভাই পরামর্শ চাইলো কিন্তু সে তাকে ভ্রান্ত পরামর্শ দিলো। সে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আর যে ব্যক্তি দলীল-প্রমাণ ছাড়াই ফতোয়া দিলো, তার এই ফতোয়াদানের পাপ তার উপরই বর্তাবে। 
(মুসলিম. আল আদাবুল মুফরাদ ২৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন  কার ফতোয়াতে দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর দলিল ভিত্তিক ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।

(০২)
এই পেইজের সকল আলেম হানাফি মাযহাব অনুসারী। আমরা অন্যান্য সকল মাযহাবে ও তাদের অনুসারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল 
কাউকে আমরা অবজ্ঞা করিনা,সকলকে নিজ নিজ মাযহাব মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকি। কেউ ভিন্ন মাযহাবের কোনো মাসলায়া জানতে চাইলে আমরা যথাসাধ্য তাহা জানানোর চেষ্টা করে থাকি।

(০৩)
হ্যাঁ অন্যদেরকেও অনুসরণ করবেন।
কোনো মাসয়ালায় মতবিরোধ দেখলে যার মত স্পষ্ট দলিল ভিত্তিক, তার মত অনুসরণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...