আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in পবিত্রতা (Purity) by (43 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর 
 

আমি পূর্বে এই https://ifatwa.info/65338/ ফতোয়ায় বলেছিলাম আমার টিচারের আমাকে পথভ্রষ্ট করা নিয়ে। আমি এক বছর হয়েছে জানতে পেরেছি পবিত্রতা সম্পর্কে। আগে আমি মনে করতাম শুধু কাপড়, ফ্লোর আর শরীর পবিত্র করতে হয়, কিন্তু আই ফতোয়াতে আসার পর আমি জানতে পেরেছি শরীর,ফ্লোর, এবং কাপড় ছাড়াও অন্যান্য আশেপাশের জিনিসপত্রকেও পবিত্র রাখতে হয়। যেমনঃ আসবাবপত্র, বই, খাতা, টাকা, কলম, ছাতা সহ সকল ব্যবহার্য জিনিস। আমি আগে কখনো বা দাঁড়িয়ে কখনো বা বসে পেশাব করতাম এবং বসে পেশাব করলে পানিও নিতাম৷ এখন দাঁড়িয়ে পেশাব করলেও পেশাবের ছিটা তো কিছু কাপড়ে লাগতো আবার বসে পেশাব করলে পেশাব করার পর পরই পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতাম। কিন্তুু বসে পেশাব করার ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে তখন আমি পবিত্রতা অর্জন করতে পারতাম নাকি তা আমি জানিনা। কারণ পেশাব শেষ হওয়ার পর ও কিছু বের হতে পারে। তাই এসব কারণে দাড়িয়ে বা বসে পেশাব করার ক্ষেত্রে হয়তোবা তখন আমার কাপড়ে নাপাক লেগে থাকতে পারে। আবার আমি ওযু করলেও আমার কাপড় কিছুটা ভিজতো। তখন ঐ স্থানে নাপাক যদি পূর্ব থেকে লেগে থাকে তাহলে তো কাপড় ভিজে যাওয়ার কারণে নাপাক আরো বেড়ে গেল এবং ছড়িয়ে গেল। আর গত ১ বছর থেকে আমি লক্ষ্য করছি আমার হাত পা এর আঙ্গুল ও ঘামে। ১ বছর আগে ঘামতো নাকি তা আমি জানিনা। এখন পেশাব বা অন্য নাপাক সেভাবে তো আমার আসবাবপত্র, বই, খাতা, টাকা, কলম, ছাতায় লাগে নাই। হয়তো আমার কাপড় নাপাক থাকতে পারে সাথে ভেজা আর সেই স্থানে আমি হাত দিছি এবং হাত দিয়ে বইয়ে, টাকায় বা আসবাবপত্র বা অন্য কোন ব্যবহার্য জিনিস এ হাত দিয়ে দিছি নাকি , এটা শুধু একটা সম্ভাবনা। এতো আগের কথা পুরোপুরো মনেও নাই যে কাপড় যখন ভেজা ছিল তখন কাপড়ের ওই স্থান নাপাক ছিল নাকি আর নাপাক থাকলেও আমি কোনো ব্যবহার্য জিনিস বা ঘরের মধ্যে থাকা কোনকিছুর কোন অংশে ছুঁয়েছিলাম বা আদৌ ছুঁয়েছিলাম নাকি। বলে রাখা ভালো আমাদের বুয়া আগে কাপড় ধুলে নিজের মত করে কয়েক বার করে সব কাপড় একসাথে ধুতো যেটায় আমার মনে হচ্ছে কাপড় ঠিকভাবে পাক হতো না। 


 

১) উপরোক্ত ঘটনা বুঝার জন্য বললাম এখানে নাপাক লাগার অনেক বিষয় যদি,কিন্তুু বা সম্ভাবনা। কিন্তুু আই ফতোয়ায় দেখি সব কিছুই পবিত্র করতে হয়। আমি একবছর আগে পবিত্রতার ব্যাপারে জ্ঞান হওয়ার পর যে সকল স্থানে নাপাক লেগেছে পুরোপুরি সিওর বা তীব্র বিশ্বাস আছে, সেই সকল স্থানকে যথাসাধ্য পানি দিয়ে মুছে বা ধুয়ে পবিত্র করেছি। যেগুলো পবিত্র করি নাই মানে এ সকল স্থানে নাপাক নিয়ে সন্দেহ আছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে বলেছিলাম আল্লাহ আপনি সকল নাপাক বস্তুু কে পাক-পবিত্র হিসেবে কবুল ও মঞ্জুর করে নিন এবং আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন। কিন্তুু আইফতোয়ার পবিত্রতা বিষয়ক উত্তর দেখে  কিছুদিন ধরে আমার মনের মধ্যে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে বা মুছে পবিত্র না করা বিষয় যেগুলো আছে সেগুলোকে নাপাক ধরব নাকি পবিত্র ধরব বুঝতে পারছি না। এখন আমার করণীয় কি। উল্লেখ্য এতো বস্তুু পবিত্র করা আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর ও কঠিন। এগুলো অনেকটা অসম্ভবের পর্যায়ে কারণ আমার মা বাবা পবিত্রতার ব্যাপারে অনেকটাই অজ্ঞ। এখন আমি যেসব বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করছি কারণ উপরে বলেছি, এখন সেসব বিষয় কি আমি পবিত্র করব?  নাকি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে বলেছিলাম আল্লাহ আপনি সকল নাপাক বস্তুু কে পাক-পবিত্র হিসেবে কবুল ও মঞ্জুর করে নিন এবং আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন। এটা বলা দ্বারা কী ওগুলো আর পবিত্র করতে হবে না? যেহেতু আল্লাহ চাইলে তো সব হয়, তইলে ওগুলো পবিত্র হিসেবেই ধর্তব্য হবে। 


 

২) আমি বালেগ হওয়ার পর সেই ৭ বছরের মতো কোনো স্থান কোন দিন নাপাক হলে বা কোনো ব্যবহৃত সামগ্রী নাপাক হলেও আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে বলেছিলাম আল্লাহ আপনি সকল নাপাক বস্তুু কে পাক-পবিত্র হিসেবে কবুল ও মঞ্জুর করে নিন এবং আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন। এভাবে বলার দ্বারা সকল কিছু কি পবিত্র হয়ে যায় না? এখন তাহলে কি সেসময় আদায়কৃত নামাযগুলো কি হয়ে যাবে? 

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 

1 Answer

+1 vote
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেসব স্থানে নাপাকি লাগা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত, বা আপনার প্রবল ধারণা রয়েছে,সেসব স্থান পাক করতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
দোয়া করার দ্বারা কোনো নাপাক জিনিস পাক হয়ে যাবেনা। 

(০২)
এভাবে বলার দ্বারা কোনো কিছুই পবিত্র হয়ে যায় না।
সুতরাং সেসময় আদায়কৃত নামাযগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 144 views
...