আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

 

১) কেউ যদি এভাবে বলে দুনিয়াতে আসছি খাওয়ার জন্য তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে? 


 

২) কেউ যদি এভাবে বলে দুনিয়াতে আল্লাহ পাঠাইছেন খাওয়ার জন্য তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?


 

৩) বিভিন্ন মানকি ক্যাপ বা খেলোয়াড়েরা যে ধরনের ক্যাপ পড়ে ঔ টাইপের ক্যাপ তবে খেলোয়াড়দের ক্যাপ নয়। বিভিন্ন ডিজাইনে আছে। সেগুলো কি পড়লে কেউ কি ক্রিস্টানদের অনুসরণ করে ফেলে? মূলত আমার বাবা মনে করে এগুলো পড়লে কেউ খ্রিস্টানদের অনুসরণ করে ফেলে। তাই আমাকে দরকারে পড়তে নিষেধ করে। কোরআন হাদীসের আলোকে আলোচনা করলে উপকৃত হতাম। 

 

৪) কেউ সালাফদের জঙ্গি বললে কি তার ইমান চলে যাবে?

 

৫) কেউ যদি এভাবে বলে ভাগ্যে পুরাই মারা বা চু*ন( এটা একটা অশ্রাব্য ভাষা)। এটা বলেছিল সে নিজের অবস্থা খারাপ দেখে। তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?


 

৬) একজন নারী আর পুরুষ বিয়ে করলে পরবর্তীতে তাদের বাচ্চা হতে পারে।  এখন নারী বা পুরুষের মধ্যে কেউ একজন বিয়ে না করতো, তাহলে কি সেই বাচ্চার জন্ম হতো না? বা উভয়ই কখনো বিয়ে না করলে কি সেই বাচ্চার জন্ম হতো না? আর নিদিষ্ট নারী পুরুষ একে অপরকে বিয়ে না করলে।  ভিন্ন নারী পুরুষদের বিয়ে করলে সেই বাচ্চার কি জন্ম হতো না? আর হলে সেই বাচ্চার কোন পরিবারে জন্ম নিতো?কোরআন হাদীসের আলোকে আলোচনা করলে উপকৃত হতাম। 




 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(১-২)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارٰى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে।

(হাদীসটির হুকুম হাসান : তিরমিযী ২৬৯৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১৯৪, আল জামি‘উস্ সগীর ৯৫৬৫, সহীহুল জামি‘ ৫৪৩৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৩৮০, ইরওয়া ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭২৩।)
,
 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ " 
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদেরই অন্তরভুক্ত (হয়ে যাবে)।
(হাদিস টির হুকুম হাসান : আবূ দাঊদ ৪০৩১, মুসনাদে আহমাদে এরূপ শব্দে হাদীসটি নেই; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে ক্যাপ গুলোতে যদি কোনো প্রানীর ছবি না থাকে,সেক্ষেত্রে তাহা পড়া জায়েজ আছে।
তবে এর দ্বারা টুপি পড়ার সুন্নাত আদায় হবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(৪-৫)
তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
তাকদীর নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন অমূলক।

এক্ষেত্রে তার যদি বিবাহ না হয়,সেক্ষেত্রে তার ভাগ্যে তো বিবাহ,বাচ্চা কোনোটিই লেখা ছিলোনা।

ভিন্ন নারী পুরুষদের বিয়ে করলে তাদের তাকদীরেও এমনটিই লেখা ছিলো।
সেক্ষেত্রে যেটা তাদের বাচ্চা হবে,সেটিই তাদের তাদের তাকদীরে ছিলো।

মূলত তাকদীর কি ছিলো,তাহা তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বুঝার কোনো সুযোগ নেই।

আর আল্লাহ তা’আলা সকল মাখলুকের তাকদীর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে লিখেছেন।  
সুতরাং প্রত্যেকের জীবনে বিবাহ হবে কিনা, হলে কার সাথে বিবাহ হবে,সন্তান হবে কিনা,হলে কি সন্তান হবে,কার সাথে বিবাহ হওয়ার পর সন্তান হবে,সবই আলাহ তায়ালা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে লিখেছেন।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو، بْنِ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلاَئِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ -
আবূ তাহির, আহমাদ ইবনু আমর ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) ...... ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা সকল মাখলুকের তাকদীর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে লিখেছেন।  (মুসলিম শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫০৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৫৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...