আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

আমি একজন ছেলে। আমার অনেক সময় স্বপ্নদোষ হয়। স্বপ্নদোষ হয়েছে নাকি তা বুঝার  জন্য আমি প্যান্ট চেক করে দেখি। অনেক সময় স্বপ্নদোষ হলে শুধু প্যান্টে তার ছাপ দেখতে পাই মানে ভেজা থাকে। কিন্তুু অনেক সময় বীর্য শুধু প্যান্টে লেগে থাকে আবার কখনো বা বিছানার চাদর এবং কোলবালিশেও লেগে যায় মানে বিছানার চাদর এবং কোলবালিশও ভেজা থাকে। এখন বেশি ঘুমের মধ্যে থাকলে স্বপ্নদোষ হলে, ঘুম থেকে ওঠার পরে প্যান্ট চেক করে বুঝতে পারি। যেহেতু বীর্য বের হলে সবার আগে প্যান্টে লাগে আর বেশি প্যান্টে লাগে তাই প্যান্ট ভেজা থাকে।  কিন্তুু বিছানার চাদর এবং কোলবালিশ এ বীর্য লাগলেও ততক্ষণে শুকিয়ে যেতে পারে। আবার বিছানার চাদর এবং কোলবালিশ এ বীর্য নাও লাগতে পারে।  উভয়েরই সম্ভাবনা আছে। স্বদোষ হলে তখনই ঘুম ভেঙে গেলে আমি বুঝতে পারি বীর্য কোথায় কোথায় লেগেছে কিন্তু স্বপ্নদোষের অনেকক্ষণ পর ঘুম ভাঙলে আমি বুঝতে পারি না।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ঘুম থেকে উঠার পর স্বপ্নদোষ হয়েছে বুঝতে পারলে, শুধু যে সকল স্থান ভেজা রয়েছে দেখতে পাব শুধু কি সে সকল স্থানকে নাপাক হিসেবে ধরে নিব? একটু বুঝিয়ে বললে উপকৃত হব।

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ يُونُسَ بِنْتُ شَدَّادٍ، قَالَتْ حَدَّثَتْنِي حَمَاتِي أُمُّ جَحْدَرٍ الْعَامِرِيَّةُ، أَنَّهَا سَأَلَتْ عَائِشَةَ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَتْ : كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَعَلَيْنَا شِعَارُنَا وَقَدْ أَلْقَيْنَا فَوْقَهُ كِسَاءً فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ الْكِسَاءَ فَلَبِسَهُ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الْغَدَاةَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ هَذِهِ لُمْعَةٌ مِنْ دَمٍ . فَقَبَضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى مَا يَلِيهَا فَبَعَثَ بِهَا إِلَىَّ مَصْرُورَةً فِي يَدِ الْغُلَامِ فَقَالَ " اغْسِلِي هَذِهِ وَأَجِفِّيهَا ثُمَّ أَرْسِلِي بِهَا إِلَىَّ " . فَدَعَوْتُ بِقَصْعَتِي فَغَسَلْتُهَا ثُمَّ أَجْفَفْتُهَا فَأَحَرْتُهَا إِلَيْهِ فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِنِصْفِ النَّهَارِ وَهِيَ عَلَيْهِ

উম্মু জাহদার আল-‘আমিরিয়্যাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে গেলে কি করতে হবে? ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, এক রাতে আমি (হায়িয অবস্থায়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রাত যাপন করলাম। আমাদের গায়ে নিজ নিজ কাপড় ছিল। সেটির উপর আমরা একটি চাদরও জড়িয়ে নিলাম। ভোর হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ চাদরখানি পরিধান করে ফজরের সলাত আদায়ে চলে গেলেন। তিনি সলাত আদায় করার পর বসলেন। তখন এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! এতে রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাগ ও তার আশেপাশের অংশ হাতের মুঠোয় ধরে ঐ অবস্থায়ই এক গোলামের দ্বারা চাদরটি আমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ এটা ধুয়ে ভাল করে চিপে নিয়ে আবার আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। আমি এক পাত্র পানি নিয়ে তা ধুয়ে ভাল করে পানি নিংড়িয়ে (শুকিয়ে) তাঁর নিকট পাঠিয়ে দিলাম। দুপুরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ চাদরটি গায়ে দিয়ে (ঘরে) ফিরলেন।
(আবু দাউদ ৩৮৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর যে সকল স্থান ভেজা রয়েছে দেখতে পাবেন, সে সকল স্থানকে নাপাক হিসেবে ধরে নিবেন।
,
পাশাপাশি অন্যান্য স্থানে নাপাকি লাগা সম্পর্কে সন্দেহ হলে সেসব স্থান চেক করবেন,সেখানে বীর্য লাগলে চিহ্ন/গন্ধ অবশ্যই পাবেন।
সেই ভিত্তিতে সেসব স্থানও নাপাক বলে বিবেচিত হবে।

হ্যাঁ, সন্দেহ পূর্ণ স্থান গুলোতে বীর্যের চিহ্ন/গন্ধ পাওয়া না গেলে সেসব স্থান গুলোকে পাক বলেই বিবেচনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 67 views
...