আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ,

শায়েখ, একজন আমাতুল্লাহ এর হায়েজ এর ডেট হচ্ছে ২/৩ তারিখ৷এই মাসে আজকে ৮তারিখেও হয়নি হায়েজ।

আজকে সকাল ১০টায়( সম্ভাব্য সময়) দেখতে পায় যে তার স্রাব হালকা হলুদ, ট্যিসু দিয়ে চেক করা হলে হালকা হলুদ রঙ দেখতে পায় কিন্তু তারপর থেকে আবার সাদাস্রাব যাচ্ছে, এখন রাত কিন্তু তবুও সাদাস্রাব ই যাচ্ছে।
এই সময় টুকুতে সেই আমাতুল্লাহ যোহর,আছর,মাগরিব এবংকি এশার স্বলাত আদায় করেনি।

গত মাসেও এমন হয়েছিলো সেই আমাতুল্লাহ এর।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে -

১) হায়েজ এর তারিখ হয়েছে কিন্তু হায়েজ হয়নি, কিন্তু হালকা হলুদ রঙ এর স্রাব দেখার পরে যে নামাজ অফ রাখা হলো,নামাজ কি পড়া উচিত ছিলো??

এমন হালকা হলুদ স্রাব যাবার পরে আবার সাদা স্রাব গেলে কি নামাজ পড়তে থাকতে হবে নাকি অফ রাখতে হবে?

২) ইচ্ছে করে নামাজ কাযা করলে কি গুনাহ হয় না?ইচ্ছে করে নামাজ ছেড়ে দিয়ে পরে কাযা করবো এমন চিন্তা করে নামাজ কাযা করলে কি গুনাহ হবে না?

৩)অনিচ্ছায় নামাজ কাযা হয়ে গেলে কি,পরে আদায় করলে সেই নামাজ এর পূর্ণ সোয়াব পাওয়া যাবে??

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের এই স্রাব যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত চলমান থাকে, তাহলে এটি হায়েজ। 
আর যদি এই স্রাব আর না আসে,সেক্ষেত্রে এটি ইস্তেহাজা। 

এখন যেহেতু বুঝা যাচ্ছেনা যে এটি তিন দিন তিন রাতের মধ্যে আবারো আসবে কিনা,তাই এক্ষেত্রে নামাজ বন্ধ রাখা ঠিক হয়েছে।

তিন দিন তিন রাতের মধ্যে আর এ ধরনের স্রাব না আসলে সে এই নামাজ গুলির কাজা আদায় করে নিবে।

আর যদি স্রাব চলমান থাকে,সেক্ষেত্রে নামাজ আদায় করতে হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, ইচ্ছে করে নামাজ কাযা করলে গুনাহ হয়।

(০৩)
এক্ষেত্রে ওয়াক্ত চলে গিয়ে থাকলে পূর্ণ ছওয়াব পাওয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 58 views
...